ঢাকার ইউল্যাব ক্যাম্পাসে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি)। উপাচার্যের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই আমরণ অনশন শেষ হয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এক প্রতিনিধির মধ্যস্থতায়।
আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি আঁকার ঘটনায়। ২৯ ডিসেম্বর বিনা অনুমতিতে আঁকা কিছু গ্রাফিতি নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের সতর্কবার্তা দেওয়া হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের তাৎক্ষণিক পদত্যাগ এবং ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি জানান।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের একটি বৃহৎ অংশ আন্দোলনকারীদের দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। একটি স্বাধীন অনলাইন জরিপে দেখা যায়, ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অধ্যাপক ইমরান রহমানকে তার দায়িত্বে বহাল দেখতে চান।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে পাঁচ বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আপত্তিকর গ্রাফিতি আঁকে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের গেট অবরোধ করেন।
আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তার প্রতিনিধি আবদুল হান্নান মাসুদকে পাঠান। আলোচনায় একটি সমঝোতা চুক্তি হয়, যেখানে বলা হয়, ইউজিসি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত উপাচার্য দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।