ভারতের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব কে?
উত্তরে তুমুল বিতর্ক হতে পারে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনা ও সদ্য সমাপ্ত প্যারিস অলিম্পিকে এ ইভেন্টে রুপাজয়ী নীরাজ চোপড়া আছেন। দলীয় ফিল্ড হকিতে তিনবার সোনাজয়ী জাদুকরখ্যাত ধ্যান চাঁদ তো তালিকায় থাকবেনই।
ক্রিকেটার তো গুনে শেষ করাই কঠিন! শচীন টেন্ডুলকার, কপিল দেব, এম এস ধোনি, বিরাট কোহলিরাও থাকবেন অনেকের তালিকায়। থাকবেন ভারতের হয়ে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম সোনাজয়ী সাবেক শুটার অভিনব বিন্দ্রাও। অলিম্পিকে দুবার পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুকে বাদ দেওয়াও কারও কারও জন্য কঠিন হবে।
তবে সুনীল গাভাস্কারের চোখে ভারতের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব তাঁদের কেউই নন। সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টস্টার’–এ লেখা কলামে ভারতীয় কিংবদন্তি তাঁর দেশের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি প্রকাশ পাড়ুকোনকে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে স্বীকৃত গাভাস্কার তাঁর কলামের শুরুতেই বলেছেন, ‘প্রথমত, একদম খোলাসা করে বলি।
অন্যান্য খেলার বাকি সব কিংবদন্তি ও চ্যাম্পিয়নদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখেই নিজের বিনীত মত হলো, প্রকাশ পাড়ুকোন ভারতের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।’ গাভাস্কার এরপর নিজের যুক্তির পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘সেটা শুধু তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতার জন্যই নয়, যেটা দিয়ে তিনি ব্যাডমিন্টন বিশ্ব একাধিকবার জয় করেছেন, এর পাশাপাশি কোর্টে এবং কোর্টের বাইরে আচরণের জন্যও তিনি আমার চোখে খুবই বিশেষ কেউ।
গাভাস্কার প্রকাশ পাড়ুকোনের খেলার সময়ের পরিস্থিতিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘ভুলে যাবেন না, তিনি এমন সময়ে খেলতেন যখন শুধু নিজের সার্ভে পয়েন্ট পাওয়া যেত।
এখনকার মতো প্রতিপক্ষের সার্ভেও পয়েন্ট পাওয়া যেত না তখন। তখন ডেনিশ ও চায়নিজরা ছিল অপরাজেয়। প্রকাশ তাদের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন, সেটাও মাত্র ৭ কিংবা ১০ পয়েন্ট হজম করে, কখনো কখনো সেটাও করতেন না। প্রকাশ প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯৮০ সালে অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। ১৮৯৯ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট ব্যাডমিন্টনে বিশ্বের প্রাচীনতম। ১৯৮০ সালে র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সোনা জয়ের পাশাপাশি ১৯৮৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ১৯৭৮ কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছিলেন প্রকাশ। অবশ্য অলিম্পিকে কখনো পদক জেতা হয়নি তাঁর। ৬৯ বছর বয়সী এ ভারতীয় ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের বাবা।
এবারের প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের ব্যাডমিন্টন দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন প্রকাশ। অলিম্পিকে ভারতের প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের সেমিফাইনালে ওঠায় বড় অবদান রয়েছে তাঁর।
উত্তরে তুমুল বিতর্ক হতে পারে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভেলিন থ্রোয়ে সোনা ও সদ্য সমাপ্ত প্যারিস অলিম্পিকে এ ইভেন্টে রুপাজয়ী নীরাজ চোপড়া আছেন। দলীয় ফিল্ড হকিতে তিনবার সোনাজয়ী জাদুকরখ্যাত ধ্যান চাঁদ তো তালিকায় থাকবেনই।
ক্রিকেটার তো গুনে শেষ করাই কঠিন! শচীন টেন্ডুলকার, কপিল দেব, এম এস ধোনি, বিরাট কোহলিরাও থাকবেন অনেকের তালিকায়। থাকবেন ভারতের হয়ে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম সোনাজয়ী সাবেক শুটার অভিনব বিন্দ্রাও। অলিম্পিকে দুবার পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধুকে বাদ দেওয়াও কারও কারও জন্য কঠিন হবে।
তবে সুনীল গাভাস্কারের চোখে ভারতের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব তাঁদের কেউই নন। সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টস্টার’–এ লেখা কলামে ভারতীয় কিংবদন্তি তাঁর দেশের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি প্রকাশ পাড়ুকোনকে। সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে স্বীকৃত গাভাস্কার তাঁর কলামের শুরুতেই বলেছেন, ‘প্রথমত, একদম খোলাসা করে বলি।
অন্যান্য খেলার বাকি সব কিংবদন্তি ও চ্যাম্পিয়নদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখেই নিজের বিনীত মত হলো, প্রকাশ পাড়ুকোন ভারতের সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।’ গাভাস্কার এরপর নিজের যুক্তির পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘সেটা শুধু তাঁর অবিশ্বাস্য দক্ষতার জন্যই নয়, যেটা দিয়ে তিনি ব্যাডমিন্টন বিশ্ব একাধিকবার জয় করেছেন, এর পাশাপাশি কোর্টে এবং কোর্টের বাইরে আচরণের জন্যও তিনি আমার চোখে খুবই বিশেষ কেউ।
গাভাস্কার প্রকাশ পাড়ুকোনের খেলার সময়ের পরিস্থিতিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘ভুলে যাবেন না, তিনি এমন সময়ে খেলতেন যখন শুধু নিজের সার্ভে পয়েন্ট পাওয়া যেত।
এখনকার মতো প্রতিপক্ষের সার্ভেও পয়েন্ট পাওয়া যেত না তখন। তখন ডেনিশ ও চায়নিজরা ছিল অপরাজেয়। প্রকাশ তাদের বাড়ি পাঠিয়েছিলেন, সেটাও মাত্র ৭ কিংবা ১০ পয়েন্ট হজম করে, কখনো কখনো সেটাও করতেন না। প্রকাশ প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯৮০ সালে অল ইংল্যান্ড ওপেন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। ১৮৯৯ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্ট ব্যাডমিন্টনে বিশ্বের প্রাচীনতম। ১৯৮০ সালে র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন। ১৯৮১ সালে অনুষ্ঠিত ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপে সোনা জয়ের পাশাপাশি ১৯৮৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ১৯৭৮ কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জিতেছিলেন প্রকাশ। অবশ্য অলিম্পিকে কখনো পদক জেতা হয়নি তাঁর। ৬৯ বছর বয়সী এ ভারতীয় ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের বাবা।
এবারের প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের ব্যাডমিন্টন দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন প্রকাশ। অলিম্পিকে ভারতের প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে লক্ষ্মণ সেনের সেমিফাইনালে ওঠায় বড় অবদান রয়েছে তাঁর।