পঞ্চগড়ে ৮ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, শীতের কাঁপুনি বাড়ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
১৮-১২-২০২৪ ০৯:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-১২-২০২৪ ০৯:৫৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে।
জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে, তবুও ভোর এবং সন্ধ্যার সময় কনকনে ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়ছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
শীতবস্ত্রের অভাবে দিনমজুর, ভ্যানচালক, পাথর ও চা-শ্রমিকেরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঠাণ্ডা বাতাস আর তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। নদীর পানিতে পাথর তুলতে গিয়ে শ্রমিকেরা জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছেন।
একজন পাথর শ্রমিক জানান, “পরিবার চালানোর জন্য শীত উপেক্ষা করেই আমাদের কাজে নামতে হয়। তবে ঠাণ্ডা পানিতে কাজ করার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি।”
গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র মানুষগুলো ভোর-সন্ধ্যায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে তাতেও পর্যাপ্ত উষ্ণতা মিলছে না। এ সময় তীব্র ঠাণ্ডার কারণে শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন, “আজ তাপমাত্রা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭-৮ কিলোমিটার। তবে ভোরে কুয়াশা না থাকলেও ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি।
ভোরের ঠাণ্ডা হাওয়া দিনের বেলায় উষ্ণ রোদের কারণে হালকা হয়ে যায়। সকাল ৯টার পর থেকে ঠাণ্ডার তীব্রতা কমে আসে। দিনের তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকছে, যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। তবে রাতের শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে।
পঞ্চগড়ের শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষদের সহায়তা করা উচিত।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স