বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগির বিদেশ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো নারী নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য এমনভাবে লড়াই-সংগ্রাম করেননি। এই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে এসে স্বৈরাচারের হাত থেকে দলকে রক্ষা করেছেন।
আন্দোলন করে সেই স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি দলকে যা দিয়েছেন তা অনুসরণ করা দরকার। তিনি সাহসে অবিচল ছিলেন।শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে দলটি।এসময় স্বৈরাচার সরকার পতনের সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। নির্বাচনের পর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে তবেই সত্যিকারের সফলতা আসবে বলে মনে করেন
তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে। ছাত্রদলের অনেক ছেলে মারা গেছে। কোনো বিভেদ করা যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি আমরা এখনো ভাসমান অবস্থায়। অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভারতে বসেও তিনি (শেখ হাসিনা) ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নব্য ফ্যাসিস্ট যেন আমাদের ঘাড়ে চেপে বসতে না পারে।খুব শিগগির খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল দলের চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করেন।
একই সঙ্গে তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান খান রিপন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।