ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তার বাবা দিলীপ অধিকারী। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (সিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মেয়ের ন্যায়বিচার পেতে ছয় বছর ধরে লড়াই করেও হতাশ হয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শ্রেণিশিক্ষক, শাখাপ্রধান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপমানজনক আচরণ ও বারবার টি.সি. দেওয়ার হুমকিতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে অরিত্রী আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরদিন দিলীপ অধিকারী পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলেও বিচার প্রক্রিয়া বারবার থমকে যায়। রায়ের তারিখ ছয়বার পেছানো হয়েছে এবং গত জুলাইয়ে পিবিআইকে পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। তবে পিবিআই এখনো কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করেছেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলার স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন, যা ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। তার দাবি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই এখনো এই মামলার সমাপ্তি ঘটেনি।
দিলীপ অধিকারী জানান, “মেয়েকে হারিয়ে ছয়টি বছর কেটে গেছে। কিন্তু ন্যায়বিচার পাইনি। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন বিচার চাইতে থাকব।”
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।