পড়াশোনা শেষে পাঁচ বছর একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন কায়েদুজ্জামান আজাদ। কিন্তু মন বসাতে পারেননি। ফিরে আসেন গ্রামে। মনোযোগী হন কারুপণ্যের কারখানা প্রতিষ্ঠায়। গ্রামের ৪০ জন নারীকে নিয়ে শুরুও করেন। পণ্য তৈরি হলেও বাজার ধরতে পারছিলেন না। পরে ভ্যানে করে এলাকায় ঘুরে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। তাতেও লাভের দেখা পাননি।
তবে আজাদ সেখানেই থামেননি। আবারও বড় পরিসরে শুরু করেন। কারখানায় বসান সেলাই মেশিনসহ নানা সরঞ্জাম। খুঁজতে থাকেন পণ্যের বাজার। ধীরে ধীরে বাজারের দেখাও পেয়ে যান। এখন তাঁর কারখানায় কাজ করেন গ্রামের তিন শতাধিক নারী। তাঁদের হাতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
আজাদের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পশ্চিম বাসুলী গ্রামে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদ। এর পাড়েই ওই কারখানা গড়েছেন কায়েদুজ্জামান আজাদ (৩৫)। ২০১৬ সালে ৩০ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠিত কারখানার নাম দিয়েছেন ‘রংজুট বিডি’।সম্প্রতি কারখানার আধা পাকা ভবনের কাছে যেতেই কানে এল সেলাই মেশিনের খটখট আওয়াজ।
ভেতরে ঢুকতেই জনা তিরিশেক নারীকে দেখা গেল। পুরুষও আছেন কয়েকজন। কারও মুখে কথা নেই। সেলাই মেশিনের সঙ্গে যেন সুই আর সুতার কথোপকথন চলছে। হোগলাপাতা-পাট-ডসটিং (সুতার তৈরি রশি) দিয়ে বানানো হচ্ছে হোগলার ঝুড়ি, বিভিন্ন ধরনের মাদুর, দোলনা, পাপোশ, জায়নামাজ, টুপিসহ পাঁচ শতাধিক কারুপণ্য।কারখানা ঘুরে দেখা গেল, হোগলাপাতার দড়ি মেশিনের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট আকৃতি ধারণের পর আলাদা করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। কেউ রঙের কাজ করছেন, কেউ যন্ত্রে সুতা দিয়ে রশি বানাচ্ছেন। আজাদ ঘুরে ঘুরে তদারকি করছেন। সেলাই বা মাপে ভুল হলে ধরিয়ে দিচ্ছেন। পাশেই একটি কক্ষে রংবেরঙের নানা কারুপণ্য দেখা গেল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজাদের বাবা প্রয়াত আবুল কালাম ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ৯ ভাইবোনের মধ্যে আজাদ সবার ছোট। ভাইবোনদের প্রায় সবাই শিক্ষকতা করেন। ২০১০ সালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি করেন আজাদ। পরে সাভারের বস্ত্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহকারী টেকনিক্যাল কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। কিন্তু বেতন মনঃপূত না হওয়ায় দুই বছরের মাথায় চাকরি ছেড়ে দেন।
২০১৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর নিজ গ্রাম পশ্চিম বাসুলীতে থিতু হন।কারখানা ঘুরতে ঘুরতে উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বলছিলেন আজাদ। তিনি জানান, চাকরি করার সময়ই কারুপণ্য তৈরির কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায়, বাজার, উৎপাদন ব্যয়, লাভ—সবকিছুর হিসাব কষেছেন তিনি। প্রথমে পরিবারের কেউ রাজি ছিলেন না। গ্রামের ৪০ জন নারীকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। তখন সব পণ্য হাতে তৈরি হতো। আয় কম হওয়ায় অনেকে কাজ ছেড়ে দিলেন। অন্যদিকে কারুপণ্যের বাজার ছিল না। তিনজন বিক্রয় প্রতিনিধি দিয়ে ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছিল না।
আজাদ জানান, স্বপ্নটাকে বড় করতে ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে প্রথমে ছয়টি সেলাই মেশিন আনেন। তখন তিন ধাপে চার শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণ দেন। পরে কারখানায় অর্ধশত সেলাই, ডসটিং, উইভিং ও প্রিন্টিং মেশিন যোগ হয়। বর্তমানে তিনটি শেডে কাজ চলছে। একটিতে তৈরি করা পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানে পণ্যের ভিডিও করে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। কারখানায় প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার পণ্য তৈরি হয়।
রংজুট বিডিতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ৫৪ জন। বিভিন্ন গ্রামে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আড়াই শতাধিক নারী। সংসারের কাজের পাশাপাশি মাসে ৫-৬ হাজার টাকা আয় করেন অস্থায়ী শ্রমিকেরা। স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন ৮ থেকে ১২ হাজার।
নারী শ্রমিকদের অনেকের স্বামী মারা গেছেন, কারও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।কারখানার শ্রমিক সরলা রানী (৪৫) বলেন, ‘প্রথম যখন কাজ শুরু করি, দৈনিক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পেতাম। এখন মাস গেলে ৮ হাজার টাকার ওপরে পাই। ভালোই আছি। ছেলের সংসারে বোঝা হয়ে থাকতে হয়নি।’ শান্তিবালা (৫৮) নামের আরেক নারী বলেন, ‘বয়স হই গেইছে। এই বয়সে কাহো কামকাজ খুঁজি পায় না। এইঠেনা কাম করেছি। দিন গেইলে যা পাই, এইলা দিয়াই পেট চলে।’
কারখানার প্রধান কাঁচামাল হোগলাপাতা ও পাট। ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আজাদ এগুলো সংগ্রহ করেন। পাইকারেরা ট্রাকে মালামাল পাঠিয়ে দেন। দেশে ‘বিডি ক্রিয়েশন’, ‘ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড বিডি’, ‘সানট্রেড লিমিটেড’ উৎপাদিত পণ্যের প্রধান ক্রেতা।
এ ছাড়া ‘ন্যাসকো ঢাকা’, ‘ঢাকা ক্রাফট বিডি’, ‘জাইকা বায়িং হাউস’-এর মাধ্যমে কারুপণ্য রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। শ্রমিকদের বেতনসহ সব খরচের পর মাসে দুই লাখ টাকার ওপর লাভ থাকছে আজাদের।
আজাদের ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা প্রথম প্রথম মানতে পারিনি। পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। আমাদের শিক্ষক পরিবার। ধীরে ধীরে ওর কার্যক্রম দেখে আমরা অভিভূত।এলাকায় এখন পরিচিত মুখ আজাদ। শুধু কারুপণ্য নয়, নদের পাড়ে ৫ হাজার মুরগি নিয়ে খামার গড়ে তুলেছেন।
৩০ শতক জমিতে শুরু করা প্রতিষ্ঠান এখন ঠেকেছে দেড় বিঘায়। সেখানে ফুল-ফলসহ ২০ প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। পণ্য পরিবহনে তিনটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের পাশাপাশি একটি ছোট ট্রাক আছে।
কায়েদুজ্জামান আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজের ও মানুষের জন্য কিছু করতে এলাকায় ফিরতে চেয়েছিলাম। এটা একটা শৌখিন ব্যবসা। প্রথমে লোকসান হয়েছে; কিন্তু হাল ছাড়িনি। এ ব্যবসার ভবিষ্যৎ ভালো। আশপাশের কয়েক গ্রামসহ দেশে-বিদেশে অনেকে আমার রংজুট বিডিকে জানে। এটা অনেক বড় পাওয়া।’
খানসামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দূর পড়ালেখা করেও ছেলেটা এলাকায় ফিরে এত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর কারখানার যাতায়াতের রাস্তাটি ভাঙাচোরা ছিল।
গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর জন্য এলাকাবাসী হিসেবে আমরা গর্ব করি।
তবে আজাদ সেখানেই থামেননি। আবারও বড় পরিসরে শুরু করেন। কারখানায় বসান সেলাই মেশিনসহ নানা সরঞ্জাম। খুঁজতে থাকেন পণ্যের বাজার। ধীরে ধীরে বাজারের দেখাও পেয়ে যান। এখন তাঁর কারখানায় কাজ করেন গ্রামের তিন শতাধিক নারী। তাঁদের হাতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
আজাদের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পশ্চিম বাসুলী গ্রামে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদ। এর পাড়েই ওই কারখানা গড়েছেন কায়েদুজ্জামান আজাদ (৩৫)। ২০১৬ সালে ৩০ শতক জমিতে প্রতিষ্ঠিত কারখানার নাম দিয়েছেন ‘রংজুট বিডি’।সম্প্রতি কারখানার আধা পাকা ভবনের কাছে যেতেই কানে এল সেলাই মেশিনের খটখট আওয়াজ।
ভেতরে ঢুকতেই জনা তিরিশেক নারীকে দেখা গেল। পুরুষও আছেন কয়েকজন। কারও মুখে কথা নেই। সেলাই মেশিনের সঙ্গে যেন সুই আর সুতার কথোপকথন চলছে। হোগলাপাতা-পাট-ডসটিং (সুতার তৈরি রশি) দিয়ে বানানো হচ্ছে হোগলার ঝুড়ি, বিভিন্ন ধরনের মাদুর, দোলনা, পাপোশ, জায়নামাজ, টুপিসহ পাঁচ শতাধিক কারুপণ্য।কারখানা ঘুরে দেখা গেল, হোগলাপাতার দড়ি মেশিনের মাধ্যমে জোড়া লাগানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট আকৃতি ধারণের পর আলাদা করে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। কেউ রঙের কাজ করছেন, কেউ যন্ত্রে সুতা দিয়ে রশি বানাচ্ছেন। আজাদ ঘুরে ঘুরে তদারকি করছেন। সেলাই বা মাপে ভুল হলে ধরিয়ে দিচ্ছেন। পাশেই একটি কক্ষে রংবেরঙের নানা কারুপণ্য দেখা গেল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজাদের বাবা প্রয়াত আবুল কালাম ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ৯ ভাইবোনের মধ্যে আজাদ সবার ছোট। ভাইবোনদের প্রায় সবাই শিক্ষকতা করেন। ২০১০ সালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি করেন আজাদ। পরে সাভারের বস্ত্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহকারী টেকনিক্যাল কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। কিন্তু বেতন মনঃপূত না হওয়ায় দুই বছরের মাথায় চাকরি ছেড়ে দেন।
২০১৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর নিজ গ্রাম পশ্চিম বাসুলীতে থিতু হন।কারখানা ঘুরতে ঘুরতে উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প বলছিলেন আজাদ। তিনি জানান, চাকরি করার সময়ই কারুপণ্য তৈরির কাঁচামাল কোথায় পাওয়া যায়, বাজার, উৎপাদন ব্যয়, লাভ—সবকিছুর হিসাব কষেছেন তিনি। প্রথমে পরিবারের কেউ রাজি ছিলেন না। গ্রামের ৪০ জন নারীকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। তখন সব পণ্য হাতে তৈরি হতো। আয় কম হওয়ায় অনেকে কাজ ছেড়ে দিলেন। অন্যদিকে কারুপণ্যের বাজার ছিল না। তিনজন বিক্রয় প্রতিনিধি দিয়ে ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছিল না।
আজাদ জানান, স্বপ্নটাকে বড় করতে ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে প্রথমে ছয়টি সেলাই মেশিন আনেন। তখন তিন ধাপে চার শতাধিক নারীকে প্রশিক্ষণ দেন। পরে কারখানায় অর্ধশত সেলাই, ডসটিং, উইভিং ও প্রিন্টিং মেশিন যোগ হয়। বর্তমানে তিনটি শেডে কাজ চলছে। একটিতে তৈরি করা পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়। সেখানে পণ্যের ভিডিও করে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। কারখানায় প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার পণ্য তৈরি হয়।
রংজুট বিডিতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ৫৪ জন। বিভিন্ন গ্রামে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন আড়াই শতাধিক নারী। সংসারের কাজের পাশাপাশি মাসে ৫-৬ হাজার টাকা আয় করেন অস্থায়ী শ্রমিকেরা। স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন ৮ থেকে ১২ হাজার।
নারী শ্রমিকদের অনেকের স্বামী মারা গেছেন, কারও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।কারখানার শ্রমিক সরলা রানী (৪৫) বলেন, ‘প্রথম যখন কাজ শুরু করি, দৈনিক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পেতাম। এখন মাস গেলে ৮ হাজার টাকার ওপরে পাই। ভালোই আছি। ছেলের সংসারে বোঝা হয়ে থাকতে হয়নি।’ শান্তিবালা (৫৮) নামের আরেক নারী বলেন, ‘বয়স হই গেইছে। এই বয়সে কাহো কামকাজ খুঁজি পায় না। এইঠেনা কাম করেছি। দিন গেইলে যা পাই, এইলা দিয়াই পেট চলে।’
কারখানার প্রধান কাঁচামাল হোগলাপাতা ও পাট। ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আজাদ এগুলো সংগ্রহ করেন। পাইকারেরা ট্রাকে মালামাল পাঠিয়ে দেন। দেশে ‘বিডি ক্রিয়েশন’, ‘ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড বিডি’, ‘সানট্রেড লিমিটেড’ উৎপাদিত পণ্যের প্রধান ক্রেতা।
এ ছাড়া ‘ন্যাসকো ঢাকা’, ‘ঢাকা ক্রাফট বিডি’, ‘জাইকা বায়িং হাউস’-এর মাধ্যমে কারুপণ্য রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। শ্রমিকদের বেতনসহ সব খরচের পর মাসে দুই লাখ টাকার ওপর লাভ থাকছে আজাদের।
আজাদের ভাই গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা প্রথম প্রথম মানতে পারিনি। পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। আমাদের শিক্ষক পরিবার। ধীরে ধীরে ওর কার্যক্রম দেখে আমরা অভিভূত।এলাকায় এখন পরিচিত মুখ আজাদ। শুধু কারুপণ্য নয়, নদের পাড়ে ৫ হাজার মুরগি নিয়ে খামার গড়ে তুলেছেন।
৩০ শতক জমিতে শুরু করা প্রতিষ্ঠান এখন ঠেকেছে দেড় বিঘায়। সেখানে ফুল-ফলসহ ২০ প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। পণ্য পরিবহনে তিনটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানের পাশাপাশি একটি ছোট ট্রাক আছে।
কায়েদুজ্জামান আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিজের ও মানুষের জন্য কিছু করতে এলাকায় ফিরতে চেয়েছিলাম। এটা একটা শৌখিন ব্যবসা। প্রথমে লোকসান হয়েছে; কিন্তু হাল ছাড়িনি। এ ব্যবসার ভবিষ্যৎ ভালো। আশপাশের কয়েক গ্রামসহ দেশে-বিদেশে অনেকে আমার রংজুট বিডিকে জানে। এটা অনেক বড় পাওয়া।’
খানসামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত দূর পড়ালেখা করেও ছেলেটা এলাকায় ফিরে এত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর কারখানার যাতায়াতের রাস্তাটি ভাঙাচোরা ছিল।
গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর জন্য এলাকাবাসী হিসেবে আমরা গর্ব করি।