ঢাকা , রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে বড় জয়

আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০১:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০১:৫৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে বড় জয়

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট, যা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। গতকাল, ২৮ জুন, ২০২৫ তারিখে দেওয়া এই যুগান্তকারী রায়ে আদালত প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ, বিশেষ করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের মতো বিতর্কিত বিষয়ে, দেশব্যাপী স্থগিতাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।

এই রায়ের ফলে এখন থেকে নিম্ন আদালতের একজন বিচারক প্রেসিডেন্টের কোনো নীতি বা নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কার্যকর হয় এমন স্থগিতাদেশ জারি করতে পারবেন না। দীর্ঘদিন ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছিলেন যে, একজন মাত্র বিচারকের রায়ে তার দেশব্যাপী গৃহীত নীতিগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে, যা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ওপর বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপের সামিল। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তার সেই অবস্থানকেই কার্যত স্বীকৃতি দিল।
 
বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারীทุกคนকে নাগরিকত্ব দেওয়ার যে আইন প্রচলিত আছে, তা পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তার এই উদ্যোগ এর আগে বিভিন্ন নিম্ন আদালতে বাধার মুখে পড়েছিল। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পথ তার জন্য অনেকটাই উন্মুক্ত হলো। এই রায়কে ট্রাম্পের একটি বড় আইনি ও রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
 

দিনাজপুর টিভির আন্তর্জাতিক ডেস্ক বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, এই রায়টি শুধুমাত্র ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিজয় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতার পরিধিকেও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। এর ফলে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ থেকে আরও কিছুটা সুরক্ষিত হলো, যা নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে সরাসরি বৈধতা দেয়নি, তবে এটি কার্যকরের পথ সুগম করেছে। এখন থেকে প্রেসিডেন্টের নীতিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে আলাদাভাবে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হতে পারে, যা নিঃসন্দেহে একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এই রায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্য এবং অভিবাসন নীতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ