ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত মাস পরিচর্যার পর বনে ফিরল ৮ হিমালয়ান শকুন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ১৮-০৮-২০২৪ ০৭:৪২:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ১০:৫২:৩৯ অপরাহ্ন
সাত মাস পরিচর্যার পর বনে ফিরল ৮ হিমালয়ান শকুন
হিমালয়সহ বিভিন্ন শীতপ্রধান এলাকা থেকে খাবারের খোঁজে বাংলাদেশে এসেছিল শকুনগু‌লো। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে শকুনগু‌লোর জায়গা হয় দিনাজপু‌রের বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া শালব‌নে (জাতীয় উদ্যান) বন বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। দীর্ঘ সাত মাস পরিচর্যার পর মুক্ত আকাশে শকুনগু‌লো অবমুক্ত করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিবিড় পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শে‌ষে আটটি শকুন অবমুক্ত করা হয়। এ সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল-মামুন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) কর্মকর্তা কাজী জেনিফার আজমিরি সাকিব আহম্মেদ  ধর্মপুর বিট কর্মকর্তা মহসিন আলী  সিংড়া বিট কর্মকর্তা গোয়া প্রসাদ পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগ সূত্র জানায়  শীত থেকে রক্ষা পেতে ও খাবারের খোঁজে এসব শকুন হিমালয়ের পাদদেশে চলে আসে। সেখানে খাবারের ঘাটতি হলে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের লোকালয়ে আসে।

 দীর্ঘপথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসায় শকুনগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২০১৪ সালে বন বিভাগ ও আইইউসিএন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুন পরিচর্যা কেন্দ্র তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা দেড় শতাধিক শকুন সেখানে পরিচর্যা শেষে সুস্থ করে অবমুক্ত করা হয়।


বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল-মামুন বলেন শকুন‌কে প্রকৃতির ঝাড়ুদার বলা হয়। আমাদের দেশে সাত প্রজাতির শকুন পাওয়া যায়।

 এর মধ্যে দুই প্রজাতির আবাসিক শকুন আর বাকিগুলো পরিযায়ী। রাজ প্রজাতির শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পরিযায়ী প্রজাতির মধ্যে হিমালয়ান গ্রিফন জাতের শকুন খাবারের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে আসে। খাবারের অভাব ও উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে শকুনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তিনি শকুনসহ বিভিন্ন প্রাণী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ