ইরানের বিতর্কিত বাধ্যতামূলক হিজাব আইন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেশটির নীতিনির্ধারকরা। আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে মঙ্গলবার ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহরাম দাবিরি ঘোষণা দেন যে, আইনটি আপাতত বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশটির সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন এবং জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যু ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বদলে দেয়। নৈতিক পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতিবাদ তীব্র আকার ধারণ করে। আন্দোলনের মাধ্যমে নারীরা হিজাব না পরার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন, যা ইরানে বিরল ঘটনা।
বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, আইনটি পুনরায় পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
ইরানের সংসদে কট্টরপন্থীরা এই আইনের পক্ষে অবস্থান নিলেও, জনগণের চাপ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরোধিতার কারণে আইনটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটি কার্যকর করা হবে কিনা, তা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইরানের নারীরা বাধ্যতামূলক হিজাব আইন অমান্য করে চলেছেন। এটি ইরানের নারীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
ইরানের হিজাব আইন স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক চাপের প্রতিফলন। তবে, এই সিদ্ধান্ত ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী পরিবর্তন আনবে, তা সময়ই বলে দেবে।
এসএস
এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশটির সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি এই আইনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন এবং জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যু ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বদলে দেয়। নৈতিক পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যুর পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে নারীদের প্রতিবাদ তীব্র আকার ধারণ করে। আন্দোলনের মাধ্যমে নারীরা হিজাব না পরার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন, যা ইরানে বিরল ঘটনা।
বিক্ষোভ এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে, আইনটি পুনরায় পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
ইরানের সংসদে কট্টরপন্থীরা এই আইনের পক্ষে অবস্থান নিলেও, জনগণের চাপ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরোধিতার কারণে আইনটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এটি কার্যকর করা হবে কিনা, তা নিয়ে দেশটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইরানের নারীরা বাধ্যতামূলক হিজাব আইন অমান্য করে চলেছেন। এটি ইরানের নারীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
ইরানের হিজাব আইন স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক চাপের প্রতিফলন। তবে, এই সিদ্ধান্ত ইরানের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী পরিবর্তন আনবে, তা সময়ই বলে দেবে।
এসএস