যুক্তরাষ্ট্রের সময় আগামীকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিতর্কের মঞ্চে কমলা কি আদৌ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে পারবেন, নাকি প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে নিজেই ধরাশায়ী হবেন—এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল বিপুলসংখ্যক দর্শক টেলিভিশনে কমলা ও ট্রাম্পের এ বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিতর্ককে সামনে রেখে সম্প্রতি এএফপির প্রতিনিধিরা কয়েকজন মার্কিন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেখা গেছে, বিতর্কে কমলা ও ট্রাম্প নীতিমালা ও মূল্যবোধ নিয়ে কী আলোচনা করবেন, তার পাশাপাশি তাঁদের অঙ্গভঙ্গি, সংযম ও পারদর্শিতা নিয়েও ভাবছেন তাঁরা। পেনসিলভানিয়ায় সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফ্লো এবারহার্ট।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্প সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।’ এবারহার্ট মনে করেন, কমলা হ্যারিস মূলত যা কিছু চলছে, তার কোনো কিছুই জানেন না। তিনি কথা বলতে পারেন না।যদিও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা একসময় ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও মার্কিন সিনেটর ছিলেন। তিনি একজন পাকা বিতার্কিক।গত চার বছরে এ ধরনের বড় আয়োজনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা যদিও তাঁর নেই, তবে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকার সময় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার ক্ষমতার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে প্রার্থিতা পাওয়ার দৌড়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁকে নিয়েও তখন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছিলেন কমলা।বিতর্কে ট্রাম্পের অবস্থা কেমন হতে পারে, সে প্রসঙ্গে এবারহার্ট বলেন, ‘তিনি একেবারে ঠিকঠাক থাকবেন। এমন একটি বিষয়ও নেই, যেটা সম্পর্কে ট্রাম্প জানেন না। কমলা হ্যারিসের তরুণ–সমর্থক জ্যামিলা স্কেলস নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের নাশুয়া শহরের বাসিন্দা।
গত বুধবার নর্থ হাম্পটনে ডেমোক্র্যাটদের এক সমাবেশে তাঁর সঙ্গে এএফপির প্রতিনিধির কথা হয়। স্কেলসের বিশ্বাস, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থান দেখাতে পারবেন কমলা। স্কেলস হেসে বলেন, ‘তিনি (কমলা) ভালো করবেন। তিনি খুব ভালোভাবেই তাঁকে (ট্রাম্প) ঘায়েল করবেন। বিতর্ক সম্পর্কে স্কেলস বলেন, ‘আমার আর তর সইছে না। সত্যিই আমি পারছি না। আমার বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ এক অসাধারণ দিন হতে যাচ্ছে। বিতর্কের মঞ্চে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও দম্ভোক্তির বিষয়টি অপরিচিত নয়। তবে ট্রাম্পের সমর্থক জিমি ট্যাগার্ট মনে করেন, কমলা হ্যারিসকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ট্যাগার্ট বলেছেন, ‘তাঁকে (ট্রাম্প) চুপ থাকতে হবে। তিনি (কমলা) নিজেই ধরা খাবেন। কারণ, তিনি (কমলা) কিছুই করতে পারবেন না। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে তিনি কিছুই করেননি। নিষ্ক্রিয় থাকা ট্রাম্পের ধরন নয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে বিতর্কে তিনি তাঁর অবস্থান শক্ত রাখতে পেরেছিলেন।
তবে নিউ হ্যাম্পশায়ারের সমাবেশে হাজির হওয়া সাবেক কৌঁসুলি কেট থম্পসন মনে করেন, কমলা হ্যারিসকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে ট্রাম্প সফল হবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মূল্যবোধ ও অবস্থানকে প্রকাশ করার মতো প্রস্তুতি নিয়েই হাজির হবেন কমলা। আমি মনে করি না, তিনি (কমলা) তাঁকে (ট্রাম্প) কোণঠাসা করার সুযোগ দেবেন।
বিতর্কের মঞ্চে কমলা কি আদৌ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ঘায়েল করতে পারবেন, নাকি প্রতিদ্বন্দ্বীর আক্রমণাত্মক বক্তব্যে নিজেই ধরাশায়ী হবেন—এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামীকাল বিপুলসংখ্যক দর্শক টেলিভিশনে কমলা ও ট্রাম্পের এ বিতর্ক অনুষ্ঠান দেখবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিতর্ককে সামনে রেখে সম্প্রতি এএফপির প্রতিনিধিরা কয়েকজন মার্কিন ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেখা গেছে, বিতর্কে কমলা ও ট্রাম্প নীতিমালা ও মূল্যবোধ নিয়ে কী আলোচনা করবেন, তার পাশাপাশি তাঁদের অঙ্গভঙ্গি, সংযম ও পারদর্শিতা নিয়েও ভাবছেন তাঁরা। পেনসিলভানিয়ায় সম্প্রতি ট্রাম্পের একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফ্লো এবারহার্ট।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্প সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।’ এবারহার্ট মনে করেন, কমলা হ্যারিস মূলত যা কিছু চলছে, তার কোনো কিছুই জানেন না। তিনি কথা বলতে পারেন না।যদিও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা একসময় ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও মার্কিন সিনেটর ছিলেন। তিনি একজন পাকা বিতার্কিক।গত চার বছরে এ ধরনের বড় আয়োজনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা যদিও তাঁর নেই, তবে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে থাকার সময় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার ক্ষমতার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে প্রার্থিতা পাওয়ার দৌড়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁকে নিয়েও তখন আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছিলেন কমলা।বিতর্কে ট্রাম্পের অবস্থা কেমন হতে পারে, সে প্রসঙ্গে এবারহার্ট বলেন, ‘তিনি একেবারে ঠিকঠাক থাকবেন। এমন একটি বিষয়ও নেই, যেটা সম্পর্কে ট্রাম্প জানেন না। কমলা হ্যারিসের তরুণ–সমর্থক জ্যামিলা স্কেলস নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের নাশুয়া শহরের বাসিন্দা।
গত বুধবার নর্থ হাম্পটনে ডেমোক্র্যাটদের এক সমাবেশে তাঁর সঙ্গে এএফপির প্রতিনিধির কথা হয়। স্কেলসের বিশ্বাস, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিজের শক্ত অবস্থান দেখাতে পারবেন কমলা। স্কেলস হেসে বলেন, ‘তিনি (কমলা) ভালো করবেন। তিনি খুব ভালোভাবেই তাঁকে (ট্রাম্প) ঘায়েল করবেন। বিতর্ক সম্পর্কে স্কেলস বলেন, ‘আমার আর তর সইছে না। সত্যিই আমি পারছি না। আমার বিশ্বাস, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ এক অসাধারণ দিন হতে যাচ্ছে। বিতর্কের মঞ্চে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য ও দম্ভোক্তির বিষয়টি অপরিচিত নয়। তবে ট্রাম্পের সমর্থক জিমি ট্যাগার্ট মনে করেন, কমলা হ্যারিসকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। ট্যাগার্ট বলেছেন, ‘তাঁকে (ট্রাম্প) চুপ থাকতে হবে। তিনি (কমলা) নিজেই ধরা খাবেন। কারণ, তিনি (কমলা) কিছুই করতে পারবেন না। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত সাড়ে তিন বছরে তিনি কিছুই করেননি। নিষ্ক্রিয় থাকা ট্রাম্পের ধরন নয়। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে বিতর্কে তিনি তাঁর অবস্থান শক্ত রাখতে পেরেছিলেন।
তবে নিউ হ্যাম্পশায়ারের সমাবেশে হাজির হওয়া সাবেক কৌঁসুলি কেট থম্পসন মনে করেন, কমলা হ্যারিসকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে ট্রাম্প সফল হবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মূল্যবোধ ও অবস্থানকে প্রকাশ করার মতো প্রস্তুতি নিয়েই হাজির হবেন কমলা। আমি মনে করি না, তিনি (কমলা) তাঁকে (ট্রাম্প) কোণঠাসা করার সুযোগ দেবেন।