ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের পর প্রশাসনিক পদ থেকে শিক্ষকরা গণহারে পদত্যাগ করায় এক প্রকার প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ে দেশের সর্বোত্তরের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। সংকটময় এই মুহূর্তে নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও পদত্যাগ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনিও। সর্বশেষ তার এ পদত্যাগের ফলে একেবারেই প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ল হাবিপ্রবি।
রেজিস্ট্রারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
যেহেতু ভাইস চ্যান্সেলর নেই, সেহেতু ভাইস চ্যান্সেলরের পিএসের কাছে পদত্যাগপত্রটি তিনি জমা দিয়েছেন। পরবর্তীতে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যিনি যোগদান করবেন, তার কাছেই জমা হবে পদত্যাগপত্র।
হাবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগপত্রটি বর্তমানে ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ের সহ-রেজিস্ট্রার মহিউদ্দীন আহমেদের কাছে রয়েছে।
প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, ভিসির পদত্যাগের পর অন্যান্য শিক্ষকরা প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করায় আমিও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম; কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাকে অনুরোধ জানায়, যাতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে তুলে না দেওয়া পর্যন্ত আমি পদত্যাগ না করি।
আমি আবাসিক হলগুলোকে নিরাপদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে তুলে দিয়েছি। এরপর আমি পদত্যাগ করেছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার হাবিপ্রবির বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আরও ৪ জন শিক্ষক।
এরা হচ্ছেন- আইআরডির পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ, গণসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি শিকদার, আইকিউএসইর পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার এবং পরিবহণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. খালিদ হোসেন।
এ নিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ৪৯ জন শিক্ষক। প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে থাকা প্রায় ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষকই তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করায় পুরোপুরি প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ে দেশের সর্বোত্তরের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠটি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
পরে তিনি ৯ আগস্ট ভিসির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে গণহারে পদত্যাগ করতে শুরু করেন শিক্ষকরা।
অবশেষে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনিও। সর্বশেষ তার এ পদত্যাগের ফলে একেবারেই প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ল হাবিপ্রবি।
রেজিস্ট্রারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি বৃহস্পতিবার ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
যেহেতু ভাইস চ্যান্সেলর নেই, সেহেতু ভাইস চ্যান্সেলরের পিএসের কাছে পদত্যাগপত্রটি তিনি জমা দিয়েছেন। পরবর্তীতে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যিনি যোগদান করবেন, তার কাছেই জমা হবে পদত্যাগপত্র।
হাবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রারের পদত্যাগপত্রটি বর্তমানে ভাইস চ্যান্সেলর কার্যালয়ের সহ-রেজিস্ট্রার মহিউদ্দীন আহমেদের কাছে রয়েছে।
প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, ভিসির পদত্যাগের পর অন্যান্য শিক্ষকরা প্রশাসনিক বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করায় আমিও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম; কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাকে অনুরোধ জানায়, যাতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে তুলে না দেওয়া পর্যন্ত আমি পদত্যাগ না করি।
আমি আবাসিক হলগুলোকে নিরাপদ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে তুলে দিয়েছি। এরপর আমি পদত্যাগ করেছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার হাবিপ্রবির বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আরও ৪ জন শিক্ষক।
এরা হচ্ছেন- আইআরডির পরিচালক প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ, গণসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি শিকদার, আইকিউএসইর পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার এবং পরিবহণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. খালিদ হোসেন।
এ নিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ৪৯ জন শিক্ষক। প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে থাকা প্রায় ৫১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪৯ জন শিক্ষকই তাদের প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করায় পুরোপুরি প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়ে দেশের সর্বোত্তরের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠটি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান হাবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
পরে তিনি ৯ আগস্ট ভিসির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে গণহারে পদত্যাগ করতে শুরু করেন শিক্ষকরা।