দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের জয়গঞ্জ গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ি তার দীর্ঘ ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য পরিচিত। স্থানীয়ভাবে এটি "খানসামা জমিদার বাড়ি," "খানসামার জয়শঙ্করের জমিদার বাড়ি," কিংবা "জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ি" নামে পরিচিত। জমিদারি প্রথার যুগ থেকে প্রাচীন এই জমিদার বাড়িটি এখন অবহেলা ও অযত্নের কারণে ধ্বংসের সম্মুখীন।
জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠা সময় সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলেও, ধারনা করা হয় যে এটি জমিদারি প্রথার সময় থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়িটি দিনাজপুরের শেষ জমিদার জয়শঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত। তাঁর নামানুসারেই স্থানটির নামকরণ করা হয় "জয়গঞ্জ"। জমিদার জয়শঙ্করের আমলেই এখানে একটি বাজার স্থাপন করা হয়, যা আজও বহাল আছে। দেশভাগের সময় জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে, জয়শঙ্কর প্রায় ১০০ একর জমি ও জমিদার বাড়িটি রেখে ভারতে চলে যান।
জমিদার বাড়িটির একতলা প্রাসাদটিতে রয়েছে থাকার ঘর, বসার ঘর, মালামাল রাখার ঘর এবং একটি ছোট মন্দির। একসময়ে জমিদার পরিবারের গৌরবের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা এই বাড়িটি এখন প্রায় ধ্বংসের পথে। বাড়ির প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ দেয়াল ধসে পড়েছে, এবং বর্তমানে মাত্র ৬০ শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশের এলাকা ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে, যা প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি অবহেলার স্পষ্ট চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
২০০৬ সালে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাড়িটি পরিষ্কার করে এবং ৫০টি পরিবারকে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে। তবে বর্তমানে ওই পরিবারগুলোও বাড়িটি ত্যাগ করেছে, কারণ বাড়িটির অধিকাংশ অংশ ধ্বংসপ্রায় এবং বসবাসের অনুপযোগী। স্থানীয় বাসিন্দারা জমিদার বাড়িটির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এটি সংস্কারের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে পরিণত করা যেতে পারে, যা স্থানীয় পর্যটনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি সংরক্ষণ ও সংস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমিদারি প্রথার নিদর্শন এই বাড়িটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি শুধুমাত্র একটি প্রাচীন স্থাপনা নয়; বরং দিনাজপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যের প্রতীকও। বাড়িটির সংরক্ষণের মাধ্যমে এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্নীত করা সম্ভব, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জয়গঞ্জ জমিদার বাড়িটি দিনাজপুর অঞ্চলের ইতিহাসের এক অমূল্য নিদর্শন। সংরক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে, এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি।
জমিদার বাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠা সময় সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য না থাকলেও, ধারনা করা হয় যে এটি জমিদারি প্রথার সময় থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়। বাড়িটি দিনাজপুরের শেষ জমিদার জয়শঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত। তাঁর নামানুসারেই স্থানটির নামকরণ করা হয় "জয়গঞ্জ"। জমিদার জয়শঙ্করের আমলেই এখানে একটি বাজার স্থাপন করা হয়, যা আজও বহাল আছে। দেশভাগের সময় জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে, জয়শঙ্কর প্রায় ১০০ একর জমি ও জমিদার বাড়িটি রেখে ভারতে চলে যান।
জমিদার বাড়িটির একতলা প্রাসাদটিতে রয়েছে থাকার ঘর, বসার ঘর, মালামাল রাখার ঘর এবং একটি ছোট মন্দির। একসময়ে জমিদার পরিবারের গৌরবের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা এই বাড়িটি এখন প্রায় ধ্বংসের পথে। বাড়ির প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ দেয়াল ধসে পড়েছে, এবং বর্তমানে মাত্র ৬০ শতাংশ অবশিষ্ট রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশের এলাকা ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে, যা প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি অবহেলার স্পষ্ট চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
২০০৬ সালে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাড়িটি পরিষ্কার করে এবং ৫০টি পরিবারকে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে। তবে বর্তমানে ওই পরিবারগুলোও বাড়িটি ত্যাগ করেছে, কারণ বাড়িটির অধিকাংশ অংশ ধ্বংসপ্রায় এবং বসবাসের অনুপযোগী। স্থানীয় বাসিন্দারা জমিদার বাড়িটির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এটি সংস্কারের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে পরিণত করা যেতে পারে, যা স্থানীয় পর্যটনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
জয়গঞ্জ জমিদার বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি সংরক্ষণ ও সংস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমিদারি প্রথার নিদর্শন এই বাড়িটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি শুধুমাত্র একটি প্রাচীন স্থাপনা নয়; বরং দিনাজপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যের প্রতীকও। বাড়িটির সংরক্ষণের মাধ্যমে এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে উন্নীত করা সম্ভব, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জয়গঞ্জ জমিদার বাড়িটি দিনাজপুর অঞ্চলের ইতিহাসের এক অমূল্য নিদর্শন। সংরক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে, এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এখন সময়ের দাবি।