২০২৩ সালের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণ কম থাকলেও আক্রান্তর দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া এএবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এসব তথ্য জানান। মহাপরিচালক জানান, এ বছর ঢাকা সিটিতে ২০ থেকে ৪০ বছর বেশি মারা গেছেন। যাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষম ব্যক্তি। অন্যদিকে চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধ মৃত্যুহার বেশি।
তিনি বলেন, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। হাসপাতালে রোগীরা একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া ও সম্ভব হয়ে উঠে না।
এসময় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু রোগটি শহরাঞ্চলের একটি রোগ, তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত (১ ডিসেম্বর) ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৩৫১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৯৪ জন।
বিভাগ ভিত্তিক ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, গত বছর (২০২৩ সাল) ঢাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩২১ জন, তবে ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৫২ হাজার ৯৭৪ জন। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ৪৪ হাজার ৪৩৫ জনের, তবে ২০২৪ সালে এই বিভাগটিতে নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ জন। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিলো ৩৮ হাজার ৪৯ জনের, আর এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ১২ জনের। বরিশালে গত বছর ৩৪ হাজার ৭২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও এ বছর হয়েছে ৭ হাজার ৯৫৭ জনের। ময়মনসিংহে গত বছরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিলে ১৯ হাজার ৪০৯ জনের, তবে এ বছর ২ হাজার ৭৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়াও রাজশাহীতে গত বছর ৮ হাজার ২৬৮ জন এবং এ বছর ৩ হাজার ৪৫২, রংপুরে গত বছর ৫ হাজার ৫৪০ জন এবং এ বছর ১ হাজার ৪৩১ জন, সিলেটে গত বছর ১ হাজার ৪৩৫ জন এবং এ বছর ২৯৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতেও রাজধানী ঢাকা এগিয়ে উল্লেখ করে হালিমুর রশিদ আরও জানান, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সর্বমোট মৃত্যুর ১ হাজার ১৬৩ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা, তবে এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিলো ১২৪ জনের, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিলো ২০৬ জনের, এ বছর মারা গেছে ২৭ জন।
এছাড়াও বরিশাল গত বছর ১২৫ জন এবং এ বছর ৫৬ জন, ময়মনসিংহে গত বছর ৬০ জন এবং এ বছর ১৩ জন, রাজশাহীতে গত বছর ১৬ জন ও এ বছর ৭ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েও মৃত্যু হয়েছে। এ বছর সিলেটে ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু না হলেও গত বছর ১ জনের মৃত্যু হয়েছিলো, আর রংপুরের গত বছর ১০ জনের বিপরীতে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
তিনি বলেন, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। হাসপাতালে রোগীরা একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া ও সম্ভব হয়ে উঠে না।
এসময় সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু রোগটি শহরাঞ্চলের একটি রোগ, তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত (১ ডিসেম্বর) ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৩৫১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৯৪ জন।
বিভাগ ভিত্তিক ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, গত বছর (২০২৩ সাল) ঢাকায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩২১ জন, তবে ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৫২ হাজার ৯৭৪ জন। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় ৪৪ হাজার ৪৩৫ জনের, তবে ২০২৪ সালে এই বিভাগটিতে নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ জন। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিলো ৩৮ হাজার ৪৯ জনের, আর এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ১২ জনের। বরিশালে গত বছর ৩৪ হাজার ৭২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও এ বছর হয়েছে ৭ হাজার ৯৫৭ জনের। ময়মনসিংহে গত বছরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিলে ১৯ হাজার ৪০৯ জনের, তবে এ বছর ২ হাজার ৭৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এছাড়াও রাজশাহীতে গত বছর ৮ হাজার ২৬৮ জন এবং এ বছর ৩ হাজার ৪৫২, রংপুরে গত বছর ৫ হাজার ৫৪০ জন এবং এ বছর ১ হাজার ৪৩১ জন, সিলেটে গত বছর ১ হাজার ৪৩৫ জন এবং এ বছর ২৯৯ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতেও রাজধানী ঢাকা এগিয়ে উল্লেখ করে হালিমুর রশিদ আরও জানান, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সর্বমোট মৃত্যুর ১ হাজার ১৬৩ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা, তবে এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিলো ১২৪ জনের, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিলো ২০৬ জনের, এ বছর মারা গেছে ২৭ জন।
এছাড়াও বরিশাল গত বছর ১২৫ জন এবং এ বছর ৫৬ জন, ময়মনসিংহে গত বছর ৬০ জন এবং এ বছর ১৩ জন, রাজশাহীতে গত বছর ১৬ জন ও এ বছর ৭ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েও মৃত্যু হয়েছে। এ বছর সিলেটে ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু না হলেও গত বছর ১ জনের মৃত্যু হয়েছিলো, আর রংপুরের গত বছর ১০ জনের বিপরীতে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।