অন্তর পরিশুদ্ধ রাখবে যে ৪ আমল নেক আমলের জন্য মনের পবিত্রতা জরুরি। অন্তর পবিত্র, পরিশুদ্ধ না থাকলে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় না। এজন্য অন্তরের পবিত্রতার প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি।
শয়তান মানুষের মনে পাপের কুমন্ত্রণা দেয়। ফলে মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগা) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ (বুখারি শরিফ,হাদিস: ৫০)। যাবতীয় গুনাহ থেকে নিজের মনকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এখানে এমন কিছু আমলের কথা তুলে ধরা হলো যা অন্তর পরিশুদ্ধ রাখে— বেশি বেশি জিকির করা জিকির মানবাত্মার রোগ-ব্যাধি দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে বেশি পরিমাণে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে (সর্বাবস্থায়) আল্লাহর জিকির করে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)
আল্লাহকে ভয় করা
আল্লাহর ভয় মুমিনকে সব পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। সুতরাং আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করা আবশ্যক। ইরশাদ হয়েছে, ‘এতে (কোরআন) যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ২৩)
আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন থাকা
সব কিছু ছেড়ে আল্লাহর স্মরণ ও ধ্যানে নিমগ্ন হওয়ার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার অন্যতম উপায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করুন এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁতে মগ্ন হোন।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৮)।
সর্বোপরি মুমিন আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার ভালোবাসা চাই, এমন আমল চাই, যা আমাকে আপনার কাছে পৌঁছে দেবে। হে আল্লাহ, আপনার ভালোবাসাকে আমার কাছে আমার নিজের থেকে, আমার পরিবার থেকে এবং সুমিষ্ট ঠাণ্ডা পানি থেকে প্রিয় করে দিন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯০)
কোরআন তিলাওয়াত
কোরআন শরিফ তিলাওয়াত নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা‘দ, আয়াত : ২৮)
আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকীর বদলা হবে দশগুণ, একথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তেলাওয়াতে পারদর্শী ব্যক্তিরা সম্মানিত ফেরেশতাগণের সঙ্গে থাকবে। আর যারা আটকিয়ে কষ্ট করে কোরআন তেলাওয়াত করে তারা দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৮৯৮)
শয়তান মানুষের মনে পাপের কুমন্ত্রণা দেয়। ফলে মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয়। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখো, শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা (মুদগা) আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীর তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরাটি হলো কলব।’ (বুখারি শরিফ,হাদিস: ৫০)। যাবতীয় গুনাহ থেকে নিজের মনকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে। এখানে এমন কিছু আমলের কথা তুলে ধরা হলো যা অন্তর পরিশুদ্ধ রাখে— বেশি বেশি জিকির করা জিকির মানবাত্মার রোগ-ব্যাধি দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে বেশি পরিমাণে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে (সর্বাবস্থায়) আল্লাহর জিকির করে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১)
আল্লাহকে ভয় করা
আল্লাহর ভয় মুমিনকে সব পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। সুতরাং আত্মশুদ্ধির জন্য আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করা আবশ্যক। ইরশাদ হয়েছে, ‘এতে (কোরআন) যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ২৩)
আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন থাকা
সব কিছু ছেড়ে আল্লাহর স্মরণ ও ধ্যানে নিমগ্ন হওয়ার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার অন্যতম উপায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি আপনার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করুন এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁতে মগ্ন হোন।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৮)।
সর্বোপরি মুমিন আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার ভালোবাসা চাই, এমন আমল চাই, যা আমাকে আপনার কাছে পৌঁছে দেবে। হে আল্লাহ, আপনার ভালোবাসাকে আমার কাছে আমার নিজের থেকে, আমার পরিবার থেকে এবং সুমিষ্ট ঠাণ্ডা পানি থেকে প্রিয় করে দিন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৯০)
কোরআন তিলাওয়াত
কোরআন শরিফ তিলাওয়াত নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা‘দ, আয়াত : ২৮)
আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তেলাওয়াত করল তার বিনিময়ে সে একটি নেকী পাবে, আর একটি নেকীর বদলা হবে দশগুণ, একথা বলছি না যে, আলিফ-লাম-মীম, একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর, মীম একটি অক্ষর।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)
আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন তেলাওয়াতে পারদর্শী ব্যক্তিরা সম্মানিত ফেরেশতাগণের সঙ্গে থাকবে। আর যারা আটকিয়ে কষ্ট করে কোরআন তেলাওয়াত করে তারা দ্বিগুণ সওয়াব পাবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১৮৯৮)