মুন্সীগঞ্জ, দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত, যেখানে আলু আবাদের মৌসুমের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এ জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আলু হলেও, প্রান্তিক কৃষকদের জন্য এটি বরাবরই আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে মুন্সীগঞ্জে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হবে। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন।
জমিতে জমে থাকা আগাছা পরিষ্কার করে কৃষকরা আবাদ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পুরোদমে আবাদ শুরু হবে।
জেলায় ৬৯ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন বীজ আলুর চাহিদা থাকলেও, হিমাগারে মজুদ রয়েছে মাত্র ৬৪ হাজার ৫১৬ মেট্রিক টন। কিছু ব্যবসায়ী খাবার আলুর বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে মজুদকৃত বীজ আলু বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আমদানিকৃত বীজের ওপর নির্ভর করতে হবে।
প্রান্তিক কৃষক জিয়াউর রহমানের মতে, সরকার যদি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করে, তবে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবে এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে।
জেলায় ইতোমধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রয়োজনীয় ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএফপি এবং এমওপি সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে, চাষীদের সার নিয়ে তেমন সংকটে পড়তে হবে না।
বাজার মনিটরিং টিম সক্রিয় না থাকলে, সিন্ডিকেট বীজ আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।