ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়ংকর যন্ত্র’ দিয়ে নারীর স্বেচ্ছামৃত্যু, কীভাবে কাজ করে এটি

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৭:১৬:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ০৭:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন
ভয়ংকর যন্ত্র’ দিয়ে নারীর স্বেচ্ছামৃত্যু, কীভাবে কাজ করে এটি
সুইজারল্যান্ডে সম্প্রতি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৪ বছর বয়সী এক মার্কিন নারী। তিনি তার মৃত্যুতে ব্যবহার করেছেন ‘সারকো সুইসাইড পড’ নামের একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রটি নিয়ে এখন সুইজারল্যান্ডে চলছে হইচই।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওই নারী যখন যন্ত্রটিতে প্রবেশ করেন তখন শেষ মুহূর্তে একটি স্বয়ংক্রিয় বার্তা শোনেন। এতে বলা হয় ‘আপনি যদি মারা যেতে চান, এই বাটনটি চাপুন’।

যন্ত্রটি ব্যবহার করে মার্কিন নারী মৃত্যুবরণ করার পর এটির নৈতিক এবং আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশটিতে এমন পদ্ধতিতে কারও মৃত্যুবরণ করার সুযোগ নেই। তবে গত কয়েক বছর ধরে অন্যের সাহায্য নিয়ে মৃত্যুবরণ করার অনুমতি রয়েছে।

সারকো সুইসাইড পড কী এবং কীভাবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে মৃত্যু হয়?
সারকো পড একটি বিতর্কিত স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের যন্ত্র। উদ্ভাবনী ডিজাইনের কারণে এটি অনেক মানুষের নজর কেড়েছে। থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি কাঠামোর উপর রাখা থাকে এবং এটির ভেতর তরল নাইট্রোজেনের একটি কৌটা থাকে। যার মাধ্যমে গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে মানুষ মারা যেতে পারেন।

সুইজারল্যান্ডে এই যন্ত্রটি ২০১৯ সালে প্রথম আনা হয়। ক্যাপসুল আকৃতির যন্ত্রটির মাধ্যমে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ছাড়া যে কেউ মারা যেতে পারবেন। যন্ত্রটির ভেতর যখন কেউ প্রবেশ করেন তখন প্রথমে এটির আলো বন্ধ করে দেন। এরপর তাকে নিজের সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয় কিছু প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পর বাটন চাপতে বলা হয়। বাটন চাপার পর মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যন্ত্রটির ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা ২১% থেকে কমে ০.০৫%-এ নেমে আসে।

এতে করে ভেতরে থাকা ব্যক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে জ্ঞান হারান। আর মৃত্যু হয় পাঁচ মিনিটের মধ্যে।যন্ত্রটির ভেতর একটি জরুরি বহির্গমন বাটনও আছে। যদি কেউ শেষ মুহূর্তে বাঁচার চিন্তা করেন তখন চাইলে জরুরি বাটনটি চেপে বাইরে বের হয়ে আসতে পারেন। মৃত্যু হয় মূলত গ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস বন্ধ হয়ে। যন্ত্রটির ভেতর যে ক্যাপসুলটি রয়েছে সেটি বাইরে বের করে নিয়ে আসা যায়। এটি মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির কফিন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

সুইজারল্যান্ডে এই যন্ত্রটির মালিক হলো নিতশেক এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা সাধারণ মানুষের অনুদানে চলে। যারা যন্ত্রটির মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করতে চান তাদের নাইট্রোজেন গ্যাসের জন্য মাত্র ১৮ ফ্রাঁ দিতে হয়। যা বাংলাদেশি অর্থে মাত্র আড়াই হাজার টাকার সমান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ