মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লার শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো উন্মুক্ত থাকবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে এই বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম শতকে নির্মিত শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ৩৭ একরজুড়ে বিস্তৃত এই বিহারে ১১৫টি ভিক্ষু কক্ষ রয়েছে। খননে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেব বংশের চতুর্থ রাজা শ্রী ভবদেব এটি নির্মাণ করেন। বিহার থেকে সংগৃহীত প্রত্নসম্পদ ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত।
জাদুঘরে লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রদর্শিত হয়। ১৯৫৫ সালে প্রথম খননের মাধ্যমে শালবন বিহারের ভূমি নকশা উন্মোচিত হয়। এর চারপাশে ছিল শাল ও গজারির ঘন বন, যা এর নামকরণের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে দর্শনার্থীদের বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। সাধারণ সময়ে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৩০ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১০ টাকা টিকিট লাগে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের মূল্য ২০০-৪০০ টাকা।
বিজয় দিবসে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কুমিল্লার অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাও দেখা যাবে। কোটবাড়ি এলাকায় রয়েছে রূপবান মুড়া, কোটালিমুড়া, ইটাখলা মুড়া, আনন্দবিহার, ভোজবিহার এবং রানির বাংলো।
শীত মৌসুমে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়ে। শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ কুমিল্লার পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিজয় দিবসে বিনা টিকিটে প্রবেশের এই সুবিধা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আনন্দের বার্তা বহন করছে।
অষ্টম শতকে নির্মিত শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ৩৭ একরজুড়ে বিস্তৃত এই বিহারে ১১৫টি ভিক্ষু কক্ষ রয়েছে। খননে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেব বংশের চতুর্থ রাজা শ্রী ভবদেব এটি নির্মাণ করেন। বিহার থেকে সংগৃহীত প্রত্নসম্পদ ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত।
জাদুঘরে লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রদর্শিত হয়। ১৯৫৫ সালে প্রথম খননের মাধ্যমে শালবন বিহারের ভূমি নকশা উন্মোচিত হয়। এর চারপাশে ছিল শাল ও গজারির ঘন বন, যা এর নামকরণের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে দর্শনার্থীদের বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়। সাধারণ সময়ে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের ৩০ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১০ টাকা টিকিট লাগে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের মূল্য ২০০-৪০০ টাকা।
বিজয় দিবসে শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কুমিল্লার অন্যান্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাও দেখা যাবে। কোটবাড়ি এলাকায় রয়েছে রূপবান মুড়া, কোটালিমুড়া, ইটাখলা মুড়া, আনন্দবিহার, ভোজবিহার এবং রানির বাংলো।
শীত মৌসুমে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়ে। শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ কুমিল্লার পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিজয় দিবসে বিনা টিকিটে প্রবেশের এই সুবিধা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আনন্দের বার্তা বহন করছে।