ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকল দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে এটি চলছে বিপুল লোকসান আর ঋণের ভার নিয়ে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতি কেজি চিনির উৎপাদন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫৪২ টাকা, যেখানে প্রতি কেজিতে লোকসান হয়েছে ৪১৭ টাকা। এ অবস্থায় মিলটির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কৃষক, কর্মচারী ও বিশেষজ্ঞ মহলে।
মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মৌসুমে ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৯২০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির আহরণ হার নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৫.৬%, যা উৎপাদনের জন্য অপ্রতুল।
কেন এমন লোকসান?
মোবারকগঞ্জ চিনিকল ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয় নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিলটি কোনো আধুনিকায়নের মুখ দেখেনি। ব্রিটিশ আমলের পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে জ্বালানি খরচ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।
মিলটির জিএম (ফাইন্যান্স) হিরন্ময় বিশ্বাস জানান, "উৎপাদন ব্যয়ের সিংহভাগ যায় কর্মচারীদের বেতন, সরকারের ভ্যাট এবং ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধে। আধুনিকায়ন ছাড়া লোকসানের এই ধারা থামানো অসম্ভব।"
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের অধীন অঞ্চলের কৃষকরা অভিযোগ করেছেন মিলের দুর্নীতি এবং দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে। আখের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চাষিরা অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। ঝিনাইদহের বোড়াই, কাশিমনগর, নারায়ণপুরের মতো আখ ক্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পালংশাক, ড্রাগন ফল, পেয়ারা ও কুল চাষ করছেন।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, "চাষিদের আখ চাষে উৎসাহ দিতে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে আধুনিকায়ন ছাড়া মিলটি লাভের মুখ দেখতে পারবে না।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনবল, এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা।
চলমান লোকসানের ধারা রোধ করতে সরকারকে হয় মিলটি বন্ধ করার, নয়তো আধুনিকায়ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান আবার লাভজনক হয়ে উঠতে পারে যদি কৃষক ও মিল কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করে।
মিল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই মৌসুমে ৭০ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৩ হাজার ৯২০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির আহরণ হার নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৫.৬%, যা উৎপাদনের জন্য অপ্রতুল।
কেন এমন লোকসান?
মোবারকগঞ্জ চিনিকল ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয় নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিলটি কোনো আধুনিকায়নের মুখ দেখেনি। ব্রিটিশ আমলের পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে জ্বালানি খরচ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়।
মিলটির জিএম (ফাইন্যান্স) হিরন্ময় বিশ্বাস জানান, "উৎপাদন ব্যয়ের সিংহভাগ যায় কর্মচারীদের বেতন, সরকারের ভ্যাট এবং ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধে। আধুনিকায়ন ছাড়া লোকসানের এই ধারা থামানো অসম্ভব।"
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের অধীন অঞ্চলের কৃষকরা অভিযোগ করেছেন মিলের দুর্নীতি এবং দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে। আখের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চাষিরা অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন। ঝিনাইদহের বোড়াই, কাশিমনগর, নারায়ণপুরের মতো আখ ক্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা পালংশাক, ড্রাগন ফল, পেয়ারা ও কুল চাষ করছেন।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, "চাষিদের আখ চাষে উৎসাহ দিতে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে আধুনিকায়ন ছাড়া মিলটি লাভের মুখ দেখতে পারবে না।"
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন উন্নত যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনবল, এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা।
চলমান লোকসানের ধারা রোধ করতে সরকারকে হয় মিলটি বন্ধ করার, নয়তো আধুনিকায়ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে একসময়ের ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান আবার লাভজনক হয়ে উঠতে পারে যদি কৃষক ও মিল কর্তৃপক্ষ একযোগে কাজ করে।