কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কামরুল হুদা দাবি করছেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম প্রতিদিন নিলে বেহেশত নিশ্চিত।”
বুধবার (১ জানুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ভিডিওতে কামরুল হুদা বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের জনগণের সঙ্গে কখনো হঠকারিতা করেননি। উনার নাম নিলেই বেহেশত নিশ্চিত, আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ পরিবার লুটপাট করে দেশ শেষ করেছে। শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের মতো ব্যক্তিরা মুক্তিযুদ্ধ করেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেকে ১৯৯৬ সালের পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম যুক্ত করেছেন।”
সভায় কামরুল হুদা স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়েও কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “তারা অতীতে বিএনপির ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২০০টি ছোট লাঠি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
নামাজের সময় মসজিদের মোয়াজ্জিনকে মাইকের পরিবর্তে মুখে আজান দিতে বলার বিষয়টিও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “ভিডিওটি আমি এখনো দেখিনি। দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাব।”
কামরুল হুদা সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। ওই কারণে উনার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে।”
বক্তব্যটি নিয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সমালোচনা সত্ত্বেও কামরুল হুদা তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনো মন্তব্য করেনি।
বিএনপি নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্য মাঝেমধ্যেই আলোচনায় আসে। তবে এই ধরনের ধর্মীয় প্রসঙ্গ যুক্ত করা দলের জন্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) চৌদ্দগ্রাম উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ভিডিওতে কামরুল হুদা বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের জনগণের সঙ্গে কখনো হঠকারিতা করেননি। উনার নাম নিলেই বেহেশত নিশ্চিত, আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ পরিবার লুটপাট করে দেশ শেষ করেছে। শেখ সেলিম ও শেখ হেলালের মতো ব্যক্তিরা মুক্তিযুদ্ধ করেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেকে ১৯৯৬ সালের পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম যুক্ত করেছেন।”
সভায় কামরুল হুদা স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়েও কঠোর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “তারা অতীতে বিএনপির ওপর ভর করে ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য ২০০টি ছোট লাঠি প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
নামাজের সময় মসজিদের মোয়াজ্জিনকে মাইকের পরিবর্তে মুখে আজান দিতে বলার বিষয়টিও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “ভিডিওটি আমি এখনো দেখিনি। দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানাব।”
কামরুল হুদা সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “জিয়াউর রহমান মক্কায় হাজিদের সুবিধার্থে নিম গাছ লাগিয়েছিলেন। ওই কারণে উনার নাম নিলে বেহেশতে যাওয়া যাবে।”
বক্তব্যটি নিয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সমালোচনা সত্ত্বেও কামরুল হুদা তার অবস্থানে অটল রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনো মন্তব্য করেনি।
বিএনপি নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্য মাঝেমধ্যেই আলোচনায় আসে। তবে এই ধরনের ধর্মীয় প্রসঙ্গ যুক্ত করা দলের জন্য বিরূপ প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।