আমাদের দেশে জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার যে পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে তা হলো, ঋণগ্রহীতা জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেয় এবং ঋণদাতা ওই বন্ধকি জমি ভোগ করতে থাকে বা তা থেকে যে কোনোভাবে উপকৃত হতে থাকে ঋণ পরিশোধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে পারলে নিজের জমি ফিরে পায়।
এই পদ্ধতিতে বন্ধক রাখা ও বন্ধক দেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ। ঋণদাতার জন্য বন্ধকি সম্পদ ভোগ করার বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই।
এটা ঋণ দিয়ে তার বিনিময়ে সুদ গ্রহণেরই একটি প্রকার যা ইসলামে অত্যন্ত গর্হিত গুনাহের কাজ। ইবনে সীরীন (রহ.) বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) কাছে এসে বললেন, এক লোক আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন,
مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا.
তুমি ওই ঘোড়ার ওপর যে পরিমাণ আরোহণ করেছ তা সুদ হয়েছে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ১৫০৭১)
এই পদ্ধতি বৈধ করার একটা চেষ্টা করা হয় নামমাত্র ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে। ঋণদাতা জমির মালিককে বাৎসরিক নামমাত্র ভাড়া পরিশোধ করে তা ভোগ করার বিনিময় হিসেবে। এই পদ্ধতিও নাজায়েজ।
কারণ এটা ঋণের বিনিময় গ্রহণের একটা ছুতা ছাড়া কিছুই নয়। ঋণ না দেওয়া হলে জমির মালিক কিছুতেই ওই ভাড়া গ্রহণ করতো না।
এসব নাজায়েজ পদ্ধতিতে ঋণ দিয়ে বন্ধকি জমি ভোগ না করে অর্থদাতা ওই জমি ভাড়া নিতে পারে। অর্থাৎ জমির মালিক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমি ভাড়া দেবে। অর্থদাতা জমির মালিককে অগ্রীম ভাড়া পরিশোধ করবে। এ ক্ষেত্রে জমির ভাড়া ন্যাজ্য ভাড়ার চেয়ে কিছু কম-বেশিও হতে পারে।
ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থদাতা জমি ফেরত দেবে, কিন্তু প্রদেয় টাকা ফেরত পাবে না। তবে সময়ের আগে জমি ফেরত দিলে যে কয়দিন ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াটিয়া ফেরত পাবে।
এই পদ্ধতিতে বন্ধক রাখা ও বন্ধক দেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ। ঋণদাতার জন্য বন্ধকি সম্পদ ভোগ করার বা তা থেকে উপকৃত হওয়ার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই।
এটা ঋণ দিয়ে তার বিনিময়ে সুদ গ্রহণেরই একটি প্রকার যা ইসলামে অত্যন্ত গর্হিত গুনাহের কাজ। ইবনে সীরীন (রহ.) বলেন, এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) কাছে এসে বললেন, এক লোক আমার নিকট একটি ঘোড়া বন্ধক রেখেছে, অতঃপর আমি তাতে আরোহণ করেছি। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন,
مَا أَصَبْتَ مِنْ ظَهْرِهَا فَهُوَ رِبًا.
তুমি ওই ঘোড়ার ওপর যে পরিমাণ আরোহণ করেছ তা সুদ হয়েছে। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ১৫০৭১)
এই পদ্ধতি বৈধ করার একটা চেষ্টা করা হয় নামমাত্র ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে। ঋণদাতা জমির মালিককে বাৎসরিক নামমাত্র ভাড়া পরিশোধ করে তা ভোগ করার বিনিময় হিসেবে। এই পদ্ধতিও নাজায়েজ।
কারণ এটা ঋণের বিনিময় গ্রহণের একটা ছুতা ছাড়া কিছুই নয়। ঋণ না দেওয়া হলে জমির মালিক কিছুতেই ওই ভাড়া গ্রহণ করতো না।
এসব নাজায়েজ পদ্ধতিতে ঋণ দিয়ে বন্ধকি জমি ভোগ না করে অর্থদাতা ওই জমি ভাড়া নিতে পারে। অর্থাৎ জমির মালিক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমি ভাড়া দেবে। অর্থদাতা জমির মালিককে অগ্রীম ভাড়া পরিশোধ করবে। এ ক্ষেত্রে জমির ভাড়া ন্যাজ্য ভাড়ার চেয়ে কিছু কম-বেশিও হতে পারে।
ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থদাতা জমি ফেরত দেবে, কিন্তু প্রদেয় টাকা ফেরত পাবে না। তবে সময়ের আগে জমি ফেরত দিলে যে কয়দিন ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াটিয়া ফেরত পাবে।