ঘাস বিক্রি করে জীবনসংগ্রাম: পদ্মার চরবাসীর বাস্তবতা
ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর চরে বসবাসকারী মানুষদের জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে ঘাস বিক্রি। পদ্মার চরের ঘাস কেটে বিক্রি করেই শাজাহান মাঝির মতো অনেকের সংসার চলে। প্রতিদিন সকালেই তারা বাহ্রাঘাটে জমা হন, আর সবুজ ঘাসের আঁটি বিক্রি করেন কৃষক, গৃহস্থ, এবং গরুর খামারিদের কাছে।
দোহার উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের শাজাহান মাঝি জানান, প্রতিদিন ঘাস কেটে বিক্রি করে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করেন তিনি, যা দিয়ে চলে তার সংসার। তার মতো আরও অনেকেই পদ্মার চরের ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শুধু ঘাস বিক্রিই নয়, শাজাহানের ছেলে বিদেশে থাকলেও, অন্য অনেকের মতো কিছু অংশে মাছ ধরার কাজও করেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, তার গরুর জন্য প্রতিদিন তাজা ঘাস প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিদিন সকালে বাহ্রাঘাটের ঘাসের হাটে আসেন। এখানে মাশকলাই, কলমি, দূর্বাঘাস, কাঁশফুল এবং নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাস পাওয়া যায়।
নুরু শেখ (৬০) নামে আরেক ঘাস বিক্রেতা জানান, ঘাসের আঁটির দাম আকারের উপর নির্ভর করে। এক আঁটি কাঁঠালপাতা ৩০ টাকা, দূর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা এবং গর্বাঘাস ৮০-১০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ফরিদপুরের চর শালেপুর থেকে ঘাস বিক্রি করতে আসা মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাস কেটে নৌকায় ভরে পরের ভোরে হাটে আসেন।
দোহার অরঙ্গবাদ এলাকার কিশোর ফরিদ জানায়, ঘাস বিক্রির আয় দিয়েই চলে তাদের সংসার এবং তার লেখাপড়ার খরচও আসে এই আয় থেকে। পদ্মার এই চরবাসীর ঘাস বিক্রি করা শুধু একটি কাজ নয়, বরং তাদের জীবিকার মূল মাধ্যম, যা তাদের প্রতিদিনের জীবনসংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে।
ঢাকার দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর চরে বসবাসকারী মানুষদের জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে ঘাস বিক্রি। পদ্মার চরের ঘাস কেটে বিক্রি করেই শাজাহান মাঝির মতো অনেকের সংসার চলে। প্রতিদিন সকালেই তারা বাহ্রাঘাটে জমা হন, আর সবুজ ঘাসের আঁটি বিক্রি করেন কৃষক, গৃহস্থ, এবং গরুর খামারিদের কাছে।
দোহার উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের শাজাহান মাঝি জানান, প্রতিদিন ঘাস কেটে বিক্রি করে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করেন তিনি, যা দিয়ে চলে তার সংসার। তার মতো আরও অনেকেই পদ্মার চরের ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। শুধু ঘাস বিক্রিই নয়, শাজাহানের ছেলে বিদেশে থাকলেও, অন্য অনেকের মতো কিছু অংশে মাছ ধরার কাজও করেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, তার গরুর জন্য প্রতিদিন তাজা ঘাস প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিদিন সকালে বাহ্রাঘাটের ঘাসের হাটে আসেন। এখানে মাশকলাই, কলমি, দূর্বাঘাস, কাঁশফুল এবং নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাস পাওয়া যায়।
নুরু শেখ (৬০) নামে আরেক ঘাস বিক্রেতা জানান, ঘাসের আঁটির দাম আকারের উপর নির্ভর করে। এক আঁটি কাঁঠালপাতা ৩০ টাকা, দূর্বাঘাস ৭০-৮০ টাকা এবং গর্বাঘাস ৮০-১০০ টাকা দামে বিক্রি হয়। ফরিদপুরের চর শালেপুর থেকে ঘাস বিক্রি করতে আসা মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘাস কেটে নৌকায় ভরে পরের ভোরে হাটে আসেন।
দোহার অরঙ্গবাদ এলাকার কিশোর ফরিদ জানায়, ঘাস বিক্রির আয় দিয়েই চলে তাদের সংসার এবং তার লেখাপড়ার খরচও আসে এই আয় থেকে। পদ্মার এই চরবাসীর ঘাস বিক্রি করা শুধু একটি কাজ নয়, বরং তাদের জীবিকার মূল মাধ্যম, যা তাদের প্রতিদিনের জীবনসংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে।