রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নতুন করে অগ্রগতির দাবি করেছে ইউক্রেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা ১ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখল করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি রাশিয়ার ভূখণ্ডে কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীর চালানো সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।
এদিকে রাশিয়াও ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা ইউক্রেন গত ৬ আগস্ট পাল্টা অভিযান শুরু করে।
ইউক্রেন বলছে, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বসতি এবং সুদঝা শহরের দখল নিয়েছে। সীমান্ত থেকে আট কিলোমিটার দূরে শহরটির অবস্থান।
শীর্ষ সেনা কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং ৮২টি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি গ্রামকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে দখলমুক্ত করার দাবি করে রাশিয়া বলেছে, বেলগোরোদ অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে তারা।
এএফপির সংবাদকর্মীরা কুরস্কে দেখেছেন, সীমান্ত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া মানুষের মধ্যে খাবার ও কাপড় বিতরণ করেছে রাশিয়ান রেডক্রস। ৫০০ জনের মতো মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খাবার ও কাপড় সংগ্রহ করেছেন।
রাশিয়া বলেছে, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়েছে অথবা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সুদঝা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া নিনা গলিনিয়ায়েভা এএফপিকে বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, খুব ভীত ছিলাম। সব দিক থেকে শেল ছোড়া হচ্ছিল। বাড়ির ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ, যুদ্ধবিমান ওড়াউড়ি করছিল।
তিনি আরও বলেন আমি সন্ধ্যার সময় রাস্তায় রাস্তায় সেনাদের দেখলাম। তাঁরা বলছিলেন, আপনাদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে সরে যেতে হবে, না হলে তারা আপনাদের মেরে ফেলবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর কুরস্ক ও বেলগোরোদে ছোটখাটো হামলা হলেও এত বড় ধরনের অভিযান এবারই প্রথম।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, আত্মরক্ষার্থে তাঁরা এ অভিযান চালাচ্ছেন।
এদিকে রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী নিকোলাই পত্রুশেভ বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনার সঙ্গে ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব জড়িত।
রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ইরকুৎসক অঞ্চলে একটি রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আঞ্চলিক গভর্নর ইগর কবজেভ বলেছেন, এ ঘটনায় যুদ্ধবিমানটির চার ক্রুর একজন নিহত হয়েছেন। অন্যরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে রাশিয়াও ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করেছে।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার অভিযানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা ইউক্রেন গত ৬ আগস্ট পাল্টা অভিযান শুরু করে।
ইউক্রেন বলছে, তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বসতি এবং সুদঝা শহরের দখল নিয়েছে। সীমান্ত থেকে আট কিলোমিটার দূরে শহরটির অবস্থান।
শীর্ষ সেনা কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ১৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এবং ৮২টি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি গ্রামকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে দখলমুক্ত করার দাবি করে রাশিয়া বলেছে, বেলগোরোদ অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে তারা।
এএফপির সংবাদকর্মীরা কুরস্কে দেখেছেন, সীমান্ত এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া মানুষের মধ্যে খাবার ও কাপড় বিতরণ করেছে রাশিয়ান রেডক্রস। ৫০০ জনের মতো মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে খাবার ও কাপড় সংগ্রহ করেছেন।
রাশিয়া বলেছে, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ এলাকা ছেড়েছে অথবা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সুদঝা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া নিনা গলিনিয়ায়েভা এএফপিকে বলেন, ‘আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, খুব ভীত ছিলাম। সব দিক থেকে শেল ছোড়া হচ্ছিল। বাড়ির ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার, উড়োজাহাজ, যুদ্ধবিমান ওড়াউড়ি করছিল।
তিনি আরও বলেন আমি সন্ধ্যার সময় রাস্তায় রাস্তায় সেনাদের দেখলাম। তাঁরা বলছিলেন, আপনাদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে সরে যেতে হবে, না হলে তারা আপনাদের মেরে ফেলবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর কুরস্ক ও বেলগোরোদে ছোটখাটো হামলা হলেও এত বড় ধরনের অভিযান এবারই প্রথম।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, আত্মরক্ষার্থে তাঁরা এ অভিযান চালাচ্ছেন।
এদিকে রাশিয়ার ইজভেস্তিয়া সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী নিকোলাই পত্রুশেভ বলেছেন, কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনার সঙ্গে ন্যাটো ও পশ্চিমা বিশ্ব জড়িত।
রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় ইরকুৎসক অঞ্চলে একটি রুশ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আঞ্চলিক গভর্নর ইগর কবজেভ বলেছেন, এ ঘটনায় যুদ্ধবিমানটির চার ক্রুর একজন নিহত হয়েছেন। অন্যরা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।