এমন সমাজ চাই না যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বিনোদন ডেস্ক
আপলোড সময় :
১২-১০-২০২৪ ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-১০-২০২৪ ০৭:১৫:৪৮ অপরাহ্ন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাই, যেখানে উৎসব পালনের জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রয়োজন হবে না। এ সরকার এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেখানে সব সম্প্রদায় এবং নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন।
সমাজে সম্প্রীতির প্রয়োজন
ড. ইউনূসের বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় উৎসব উদযাপন করতে চাই না, বরং এমন একটি সমাজ গড়তে চাই যেখানে সকল ধর্মের মানুষ নিজেদের উৎসব নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা ছাড়াই উদযাপন করতে পারবে। সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা ছাড়া একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ কল্পনা করা সম্ভব নয়।
দুর্গাপূজা উদযাপনের নবমী দিন
এই বক্তব্যের সময় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন, অর্থাৎ মহানবমী উদযাপিত হচ্ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নবমী পূজার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। নবমীর দিন দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর ছড়িয়ে পড়ে প্রতিটি মণ্ডপে। সন্ধ্যায় দেবীর মহাআরতি করা হয় এবং নবমীতে বলিদান ও মহানবমী হোমের রীতিও রয়েছে।
সন্ধিপূজার শেষে মহানবমী
সন্ধিপূজা শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী, যেখানে দেবীদুর্গাকে ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে পূজা করা হয়। পূজা শেষে ভক্তদের মাঝে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মহানবমীর দিন মণ্ডপে মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যেও বিদায়ের বিষাদের সুর বইতে থাকে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV Admin
কমেন্ট বক্স