বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন তাদের দাবি পূরণে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। রানিং স্টাফদের দাবি, আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার পরিমাণ, মাইলেজ সুবিধা এবং অবসরকালীন ভাতার বিষয়ে আন্দোলন করে আসছেন। রানিং স্টাফদের অভিযোগ, ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে, যা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
মাইলেজের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালানোর জন্য রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সমপরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ পেতেন। এই সুবিধা তাদের বেতনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং পেনশন হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সুবিধা বাতিল হওয়ায় রানিং স্টাফরা দীর্ঘ কর্মঘণ্টা পার করেও আর্থিক নিরাপত্তা হারাচ্ছেন।
সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, "আমাদের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও বাস্তবে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এত পরিশ্রমের পরেও আমাদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করায় আমরা আর্থিক ও মানসিক চাপে আছি।"
কর্মবিরতির প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের রেল পরিষেবায় দেখা দিয়েছে। গত মাসে আংশিক কর্মবিরতির কারণে বেশ কিছু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যস্ত হয় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হলে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, রানিং স্টাফদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, রানিং স্টাফের সংকটের কারণে ট্রেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় পেশা ছাড়ার হার বাড়ছে।
সরকার ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সংকট সমাধান করবে বলে আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
রেলওয়ের রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার পরিমাণ, মাইলেজ সুবিধা এবং অবসরকালীন ভাতার বিষয়ে আন্দোলন করে আসছেন। রানিং স্টাফদের অভিযোগ, ২০২২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে, যা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
মাইলেজের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালানোর জন্য রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সমপরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ পেতেন। এই সুবিধা তাদের বেতনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং পেনশন হিসাবেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সুবিধা বাতিল হওয়ায় রানিং স্টাফরা দীর্ঘ কর্মঘণ্টা পার করেও আর্থিক নিরাপত্তা হারাচ্ছেন।
সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, "আমাদের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও বাস্তবে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এত পরিশ্রমের পরেও আমাদের মাইলেজ সুবিধা বাতিল করায় আমরা আর্থিক ও মানসিক চাপে আছি।"
কর্মবিরতির প্রভাব ইতোমধ্যে দেশের রেল পরিষেবায় দেখা দিয়েছে। গত মাসে আংশিক কর্মবিরতির কারণে বেশ কিছু ট্রেনের শিডিউল বিপর্যস্ত হয় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু হলে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে, রানিং স্টাফদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, রানিং স্টাফের সংকটের কারণে ট্রেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এবং শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ায় পেশা ছাড়ার হার বাড়ছে।
সরকার ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সংকট সমাধান করবে বলে আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা।