দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী শামুকশাহ জিন্দাপীর মেলা এবারও জমজমাট পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শত বছরের এই মেলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
মেলায় বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসেছে। এক বিক্রেতা রহিম উদ্দিন বলেন, "প্রতি বছর এই মেলায় আসি। এ বছর বেচাকেনা বেশ ভালো। মানুষ প্রচুর আসছে।" অপর বিক্রেতা করিম আলী জানান, "মেলায় বাঁশি, খেলনা, ও গৃহস্থালি পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে।" জামাল হোসেন নামে একজন খাবারের দোকানদার বলেন, "পিঠা-পুলি আর ভাপা খাবারের দোকানে সবসময় ভিড় থাকে।"
মেলায় আগত একজন দর্শনার্থী, শামীমা খাতুন বলেন, "এখানে আসলে আনন্দ পাই। মানত করতে এসেছি, আর সঙ্গে পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি।" আরেক দর্শনার্থী আব্দুল মালেক জানান, "ছেলেবেলা থেকেই এই মেলায় আসছি। পুরনো স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে।"
মেলার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হলো শামুকশাহ জিন্দাপীর মাজার। এখানে হাজারো ভক্ত তাদের মানত পূরণের জন্য মোমবাতি জ্বালান, দোয়া করেন এবং তবারক বিতরণ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই মাজারে মানত করলে মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলে তারা বিশ্বাস করেন।
তবে সমাজের উন্নয়ন এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় তরুণ সমাজসেবক তানভীর হোসেন শাকিল বলেন, "শামুকশাহ জিন্দাপীর মেলাটি আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। তবে সমাজের কুসংস্কারগুলো ভুলে গিয়ে এটি আরও আধুনিকভাবে আয়োজন করা যেতে পারে। মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ এবং তাদের চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ ঘটানো উচিত। '২৪ আন্দোলনের' মতো সামাজিক উদ্যোগগুলো এখানে তুলে ধরা গেলে নতুন প্রজন্ম ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেদের ভবিষ্যৎ সংযোগ ঘটাতে পারবে।"
মেলার প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন বীরগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে। তবে শাকিলের মতো তরুণ নেতাদের উদ্যোগের মাধ্যমে এই মেলা আধুনিকতার স্পর্শ পেলে এটি আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে।
মেলায় বিভিন্ন পণ্যের দোকান বসেছে। এক বিক্রেতা রহিম উদ্দিন বলেন, "প্রতি বছর এই মেলায় আসি। এ বছর বেচাকেনা বেশ ভালো। মানুষ প্রচুর আসছে।" অপর বিক্রেতা করিম আলী জানান, "মেলায় বাঁশি, খেলনা, ও গৃহস্থালি পণ্যের ভালো চাহিদা রয়েছে।" জামাল হোসেন নামে একজন খাবারের দোকানদার বলেন, "পিঠা-পুলি আর ভাপা খাবারের দোকানে সবসময় ভিড় থাকে।"
মেলায় আগত একজন দর্শনার্থী, শামীমা খাতুন বলেন, "এখানে আসলে আনন্দ পাই। মানত করতে এসেছি, আর সঙ্গে পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা করেছি।" আরেক দর্শনার্থী আব্দুল মালেক জানান, "ছেলেবেলা থেকেই এই মেলায় আসছি। পুরনো স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে।"
মেলার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হলো শামুকশাহ জিন্দাপীর মাজার। এখানে হাজারো ভক্ত তাদের মানত পূরণের জন্য মোমবাতি জ্বালান, দোয়া করেন এবং তবারক বিতরণ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই মাজারে মানত করলে মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলে তারা বিশ্বাস করেন।
তবে সমাজের উন্নয়ন এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার প্রতি গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় তরুণ সমাজসেবক তানভীর হোসেন শাকিল বলেন, "শামুকশাহ জিন্দাপীর মেলাটি আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। তবে সমাজের কুসংস্কারগুলো ভুলে গিয়ে এটি আরও আধুনিকভাবে আয়োজন করা যেতে পারে। মেলায় তরুণদের অংশগ্রহণ এবং তাদের চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ ঘটানো উচিত। '২৪ আন্দোলনের' মতো সামাজিক উদ্যোগগুলো এখানে তুলে ধরা গেলে নতুন প্রজন্ম ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেদের ভবিষ্যৎ সংযোগ ঘটাতে পারবে।"
মেলার প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন বীরগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে। তবে শাকিলের মতো তরুণ নেতাদের উদ্যোগের মাধ্যমে এই মেলা আধুনিকতার স্পর্শ পেলে এটি আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে।