আফগানিস্তানের অর্থ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা। গত ১৯ নভেম্বর কাবুলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রতিনিধিরাও। আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ এ বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে মাদরাসা শিক্ষা শক্তিশালীকরণ, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, এবং কারিকুলাম সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প, শিল্পখাতের অগ্রগতি, এবং ব্যবসায়িক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। আফগানিস্তানের উপ-মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিত্রাত জানিয়েছেন, দেশটি বড় অর্থনৈতিক প্রকল্প শুরু করেছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।
আফগান মন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিকভাবে জব্দ করা আফগান সম্পদ দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠক আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়ক হবে। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের উপস্থিতি এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ইঙ্গিত দেয়।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোহাম্মদ ওমিদ জাহানজাদা মনে করেন, “রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, এবং সামাজিক প্রচেষ্টা আফগানিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয় হতে পারে।”
বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার এবং এই অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।