অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম রোকেয়া নারীদের মুক্ত করেছেন, রংপুর সারা বাংলাদেশকে মুক্ত করবে।
আজ শনিবার বেলা একটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জে মেরিন একাডেমিতে পৌঁছান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখান থেকে গাড়িবহর নিয়ে জাফরপাড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান।
তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন।
আবু সাঈদের বাড়ি থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। তার গুলি খাওয়ার যে ছবি মানুষ দেখল, এরপর মানুষকে আর থামানো যায়নি।
তোমরা যেটা করেছ, সেটা শুধু বাংলাদেশের ঘটনা নয়, তোমরা দ্বিতীয় বিজয় এনে দিয়েছ।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আমরা মহাকাব্য পড়েছি। আবু সাঈদ হলো সেই মহাকাব্যের নায়ক। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে কবিতা, গল্প ও সাহিত্য রচনা হবে।
মহৎ কিছু করার জন্য স্বপ্ন থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো কাজ করতে গেলে একটা স্বপ্ন লাগে। স্বপ্ন থাকলে স্বপ্নের পেছনে ছোটে মানুষ। কাজে নেমে গেলে দেখবে সব হয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ না, তোমরা সব দুনিয়া পাল্টিয়ে দিতে পারো।
তোমাদের জন্ম হয়েছে, অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য।’এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি শোনেন এবং সেগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবু সাঈদকে গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে আন্দোলন জোরদার করা হয়।
একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার বেলা একটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জে মেরিন একাডেমিতে পৌঁছান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখান থেকে গাড়িবহর নিয়ে জাফরপাড়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাতে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান।
তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন।
আবু সাঈদের বাড়ি থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। তার গুলি খাওয়ার যে ছবি মানুষ দেখল, এরপর মানুষকে আর থামানো যায়নি।
তোমরা যেটা করেছ, সেটা শুধু বাংলাদেশের ঘটনা নয়, তোমরা দ্বিতীয় বিজয় এনে দিয়েছ।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, আমরা মহাকাব্য পড়েছি। আবু সাঈদ হলো সেই মহাকাব্যের নায়ক। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে কবিতা, গল্প ও সাহিত্য রচনা হবে।
মহৎ কিছু করার জন্য স্বপ্ন থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যেকোনো কাজ করতে গেলে একটা স্বপ্ন লাগে। স্বপ্ন থাকলে স্বপ্নের পেছনে ছোটে মানুষ। কাজে নেমে গেলে দেখবে সব হয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ না, তোমরা সব দুনিয়া পাল্টিয়ে দিতে পারো।
তোমাদের জন্ম হয়েছে, অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য।’এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি শোনেন এবং সেগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবু সাঈদকে গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে আন্দোলন জোরদার করা হয়।
একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।