ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ , ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে কমেছে পাটের চাষ: কৃষকরা ঝুঁকছেন অন্য ফসলে

মোঃ জাহিদ হাসান
আপলোড সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০৭-২০২৫ ০৫:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
দিনাজপুর এক সময় পাট চাষের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই চিত্র দ্রুত বদলে যাচ্ছে। জেলার কৃষকদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ কমেছে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—এই সবকিছু মিলিয়ে কৃষকরা পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এবং বিকল্প ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন।

*দিনাজপুর টিভি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে* যে, পাটের উৎপাদন খরচ এখন অনেক বেড়ে গেছে। সার, বীজ, কীটনাশক এবং শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট চাষ এখন আর আগের মতো লাভজনক থাকছে না। এছাড়া, পাট কাটার পর জাগ দিতে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় কৃষকদের বিড়ম্বনা আরও বাড়ছে। ফলস্বরূপ, অনেক কৃষক পাটের পরিবর্তে ধান, ভুট্টা, সবজি কিংবা অন্য অর্থকরী ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে দিনাজপুরে পাটের আবাদি জমির পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। কৃষকরা বলছেন, বাজারে পাটের ভালো দাম না পাওয়াই এর প্রধান কারণ। যখন পাট উৎপাদন করে লাভ নিশ্চিত করা যায় না, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা এমন ফসল বেছে নিচ্ছেন যা তাদের জন্য অধিক লাভজনক। অনেক সময় পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হয়, যা তাদের পাট চাষ থেকে নিরুৎসাহিত করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা এবং আধুনিক পদ্ধতিতে পাট চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে পারলে হয়তো এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনা সম্ভব। অন্যথায়, ঐতিহ্যবাহী এই ফসলটি দিনাজপুরের মাটি থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে পারে। কৃষকদের বিকল্প ফসলের দিকে ঝুঁকে যাওয়া জেলার কৃষি অর্থনীতিতে একটি নতুন ধারা তৈরি করছে, তবে এটি পাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে।

 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ