কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে মাচাপদ্ধতিতে গাছ আলু চাষ। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এই চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। গাছ আলু, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রতি একরে গাছ আলু চাষে খরচ হয় মাত্র তিন হাজার টাকা। এই জমিতে ফলন হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর বাজারমূল্য ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। অন্যদিকে, মাটির নিচে চাষ হওয়া আলুর ফলন সামান্য কম হলেও দাম প্রায় একই। ফলে গাছ আলু চাষে লাভ বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, মার্চ-এপ্রিল মাস গাছ আলু রোপণের উপযুক্ত সময়। রোপণের চার মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। মাচাপদ্ধতিতে চাষ হওয়া এই আলুতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না, ফলে চাষে খরচও কম। একই মাচায় চালকুমড়া, ঝিঙা বা চিচিঙ্গার মতো সাথি ফসলও চাষ করা যায়, যা কৃষকদের আয় বাড়ায়।
লাউতলী গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন জানান, তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে গাছ আলু চাষ করেছেন। তার প্রত্যাশা, প্রতি বিঘায় ১২০ মণ আলু উৎপাদন হবে। গত বছর তিনি ৫০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। কৃষক আসাদ মিয়া জানান, এক একর জমিতে গাছ আলু চাষ করে ৪০ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে এক লাখ টাকারও বেশি লাভ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই আলম বলেন, এ বছর পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪০২ হেক্টর জমিতে গাছ আলুর চাষ হয়েছে। এর অধিকাংশই মাচাপদ্ধতিতে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই আলু দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা চলছে।
গাছ আলুর চাষে রোগবালাই ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ না থাকায় এটি একটি নিরাপদ ও লাভজনক ফসল। তবে, মাচার ব্যবস্থা তৈরি এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করলে এই ফসল আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
গাছ আলু চাষ কিশোরগঞ্জের কৃষকদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও সরকারের সহায়তা পেলে এই ফসল দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
প্রতি একরে গাছ আলু চাষে খরচ হয় মাত্র তিন হাজার টাকা। এই জমিতে ফলন হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর বাজারমূল্য ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। অন্যদিকে, মাটির নিচে চাষ হওয়া আলুর ফলন সামান্য কম হলেও দাম প্রায় একই। ফলে গাছ আলু চাষে লাভ বেশি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে, মার্চ-এপ্রিল মাস গাছ আলু রোপণের উপযুক্ত সময়। রোপণের চার মাস পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। মাচাপদ্ধতিতে চাষ হওয়া এই আলুতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না, ফলে চাষে খরচও কম। একই মাচায় চালকুমড়া, ঝিঙা বা চিচিঙ্গার মতো সাথি ফসলও চাষ করা যায়, যা কৃষকদের আয় বাড়ায়।
লাউতলী গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন জানান, তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে গাছ আলু চাষ করেছেন। তার প্রত্যাশা, প্রতি বিঘায় ১২০ মণ আলু উৎপাদন হবে। গত বছর তিনি ৫০ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। কৃষক আসাদ মিয়া জানান, এক একর জমিতে গাছ আলু চাষ করে ৪০ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে এক লাখ টাকারও বেশি লাভ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই আলম বলেন, এ বছর পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪০২ হেক্টর জমিতে গাছ আলুর চাষ হয়েছে। এর অধিকাংশই মাচাপদ্ধতিতে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এই আলু দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা চলছে।
গাছ আলুর চাষে রোগবালাই ও কীটপতঙ্গের আক্রমণ না থাকায় এটি একটি নিরাপদ ও লাভজনক ফসল। তবে, মাচার ব্যবস্থা তৈরি এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করলে এই ফসল আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
গাছ আলু চাষ কিশোরগঞ্জের কৃষকদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও সরকারের সহায়তা পেলে এই ফসল দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।