ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা না পেয়ে বিমা কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করলেন গ্রাহকরা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৬-১০-২০২৪ ০৮:৪৯:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৬-১০-২০২৪ ০৮:৪৯:১৪ অপরাহ্ন
টাকা না পেয়ে বিমা কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করলেন গ্রাহকরা
এইচএস এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ সোসাইটি নামের একটি এনজিওর নারী কর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ জন গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এইচএস এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ সোসাইটির নারী কর্মী মোছা. হাছিনার বাড়ি ঘেরাও করেন ভুক্তভোগীরা।  

জানা গেছে, এইচএস এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ সোসাইটি নামে একটি এনজিওতে ৫ বছর মেয়াদি বিমা করেন সাতক্ষীরা সদরের জোড়দিয়া এলাকার প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার। তবে ওই এনজিওর কর্মী মোছা. হাছিনা টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আসল বই নিয়ে নেন। গত ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে মোছা. হাছিনার বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা ফেরত দিতে পারবেন না বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ভয়ভীতি ও ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। গ্রাহক মোছা. আছমা বেগম বলেন, এই মহিলা প্রথমে আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে তোমরা জনমজুরি দাও, তোমাদের বাচ্চাকাচ্চা আছে, তোমরা একটা বই কর। গ্রামের মানুষের লোভ দেখিয়ে বইগুলো করিয়েছে। আমার বই করা ছিল তিনটি। দুইটা বইয়ের টাকা কমবেশি দিয়েছে। আরেকটি বইতে ৩০ হাজার টাকা রয়েছে। পরে গ্রামের মেম্বার-চেয়ারম্যানদের ধরে বৈঠক করলে বলে আমি দেব। আমরা এখানে ওখানে হাঁটাহাঁটি করেছি। করার পর ওই মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের টাকা দিয়ে নিয়ে যান। এখন উনি বলছেন আমি থানায় বসে টাকা দিয়ে মিটিয়ে নিয়েছি। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে উনি মেটানোর কাগজটা দেখাক আমরা কোনো টাকা দাবি করব না। 

গ্রাহক সুফিয়া খাতুন বলেন, মেয়াদ শেষ আমাদের কাছ থেকে বই রিসিভ সব কিছু জমা নিয়েছে। যেই একটু কথা বলছি সেই বলছে যাদের প্রমাণ রয়েছে তাদের টাকা দেওয়া হবে। যাদের নেই তাদের দেব না। গ্রাহক দাউত আলী বলেন, এই টাকার জন্য আমি থানা পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। শেষে আমার নামে মাদক মামলা দিচ্ছিল। এজন্য এ বিষয়ে আমি আর তেমন কিছু করিনি। মোড়ের মাথায় বাড়ি, গরিব মানুষ, ভ্যান চালাইয়ে খাই। যদি গাঁজার কেসে ধরে নিয়ে যায় এই বুড়ো বয়সে আবার নির্যাতন ভোগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ৬০ জন লোকের টাকা নিয়েছে। প্রথমে বলল খুলনা অফিস টাকা না দিলে আমি কী করবো। অফিসে গিয়ে দেখি আমার ১২ হাজার টাকা জমা দেওয়া অথচ হেড অফিসে ২ হাজার টাকা জমা করা। আমার মায়ের ১০০ বছর বয়স। লোকে যাকাত-ফিতরা টাকা দিত তাই নিয়ে জমা করেছিল। সে টাকাগুলো আর দিল না।

অভিযুক্ত মোছা. হাছিনা বলেন, এটা নকল বই না, অফিস থেকে উনারাই তৈরি করেছে। নকল বই আমি কীভাবে তৈরি করব। ওখানে তো আমার কোনো সই নেই। আমি পাঁচ-ছয়জনের বই করিয়েছি। আমি সবার বই একা করাইনি। নুরজাহান নামে আরেকজন কর্মী ছিল সেও করিয়েছে। সে অসুস্থ হয়ে পড়ায় অফিসে আর যেত না সে কারণে সবাই আমাকে ধরছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ