কুড়িগ্রামে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় বন্যার ধকল কাটি না উঠতেই আবারও তৃতীয় দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমন ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে তৃতীয় দফা বন্যায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ জানায়, শেষ সময়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ১৩ হাজার ১৩৭ জন কৃষক। এতে করে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি আর উজানের পানিতে তলিয়ে আছে আমন, বাদাম, মাসকালাইসহ চরের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। দ্বিতীয় দফা বন্যার পর এসব ফসল লাগিয়েছিলেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। চরাঞ্চলের ফসলহানির এমনি চিত্র কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার মুসার চরের। গত ১০ দিন আগের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নিমজ্জিত হয়ে আছে কৃষকদের রোপণ করা বেশিরভাগ ফসল। শুধু উলিপুরের মুসার চর নয়, জেলার চিলমারী, সদর, নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ ৭ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের অববাহিকার দৃশ্য একই রকমের।
উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, আমার দুই বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অসময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে এ অবস্থা। ১০-১২ দিন থেকে ধান সব পানিতে তলিয়ে আছে। খুব ক্ষতিগ্রস্ত হলাম এবার। আর সরকারিভাবে তো আমরা সহযোগিতাও পাই না। সব পায় মেম্বার চেয়ারম্যানের লোকজন।
একই এলাকার মাঈদুল ইসলাম বলেন, আমরা চরের মধ্যে থাকি, ধান, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে আমরা বেঁচে আছি। হঠাৎ পানি এসে আমাদের সব ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। কিভাবে এ বছর চলব চিন্তায় আছি। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটির চারিদিকে নদ-নদী। এবার অসময়ে বন্যা হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এখানকার কৃষকের। প্রতি বছর বর্ষার শেষ সময়ে চরাঞ্চলের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন নদী পাড়ের কৃষকরা। কিন্তু এবার উজানের পানিতে ফসল দীর্ঘ সময় তলিয়ে থাকায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা কামনা করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, তৃতীয় দফা বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে জেলার ২ হাজার ৩৬১ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।
আর এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ১ হাজার ১০৭ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হবে। যাতে তারা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এখনও তলিয়ে আছে শত শত হেক্টর জমির আমন ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে তৃতীয় দফা বন্যায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগ জানায়, শেষ সময়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে ৭ উপজেলার ১৩ হাজার ১৩৭ জন কৃষক। এতে করে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টি আর উজানের পানিতে তলিয়ে আছে আমন, বাদাম, মাসকালাইসহ চরের বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। দ্বিতীয় দফা বন্যার পর এসব ফসল লাগিয়েছিলেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। চরাঞ্চলের ফসলহানির এমনি চিত্র কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার মুসার চরের। গত ১০ দিন আগের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নিমজ্জিত হয়ে আছে কৃষকদের রোপণ করা বেশিরভাগ ফসল। শুধু উলিপুরের মুসার চর নয়, জেলার চিলমারী, সদর, নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুরসহ ৭ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের অববাহিকার দৃশ্য একই রকমের।
উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, আমার দুই বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। অসময়ে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে এ অবস্থা। ১০-১২ দিন থেকে ধান সব পানিতে তলিয়ে আছে। খুব ক্ষতিগ্রস্ত হলাম এবার। আর সরকারিভাবে তো আমরা সহযোগিতাও পাই না। সব পায় মেম্বার চেয়ারম্যানের লোকজন।
একই এলাকার মাঈদুল ইসলাম বলেন, আমরা চরের মধ্যে থাকি, ধান, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে আমরা বেঁচে আছি। হঠাৎ পানি এসে আমাদের সব ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। কিভাবে এ বছর চলব চিন্তায় আছি। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, আমার ইউনিয়নটির চারিদিকে নদ-নদী। এবার অসময়ে বন্যা হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এখানকার কৃষকের। প্রতি বছর বর্ষার শেষ সময়ে চরাঞ্চলের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন নদী পাড়ের কৃষকরা। কিন্তু এবার উজানের পানিতে ফসল দীর্ঘ সময় তলিয়ে থাকায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকারি সহায়তা কামনা করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, তৃতীয় দফা বন্যায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে জেলার ২ হাজার ৩৬১ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল।
আর এর মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ১ হাজার ১০৭ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হবে। যাতে তারা ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে।