বাজেটের মধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হতে পারে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা।
রাজ্যটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার অবস্থান আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের খুব কাছে।
বাংলাদেশ থেকে যে কেউ আগরতলায় গেলে অবাক হবেন শহরবাসীর কথা বলার ঢং ও আচার-আচরণে। এই আগরতলা শহর ও এর বাইরে আছে চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান। আর এগুলোতে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় অক্টোবর-মার্চ মাস পর্যন্ত। জেনে নিন ত্রিপুরা ভ্রমণে কোন কোন স্থান ঘুরবেন-
কমলাসাগর লেক
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি একটি বিশাল লেক যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে খনন করেছিলেন মহারাজা ধন্য মানিক্য। এই লেকের সীমানায় ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বিখ্যাত কালি মন্দির অবস্থিত। প্রতিবছরের এপ্রিল ও আগস্ট মাসে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমান অনেক ভক্ত ও পর্যটক।
নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কমলাসাগর লেক সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা পিকনিক স্পটগুলোর একটি। ধর্মীয় কারণে এটি ভারত ও ভারতের বাইরের পূণ্যার্থীদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। আগরতলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
নীরমহল
অনেকের মতেই ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হলো নীরমহল। এখানে না গেলে কিন্তু পুরোপুরি বৃথা যাবে ত্রিপুরা ভ্রমণ। রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরে মেলাঘর নামক স্থানে এর অবস্থান।
রুদ্র সাগর নামে একটি লেকের ঠিক মাঝখানে রূপকথার রাজপ্রাসাদের মতো দাঁড়িয়ে আছে নীরমহল।
নৌকায় চড়েই আপনাকে পৌঁছাতে হবে স্বপ্নের নীরমহলে। সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র জলবেষ্টিত প্রাসাদ এটি। সাগরমহল নামে একটি সরকারি পর্যটক নিবাস রয়েছে রুদ্র সাগরের পূর্ব তীরে যার অবস্থান একেবারে নীরমহলের মুখোমুখি। নীরমহল প্রাসাদ ও রুদ্র সাগর কোনোটিই সৌন্দর্যের বিচারে কারো চেয়ে কম নয়।
আর রাতের নীরমহলের সৌন্দর্য তো এককথায় অতুলনীয়। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন কল্পলোকের স্বপ্ননগরী। পুরো ভবনে এমনভাবে
আলোকসম্পাত করা হয়েছে যে, মনে হবে পানিতে ভাসছে দক্ষ শিল্পীর হাতে গড়া কোনো সোনালি রাজহাঁস। আর জোছনা রাত হলে তো কথাই নেই।রুদ্র সাগরে নৌবিহার আপনার ভ্রমণের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে।
জায়গাটির নাম নীরমহল কেন হলো এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে কারো মনে। চতুর্দিকে ‘নীর’ অর্থাৎ পানির মধ্যে প্রাসাদটির অবস্থান বলেই এর নাম হয়েছে নীরমহল। নির্মাতা মহারাজা
বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য এই নামকরণ করেন।
এখানে একরাত না থাকলে কিন্তু সৌন্দর্যের আসল স্বরূপ উপভোগ করা যাবে না।
থাকা-খাওয়ার জন্য সাগরমহল পর্যটক
নিবাসের ওপর নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় খরচটাও খুব বেশি নয়।
রাজ্যটির সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার অবস্থান আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের খুব কাছে।
বাংলাদেশ থেকে যে কেউ আগরতলায় গেলে অবাক হবেন শহরবাসীর কথা বলার ঢং ও আচার-আচরণে। এই আগরতলা শহর ও এর বাইরে আছে চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান। আর এগুলোতে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় অক্টোবর-মার্চ মাস পর্যন্ত। জেনে নিন ত্রিপুরা ভ্রমণে কোন কোন স্থান ঘুরবেন-
কমলাসাগর লেক
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি একটি বিশাল লেক যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে খনন করেছিলেন মহারাজা ধন্য মানিক্য। এই লেকের সীমানায় ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত বিখ্যাত কালি মন্দির অবস্থিত। প্রতিবছরের এপ্রিল ও আগস্ট মাসে মন্দির প্রাঙ্গণে বিশাল মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমান অনেক ভক্ত ও পর্যটক।
নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কমলাসাগর লেক সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা পিকনিক স্পটগুলোর একটি। ধর্মীয় কারণে এটি ভারত ও ভারতের বাইরের পূণ্যার্থীদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। আগরতলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
নীরমহল
অনেকের মতেই ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হলো নীরমহল। এখানে না গেলে কিন্তু পুরোপুরি বৃথা যাবে ত্রিপুরা ভ্রমণ। রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরে মেলাঘর নামক স্থানে এর অবস্থান।
রুদ্র সাগর নামে একটি লেকের ঠিক মাঝখানে রূপকথার রাজপ্রাসাদের মতো দাঁড়িয়ে আছে নীরমহল।
নৌকায় চড়েই আপনাকে পৌঁছাতে হবে স্বপ্নের নীরমহলে। সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র জলবেষ্টিত প্রাসাদ এটি। সাগরমহল নামে একটি সরকারি পর্যটক নিবাস রয়েছে রুদ্র সাগরের পূর্ব তীরে যার অবস্থান একেবারে নীরমহলের মুখোমুখি। নীরমহল প্রাসাদ ও রুদ্র সাগর কোনোটিই সৌন্দর্যের বিচারে কারো চেয়ে কম নয়।
আর রাতের নীরমহলের সৌন্দর্য তো এককথায় অতুলনীয়। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন কল্পলোকের স্বপ্ননগরী। পুরো ভবনে এমনভাবে
আলোকসম্পাত করা হয়েছে যে, মনে হবে পানিতে ভাসছে দক্ষ শিল্পীর হাতে গড়া কোনো সোনালি রাজহাঁস। আর জোছনা রাত হলে তো কথাই নেই।রুদ্র সাগরে নৌবিহার আপনার ভ্রমণের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেবে।
জায়গাটির নাম নীরমহল কেন হলো এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে কারো মনে। চতুর্দিকে ‘নীর’ অর্থাৎ পানির মধ্যে প্রাসাদটির অবস্থান বলেই এর নাম হয়েছে নীরমহল। নির্মাতা মহারাজা
বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য এই নামকরণ করেন।
এখানে একরাত না থাকলে কিন্তু সৌন্দর্যের আসল স্বরূপ উপভোগ করা যাবে না।
থাকা-খাওয়ার জন্য সাগরমহল পর্যটক
নিবাসের ওপর নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় খরচটাও খুব বেশি নয়।