মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সুমাইয়ার বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখন তার গুটিবসন্ত (স্মল পক্স) হয়। কিছুদিন পর তার জ্বর হয়। এরপর থেকে তার পা আস্তে আস্তে বেঁকে যেতে থাকে। সুমাইয়া বড় হয়, কিন্তু পা আর সোজা হয় না।
সেও এক পায়ে হাঁটার অভ্যাস শুরু করে। একদিন এক প্রতিবেশীর পরামর্শে স্থানীয় কবিরাজের কাছে তাকে নিয়ে যায় তার পরিবার। কবিরাজ ওষুধ দিয়ে বলেন, এ ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে কিন্তু সুমাইয়ার পা আর ঠিক হয় না। বাঁকা পা নিয়েই বড় হতে থাকে সে।
এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী তকমা নিয়ে সেও থেমে যেতে রাজি নয়। তার বয়স যখন ৫ বছর, তখন তার মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। সে-ও পড়াশোনা শুরু করে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নয়, তাকে প্রায় দুই কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে-আসতে হয় লাফিয়ে লাফিয়ে।
গত বছরের ২০ আগস্ট এক পায়ে লাফিয়ে ১ কি.মি পেরিয়ে স্কুলে যায় সুমাইয়া শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ দেখে দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার বীরমুক্তি যোদ্ধা স্বাধনীতার পদক প্রাপ্ত ও ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগরে প্রধান ডা.এম আমজাদ হোসেন সেই সুমাইয়ার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেয়। গত সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে সফল ভাবে তার অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হয়।
সুমাইয়া আক্তার (১১) দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের আলীপাড়ার রিকশাচালক শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে উত্তর আলোকডিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
সুমাইয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের অনেক যায়গায় চিকিৎসা করেছি কিন্তু কোনো ফল পাইনি।পরে আমার মেয়েকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমাদের উপজেলার মুক্তিযুদ্ধা ডা. আমজাদ ভাই ও চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা আপা আমার মেয়ের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসে।
পাশাপাশি সমাজের অনেকেই আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে।আল্লাহর রহমতে মেয়রে অপারেশ সুন্দর ভাবে হয়েছে।আমার মেয়ে এখন কথা বলতে পারছে। ডা. আমজাদ ভাই হাসপাতালের অপারেশনের সমস্ত খরচ বহন করছেন। পাশাপাশ হাসপাতালে যে ঔষধ গুলো নাই সেগুলো ঔষধ বাহির থেকে কিনতেছি। আমি আমার মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা চাই।
চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু বলেন, আমি ফেসবুকে সুমাইয়ার এক পায়ে হেটে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও টা দেখি এবং সুমাইয়ার বাসায় গিয়ে তার বিষয় খবর নেই প্রাথমিক যে চিকিৎসাসেবা লাগবে তার দায়িত্ব আমি নেই পরে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগরে প্রধান যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম আমজাদ হোসেন ভাইয়ের কাছে সুমাইয়াকে নিয়ে যাই।
আমজাদ ভাই সুমাইয়াকে দেখে বলে একে অপারেশন করলে একবারে স্বাভাবিক হতে না পারলেও কিছুটা স্বাভাবিক হাটা চলা করতে পারবে।গত সোমবার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সুমাইয়ার অপারেশন হয়েছে। সে এখন সুস্থ আছে।
মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম আমজাদ হোসেন বলেন, আমি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুমাইয়ার বিষটি জানতে পারি পরে চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু সুমাইয়ার বাবা-মাকে নিয়ে আমার চেম্বারে আসে। তার বাবা খুব গরিব মানুষ ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়।
অপারেশন করার মত টাকা নেই তাদের। পরে আমি সুমাইয়ার অপারেশনের দায়িত্ব নেই। গতকাল তার প্রথম অপারেশন হয়েছে। কিছুদিন পরে আরেকটা অপারেশন করলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে আশা রাখি।
সেও এক পায়ে হাঁটার অভ্যাস শুরু করে। একদিন এক প্রতিবেশীর পরামর্শে স্থানীয় কবিরাজের কাছে তাকে নিয়ে যায় তার পরিবার। কবিরাজ ওষুধ দিয়ে বলেন, এ ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে কিন্তু সুমাইয়ার পা আর ঠিক হয় না। বাঁকা পা নিয়েই বড় হতে থাকে সে।
এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী তকমা নিয়ে সেও থেমে যেতে রাজি নয়। তার বয়স যখন ৫ বছর, তখন তার মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। সে-ও পড়াশোনা শুরু করে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নয়, তাকে প্রায় দুই কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে-আসতে হয় লাফিয়ে লাফিয়ে।
গত বছরের ২০ আগস্ট এক পায়ে লাফিয়ে ১ কি.মি পেরিয়ে স্কুলে যায় সুমাইয়া শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ দেখে দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার বীরমুক্তি যোদ্ধা স্বাধনীতার পদক প্রাপ্ত ও ঢাকা ল্যাবএইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগরে প্রধান ডা.এম আমজাদ হোসেন সেই সুমাইয়ার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেয়। গত সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে সফল ভাবে তার অস্ত্রপাচার সম্পন্ন হয়।
সুমাইয়া আক্তার (১১) দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের আলীপাড়ার রিকশাচালক শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে উত্তর আলোকডিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
সুমাইয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের অনেক যায়গায় চিকিৎসা করেছি কিন্তু কোনো ফল পাইনি।পরে আমার মেয়েকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে আমাদের উপজেলার মুক্তিযুদ্ধা ডা. আমজাদ ভাই ও চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা আপা আমার মেয়ের চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে আসে।
পাশাপাশি সমাজের অনেকেই আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে।আল্লাহর রহমতে মেয়রে অপারেশ সুন্দর ভাবে হয়েছে।আমার মেয়ে এখন কথা বলতে পারছে। ডা. আমজাদ ভাই হাসপাতালের অপারেশনের সমস্ত খরচ বহন করছেন। পাশাপাশ হাসপাতালে যে ঔষধ গুলো নাই সেগুলো ঔষধ বাহির থেকে কিনতেছি। আমি আমার মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা চাই।
চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু বলেন, আমি ফেসবুকে সুমাইয়ার এক পায়ে হেটে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও টা দেখি এবং সুমাইয়ার বাসায় গিয়ে তার বিষয় খবর নেই প্রাথমিক যে চিকিৎসাসেবা লাগবে তার দায়িত্ব আমি নেই পরে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগরে প্রধান যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম আমজাদ হোসেন ভাইয়ের কাছে সুমাইয়াকে নিয়ে যাই।
আমজাদ ভাই সুমাইয়াকে দেখে বলে একে অপারেশন করলে একবারে স্বাভাবিক হতে না পারলেও কিছুটা স্বাভাবিক হাটা চলা করতে পারবে।গত সোমবার ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে সুমাইয়ার অপারেশন হয়েছে। সে এখন সুস্থ আছে।
মুক্তিযোদ্ধা ডা.এম আমজাদ হোসেন বলেন, আমি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুমাইয়ার বিষটি জানতে পারি পরে চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু সুমাইয়ার বাবা-মাকে নিয়ে আমার চেম্বারে আসে। তার বাবা খুব গরিব মানুষ ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়।
অপারেশন করার মত টাকা নেই তাদের। পরে আমি সুমাইয়ার অপারেশনের দায়িত্ব নেই। গতকাল তার প্রথম অপারেশন হয়েছে। কিছুদিন পরে আরেকটা অপারেশন করলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে আশা রাখি।