ইরফান খুনি—তা আমরা বিশ্বাস করি না’: চাঁদপুরে উত্তাল নৌযান শ্রমিকরা
দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় :
২৮-১২-২০২৪ ১১:১৯:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-১২-২০২৪ ১১:১৯:২৪ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে নৌযান এমভি আল বাখেরা থেকে সাতজন শ্রমিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সামনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নৌযান শ্রমিকরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত খুনিদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বিক্ষোভে নারায়ণগঞ্জ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা মো. মজুবুল হক মাস্টার বলেন, “নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে নৌপথে কোনো যান থাকবে না। শুধু ডাকাতদের দখলে থাকবে।” চট্টগ্রাম নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “সরকারি বাহিনী ইরফানকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করলেও আমরা তা বিশ্বাস করি না। একা একজন শ্রমিকের পক্ষে সাতজনকে খুন করা অসম্ভব।”
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নেতারা সরকারের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম লাইটার জাহাজ নেতা নাছির মাস্টার বলেন, “তিন দিনের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় মেঘনা নদী থেকে এমভি আল বাখেরা জাহাজের পাঁচজন শ্রমিকের মরদেহ এবং তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও দুজন মারা যান।
এ ঘটনায় নৌযান মালিক মাহবুব মোর্শেদ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে র্যাব বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে। ইরফান বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
নৌযান শ্রমিকরা নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
চাঁদপুরের সাত খুনের ঘটনা নদীপথে শ্রমিকদের নিরাপত্তার ঘাটতি ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। শ্রমিকদের দাবি এবং হুঁশিয়ারি সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স