মেহেরপুর, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): ভোজ্যতেল হিসেবে চাহিদা বাড়ার কারণে অল্পশ্রমে এবং কম খরচে সব ধরণের মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে জেলার কৃষকদের।
আবহাওয়া অনুকূলে থকলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য। জেলার চাষিরা তিলচাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। উৎপাদিত তিল জেলার ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এক সময় মেহেরপুরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তিল চাষ ছিলো। যাদের জমি কম তারাও রবিশষ্য জাতের তিলচাষ করতেন জমির একপাশ দিয়ে। পারিবারিক তেলের চাহিদা ও সুস্বাদু খাবারের জন্য পারিবারিকভাবে তিলচাষ ছিল। বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও কৃষক তিলচাষ করতো। তিলের তেলের চাহিদাও ছিল অনেক। কয়েক বছর আগেও জেলার ১৮টি ইউনিয়নের মাঠে-মাঠে তিলচাষ দেখা যেতো। নানা কারণে তিলচাষে কৃষকের আগ্রহ কমেছিলো।
কৃষকেরা বলছেন, ফলন কম এবং খরচ বেশি হওয়ায় তিলচাষ থেকে তারা সরে এসে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর ফলে জেলায় তিল চাষ কমে গিয়েছিলো। বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলায় তিলচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিল এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলে ঐতিহ্য ধরে রাখতে কৃষক পর্যায়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া দরকার।
ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে।
এ বছর মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর মিলে জেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে তিলচাষ হয়েছে। অনেকে পারিবারিক তেলের চাহিদা মেটাতে তিলচাষ করছেন।
সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের তিলচাষি হরমুত আলী শখের বশে একবিঘা জমিতে তিলচাষ করেছেন।
তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে তিলচাষ করলে ৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। বাজারে এখন আর আগের মতো তিলের তেলের চাহিদাও নেই। তিলের তেলের পরিবর্তে মানুষ সয়াবিন তেল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বিগত বছরগুলোয় বোরো ধান এবং ভুট্টায় ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় তিলচাষে আগ্রহ হারায় কৃষক। তিনি জানান, অল্প পরিশ্রমের ফসল তিল। অন্যান্য ফসলের মতো তিলচাষে তেমন ঝামেলা নেই বললেই চলে। কীটনাশক ও সারও প্রয়োগ করতে হয় না। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ তিল পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলার রাঁধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের চাষি আজগর আলী জানান- আমন আবাদের পর ক্ষেত যখন খালি থাকে তখন তিলচাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিলচাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু ছাগলে তিল খায় না, তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোন খরচ হয় না।
গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের তিলচাষি রহমান সরকার বলেন, এক একর জমিতে তিল আবাদ করেছি। বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ বীজ বপন করেছিলাম। ফুল ও ফলে ভরে যাচ্ছে গাছ। আশা করছি, বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ করে তিল পাবো। সরকারি সহযোগিতা পেলে তিলের আবাদ বাড়াবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এ বছর বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ আবাদ করেছেন চাষিরা। ফলন ভালো হয়েছে। এ ফসল নিয়ে কৃষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তিল চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রাখবো। তিল একটি লাভজনক ফসল হওয়াতে দিন-দিন তিলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থকলে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে যাবে তিল চাষিদের ভাগ্য। জেলার চাষিরা তিলচাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। উৎপাদিত তিল জেলার ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এক সময় মেহেরপুরের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তিল চাষ ছিলো। যাদের জমি কম তারাও রবিশষ্য জাতের তিলচাষ করতেন জমির একপাশ দিয়ে। পারিবারিক তেলের চাহিদা ও সুস্বাদু খাবারের জন্য পারিবারিকভাবে তিলচাষ ছিল। বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও কৃষক তিলচাষ করতো। তিলের তেলের চাহিদাও ছিল অনেক। কয়েক বছর আগেও জেলার ১৮টি ইউনিয়নের মাঠে-মাঠে তিলচাষ দেখা যেতো। নানা কারণে তিলচাষে কৃষকের আগ্রহ কমেছিলো।
কৃষকেরা বলছেন, ফলন কম এবং খরচ বেশি হওয়ায় তিলচাষ থেকে তারা সরে এসে অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এর ফলে জেলায় তিল চাষ কমে গিয়েছিলো। বর্তমানে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলায় তিলচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিল এখন অভিজাত ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলে ঐতিহ্য ধরে রাখতে কৃষক পর্যায়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া দরকার।
ফসলটি আজ বিলুপ্তির পথে।
এ বছর মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর মিলে জেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে তিলচাষ হয়েছে। অনেকে পারিবারিক তেলের চাহিদা মেটাতে তিলচাষ করছেন।
সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের তিলচাষি হরমুত আলী শখের বশে একবিঘা জমিতে তিলচাষ করেছেন।
তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে তিলচাষ করলে ৫ মণ ফলন পাওয়া যায়। বাজারে এখন আর আগের মতো তিলের তেলের চাহিদাও নেই। তিলের তেলের পরিবর্তে মানুষ সয়াবিন তেল ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বিগত বছরগুলোয় বোরো ধান এবং ভুট্টায় ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় তিলচাষে আগ্রহ হারায় কৃষক। তিনি জানান, অল্প পরিশ্রমের ফসল তিল। অন্যান্য ফসলের মতো তিলচাষে তেমন ঝামেলা নেই বললেই চলে। কীটনাশক ও সারও প্রয়োগ করতে হয় না। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৬ মণ তিল পাওয়া যায়।
গাংনী উপজেলার রাঁধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের চাষি আজগর আলী জানান- আমন আবাদের পর ক্ষেত যখন খালি থাকে তখন তিলচাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিলচাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু ছাগলে তিল খায় না, তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোন খরচ হয় না।
গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের তিলচাষি রহমান সরকার বলেন, এক একর জমিতে তিল আবাদ করেছি। বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ বীজ বপন করেছিলাম। ফুল ও ফলে ভরে যাচ্ছে গাছ। আশা করছি, বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ করে তিল পাবো। সরকারি সহযোগিতা পেলে তিলের আবাদ বাড়াবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, এ বছর বারি তিল-৩ ও বারি তিল-৪ আবাদ করেছেন চাষিরা। ফলন ভালো হয়েছে। এ ফসল নিয়ে কৃষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তিল চাষিদের আগ্রহ বৃদ্ধিতে সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রাখবো। তিল একটি লাভজনক ফসল হওয়াতে দিন-দিন তিলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।