চার দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরে থানা ও ফাঁড়িগুলোয় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকালে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য থানায় হাজিরা দিয়েছেন। থানায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে দিনাজপুরে আনন্দমিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে লোকজন বিভিন্ন থানায় ও পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হন। প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ ওই দিন সন্ধ্যায় বোচাগঞ্জ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
এ ছাড়া বিরামপুর থানা চত্বর, বীরগঞ্জ থানা চত্বরে হেল্পডেস্ক, পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুন্সীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ স্থানে সরে যান।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানান। এরপর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা
গতকাল সকালে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। হেল্পডেস্কে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন ডিউটি অফিসার।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যের অন্তত ২০ জনকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে দেখা যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, চলমান সহিংসতার ঘটনায় যাঁরা বাড়িতে গিয়েছিলেন কিংবা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে ছিলেন, তাঁদের প্রায় সবাই গতকাল রাতে কর্মস্থলে পৌঁছেছেন। এক-দুজন পথে আছেন। হয়তো তাঁরা আজ শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই উপস্থিত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে কর্মস্থলে হাজির হয়েছেন, কিন্তু মনে একধরনের আতঙ্ক রয়েছে। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের মৌন সম্মতি ছিল।
নিম্ন পদস্থ পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন। এসব যৌক্তিক দাবি পূরণের অনুরোধ জানান তাঁরা।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, থানায় বসার মতো কোনো চেয়ার-টেবিল ছিল না। গতকাল থেকে পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। একটি দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা থানায় কয়েকটি চেয়ার ও দুটি টেবিল পাঠিয়েছেন।
বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার সব সদস্য উপস্থিত আছেন। বিকেল চারটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এখানে আসবেন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে প্রতিটি থানায় পৃথকভাবে বৈঠক করা হয়েছে।
কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। প্রথম কয়েক দিন শুধু দাপ্তরিক কাজকর্ম করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। স্থানীয় মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। থানা পাহারা দিয়ে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে দিনাজপুরে আনন্দমিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে লোকজন বিভিন্ন থানায় ও পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হন। প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ ওই দিন সন্ধ্যায় বোচাগঞ্জ থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে।
এ ছাড়া বিরামপুর থানা চত্বর, বীরগঞ্জ থানা চত্বরে হেল্পডেস্ক, পুলিশের পিকআপ ভ্যান ও কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুন্সীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ স্থানে সরে যান।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানান। এরপর কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা
গতকাল সকালে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন। হেল্পডেস্কে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন ডিউটি অফিসার।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যের অন্তত ২০ জনকে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে দেখা যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, চলমান সহিংসতার ঘটনায় যাঁরা বাড়িতে গিয়েছিলেন কিংবা বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে ছিলেন, তাঁদের প্রায় সবাই গতকাল রাতে কর্মস্থলে পৌঁছেছেন। এক-দুজন পথে আছেন। হয়তো তাঁরা আজ শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই উপস্থিত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে কর্মস্থলে হাজির হয়েছেন, কিন্তু মনে একধরনের আতঙ্ক রয়েছে। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের মৌন সম্মতি ছিল।
নিম্ন পদস্থ পুলিশ সদস্যরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন। এসব যৌক্তিক দাবি পূরণের অনুরোধ জানান তাঁরা।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, থানায় বসার মতো কোনো চেয়ার-টেবিল ছিল না। গতকাল থেকে পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। একটি দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা থানায় কয়েকটি চেয়ার ও দুটি টেবিল পাঠিয়েছেন।
বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার সব সদস্য উপস্থিত আছেন। বিকেল চারটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এখানে আসবেন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, গতকাল রাতে প্রতিটি থানায় পৃথকভাবে বৈঠক করা হয়েছে।
কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। প্রথম কয়েক দিন শুধু দাপ্তরিক কাজকর্ম করা হবে। তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। স্থানীয় মানুষ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় অনেক ভূমিকা রেখেছেন। থানা পাহারা দিয়ে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।