ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার যে রাস্তায় প্রতিদিন উল্টে যায় রিকশা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৮-১০-২০২৪ ০৬:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-১০-২০২৪ ০৬:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন
ঢাকার যে রাস্তায় প্রতিদিন উল্টে যায় রিকশা
এটি এমন একটি রাস্তা যা দেখলে মনে হবে কোনো এক অনুন্নত মফস্বল এলাকা। অসংখ্য খানাখন্দে ভরা, সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। এটি যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের একটি রাস্তা তা কেউ জানলে নিজেই লজ্জা পাবেন। ভাঙাচোরা ও খানাখন্দের কারণে এখানে প্রায় প্রতিদিন একাধিক রিকশা উল্টে যায়।

গুলশান গুদারাঘাট থেকে লেকের পার ঘেঁষে গুলশান এক নম্বরের লেকের ঠিক পূর্ব পাশে অবস্থিত রাস্তাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন উত্তর বাড্ডা এলাকার হাজী কমুর উদ্দিন সড়কের একজন স্থায়ী বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম।

রাস্তাটির আরও পূর্বদিকে শাহজাদপুর এলাকা এবং উত্তর দিকে মানারাত স্কুল, আর বরাবর গেলে ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসি।গেল প্রায় দুই বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। পিচ ঢালাই রাস্তাটির বেশিরভাগ জায়গায় ভেঙে ঢালাই উঠে গেছে। ‌রাস্তার প্রতি এক দুই হাত পরপরই অসংখ্য খানাখন্দে ভরা, কোথাও কোথাও বলতে গেলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও যদি রাজধানীতে বৃষ্টি হয় তাহলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের আর কোনো সুযোগ থাকে না। রাস্তাটিতে রিকশা, মোটরসাইকেল প্রায়ই খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। বিশেষ করে এই রাস্তায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে রিকশায়। এলাকাবাসীর মতে, এটি এমন একটি রাস্তা যেখানে প্রতিদিন যাত্রীসহ রিকশা উল্টে যায়।রাস্তাটি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের যানজট এড়াতে প্রতিদিনই অসংখ্য যানবাহন এই রাস্তাটি ব্যবহার করে। কিন্তু রাস্তাটির বর্তমানে এমন বেহাল দশা তাতে যাতায়াত করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বলতে গেলে রাস্তার প্রতি এক মিটার দূরত্বে দুই একটি করে খানাখন্দ রয়েছে। পুরো পিস ঢালাই রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে নিচের মাটি বের হয়ে গেছে। গেল কয় দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার খানাখন্দে এখনো পানি জমে আছে। যে কারণে চালকরা দেখে বুঝতে পারছেন না এসব গর্তের গভীরতা কতটুকু। সে কারণে রিকশা থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহনগুলোর খুব ধীর গতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।

রাস্তাটিতে কথা হয় রিকশাচালক ফরিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেহেতু পাশের এলাকাতেই এই রিকশার গ্যারেজ, তাই বাধ্য হয়ে এই ভাঙাচোরা রাস্তায় রিকশা চালাতে হয়। তবে বেশিরভাগ চালকরাই এই রাস্তায় ট্রিপ পেলে যাত্রী নেয় না। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমি নিজেই দুই একটি রিকশা যাত্রীসহ উল্টে যেতে দেখি এই রাস্তায়। আমি নিজেও যাত্রী নিয়ে দুইবার উল্টে পড়েছি। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির এই খারাপ অবস্থা থাকলেও কেউ এটিই ঠিক করে না। এই পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করলেও এটি ঠিক করতে সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ নেয় না। কমপক্ষে দুই বছর ধরে এই রাস্তাটি এমন ভাঙাচোরা অবস্থায় আছে।

কথা হয় প্রাইভেটকার চালক এরশাদ আলীর সঙ্গে। তিনিও একই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা, হাজার হাজার প্রাইভেট কার, রিকশা মোটরসাইকেল এই রাস্তায় চলাচল করে। অসংখ্য মানুষ পায়ে হেঁটে এবং যানবাহনে করে এই পথে চলাচল থাকলেও রাস্তাটি ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। কেউ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না।রাস্তার পাশের গুপিপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ফরহাদ রেজা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ডুবে যায়, রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। যে কারণে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত, কোথায় ভালো। তাই বেশিরভাগ দিন এ রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। বৃষ্টি থেমে গেলেও বৃষ্টির পানি চার পাঁচ দিন এসব খানাখন্দে জমে থাকে। এমন কোনো দিন নেই যেদিন এখানে দুর্ঘটনা ঘটে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ