২০০৬ সালের এই দিনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল, জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং বিদেশি কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল স্থানীয়রা।
ওই সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও বিডিআর গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন জন। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৬ আগস্ট) ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডির ১৭ বছর পূর্ণ হলো। এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে করা ছয় দফা চুক্তি। কান্না থামেনি নিহতের স্বজনদের। আন্দোলনকারী অনেকের বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হলো—দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া ও ফুলবাড়ী কয়লাখনি, বিরামপুরের দিঘিপাড়া, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর কয়লা খনি।
২০০৫ সাল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে স্যাফট বা টানেল পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হচ্ছে। খনিগুলোর মধ্যে জামালগঞ্জের খনিতে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ বিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। অন্যদিকে, ফুলবাড়ি খনিতে রয়েছে প্রায় ৫৭০ মিলিয়ন টন কয়লা।
১৯৯৪ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা বিএইচপির সঙ্গে চুক্তি হয় সরকারের। পরে এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সরকার ৩০ বছর মেয়াদি একটি অসম চুক্তি করে। প্রস্তাবিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, উত্তোলিত কয়লার মাত্র ছয় শতাংশ পাবে বাংলাদেশ, ৯৪ শতাংশ পাবে এশিয়া এনার্জি। যার ৮০ শতাংশ এশিয়া এনার্জি রফতানি করবে। প্রস্তাবিত কয়লাখনি হলে পুরো ফুলবাড়ী শহরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পানির স্তর নিচে নেমে গেলে কৃষিতে এর প্রভাব পড়বে, হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ। ফলে বিশাল একটি জনবসতি স্থানান্তরিত হবে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে রূপ নেবে পরিবেশবাদীদের এমন হুঁশিয়ারিতে গঠিত হয় ফুলবাড়ী রক্ষা কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন।
তাদের দাবি ছিল—ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জির সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, ফুলবাড়ীতে কোনও উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি হবে না। পরবর্তীতে জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির নেতারা এই আন্দোলনে যোগ দেন।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদসহ জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির নেতারা ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা এলাকায় সভায় যোগ দেন। সেদিন বিকালে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ লাঠি নিয়ে সেখানে সমবেত হন। সমাবেশের পর মিছিল নিয়ে উপজেলার ঢাকা মোড় থেকে এশিয়া এনার্জির কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে তৎকালীন বিডিআর ও পুলিশ গুলি চালায়।
এতে তিন জন নিহত ও দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ফুলবাড়ী। ৩০ আগস্ট তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনের নেতারা। আলোচনায় আন্দোলনকারীদের ছয় দফা প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো—এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, হতাহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের শাস্তি প্রদান, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেফতার এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
ওই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সেদিন নিহত হন সুজাপুর চাঁদপাড়া গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম (২০), বারকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আমিন (১৫) ও উত্তর সাহাবাজপুর গ্রামের সালেকিন (১৭)। একই ঘটনায় দক্ষিণ সাহাবাজপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র, রতনপুর গ্রামের শ্রীমান বাস্কে ও সুজাপুর গ্রামের বাবলু রায়সহ আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।
তারা আরও জানিয়েছেন, ফুলবাড়ীর মানুষের আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রতিনিধি দল ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে একটি বৈঠক করে ছয় দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৭ বছর পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি চুক্তি। সেদিনের কথা মনে হলে আজও তাদের বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে। তারা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি চান না। সেইসঙ্গে ছয় দফার বাস্তবায়ন চান।
সেদিন গুলিতে নিহত তরিকুল ইসলামের বাবা মোকলেছার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছিল। আজও আলোর মুখ দেখেনি সেই তদন্ত।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আজও মামলা প্রত্যাহার হয়নি। ছয় দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী বাবলু রায়ের শরীরে পচন ধরেছে। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না তিনি। তার আক্ষেপ এখনও ছয় দফা চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, জীবিত থাকতে এর বাস্তবায়ন দেখে যেতে চান।
বাবুল রায় বলেন, ‘ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা দেওয়া ছাড়া আমার খোঁজ রাখেনি কেউ।’
আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম ফুলবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে ছয় দফা চুক্তি হয়েছিল, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি, বরং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে। দুটি মামলা এখনও চলমান।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছয় দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন চালিয়ে আসছি। দাবি না মানলে আগামীতে আমরা আবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। যারা সেদিন শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। আবারও আন্দোলন করবো আমরা।
ওই সময় বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশ ও বিডিআর গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন জন। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৬ আগস্ট) ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডির ১৭ বছর পূর্ণ হলো। এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে করা ছয় দফা চুক্তি। কান্না থামেনি নিহতের স্বজনদের। আন্দোলনকারী অনেকের বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো হলো—দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া ও ফুলবাড়ী কয়লাখনি, বিরামপুরের দিঘিপাড়া, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর কয়লা খনি।
২০০৫ সাল থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে স্যাফট বা টানেল পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হচ্ছে। খনিগুলোর মধ্যে জামালগঞ্জের খনিতে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১ বিলিয়ন টন কয়লা রয়েছে। অন্যদিকে, ফুলবাড়ি খনিতে রয়েছে প্রায় ৫৭০ মিলিয়ন টন কয়লা।
১৯৯৪ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা বিএইচপির সঙ্গে চুক্তি হয় সরকারের। পরে এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সরকার ৩০ বছর মেয়াদি একটি অসম চুক্তি করে। প্রস্তাবিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, উত্তোলিত কয়লার মাত্র ছয় শতাংশ পাবে বাংলাদেশ, ৯৪ শতাংশ পাবে এশিয়া এনার্জি। যার ৮০ শতাংশ এশিয়া এনার্জি রফতানি করবে। প্রস্তাবিত কয়লাখনি হলে পুরো ফুলবাড়ী শহরসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পানির স্তর নিচে নেমে গেলে কৃষিতে এর প্রভাব পড়বে, হুমকির মুখে পড়বে পরিবেশ। ফলে বিশাল একটি জনবসতি স্থানান্তরিত হবে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে রূপ নেবে পরিবেশবাদীদের এমন হুঁশিয়ারিতে গঠিত হয় ফুলবাড়ী রক্ষা কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন।
তাদের দাবি ছিল—ফুলবাড়ীতে এশিয়া এনার্জির সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং সরকারকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, ফুলবাড়ীতে কোনও উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি হবে না। পরবর্তীতে জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির নেতারা এই আন্দোলনে যোগ দেন।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদসহ জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির নেতারা ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা এলাকায় সভায় যোগ দেন। সেদিন বিকালে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ লাঠি নিয়ে সেখানে সমবেত হন। সমাবেশের পর মিছিল নিয়ে উপজেলার ঢাকা মোড় থেকে এশিয়া এনার্জির কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে তৎকালীন বিডিআর ও পুলিশ গুলি চালায়।
এতে তিন জন নিহত ও দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। এর প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে ফুলবাড়ী। ৩০ আগস্ট তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনের নেতারা। আলোচনায় আন্দোলনকারীদের ছয় দফা প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো—এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, হতাহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন ও দোষীদের শাস্তি প্রদান, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেফতার এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
ওই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সেদিন নিহত হন সুজাপুর চাঁদপাড়া গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম (২০), বারকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আমিন (১৫) ও উত্তর সাহাবাজপুর গ্রামের সালেকিন (১৭)। একই ঘটনায় দক্ষিণ সাহাবাজপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র, রতনপুর গ্রামের শ্রীমান বাস্কে ও সুজাপুর গ্রামের বাবলু রায়সহ আহত হন দুই শতাধিক মানুষ।
তারা আরও জানিয়েছেন, ফুলবাড়ীর মানুষের আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রতিনিধি দল ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে একটি বৈঠক করে ছয় দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৭ বছর পার হলেও বাস্তবায়ন হয়নি চুক্তি। সেদিনের কথা মনে হলে আজও তাদের বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে। তারা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লাখনি চান না। সেইসঙ্গে ছয় দফার বাস্তবায়ন চান।
সেদিন গুলিতে নিহত তরিকুল ইসলামের বাবা মোকলেছার রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছিল। আজও আলোর মুখ দেখেনি সেই তদন্ত।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আজও মামলা প্রত্যাহার হয়নি। ছয় দফা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’
গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণকারী বাবলু রায়ের শরীরে পচন ধরেছে। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না তিনি। তার আক্ষেপ এখনও ছয় দফা চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি, জীবিত থাকতে এর বাস্তবায়ন দেখে যেতে চান।
বাবুল রায় বলেন, ‘ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা দেওয়া ছাড়া আমার খোঁজ রাখেনি কেউ।’
আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম ফুলবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যে ছয় দফা চুক্তি হয়েছিল, তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি, বরং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে। দুটি মামলা এখনও চলমান।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছয় দফা বাস্তবায়নের আন্দোলন চালিয়ে আসছি। দাবি না মানলে আগামীতে আমরা আবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবো।’
জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। যারা সেদিন শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। আবারও আন্দোলন করবো আমরা।