ছোট পর্দার সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী শায়লা সাথী। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের নানা অভভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
শায়লা সাথী লিখেছেন, আমি আজ কিছু আফসোস এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে চাই । এখন সময় বদলানোর তাই বলা উচিত আমি মনে করি। আপনারা অনেকে জানেন আমার অভিনয়ের যাত্রা prank king-এর মাধ্যমে শুরু এবং এখন পর্যন্ত চলমান। তবে আমি শুধু prank king-এর সঙ্গে কাজ করি বাইরে কেন ভালো কোনো কাজ করছি না? আমি চুক্তিবদ্ধ এমন ও অনেকে মনে করেন। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। prank king আমাকে কাজের স্বাধীনতা দিয়েছে আরও ৩ বছর আগে। আমি সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবুও আমি কেন করতে পারছি না? উত্তর একটাই আমি নিজেকে পণ্য বানিয়ে কোনোদিন কাজ করি নাই, করব না।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি এই ২-৩ বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি শুধু বাইরে সুন্দর গল্প নিয়ে, ভালো আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করতে পারি কিনা। পারি নাই । যতটুকু সম্মানের সঙ্গে করতে পেরেছি আপনারা দেখেছেন করেছি আমি। আমার কো-আর্টিস্ট এবং ডিরেক্টর সবাই আমায় সম্মান দিয়েছে, স্নেহ করেছে। আমাকে বড় বড় কাজ করতে যেয়ে যেসব বাধা ফেইস করতে হয়েছে এগুলো নিয়ে এখন বলতে চাই। আমি সবাই কে জানাতে চাই যতদিন মিডিয়াতে কাজ করবো যোগ্যতা দিয়ে, সম্মান দিয়ে, নিজের শিল্পী নামটার সম্মান রেখে করবো। এতে করে বড় নাম করা শিল্পী হতে না পারলে আমার অভিনয় ছেড়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে সমস্যা নেই ।
শায়লা সাথী ভাষ্য, আমি থিয়েটারের শিক্ষার্থী । আমার করা অভিনয় প্রস্তুতি কোর্সের মধ্যে প্রতিটা সেমিস্টারে ৫ টা করে কোর্স করেছি। আমি যতটুকুই শিখে এসেছি অভিনয়ের বাইরে (মেকাপ, লাইট, সেট ডিজাইন, সিন ওয়ার্ক, ইমপ্রভাইজেশন, নৃত্য, বাচিক, আবহ সঙ্গীত, কস্টিউমসহ আর ও অনেকগুলো কোর্স আমার করা) এখন ও পড়াশোনা শেষ করা বাকি। এই থিয়েটারে পড়ার ইচ্ছাটাই অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন থেকে। এখন বড় শিল্পী হতে পারি নাই ৪ বছরে ও আমার ব্যর্থতা আমার কোনো প্রডিউসার বয়ফ্রেন্ড বা লবিং নেই। এমন অনেক ট্যালেন্টেড ছেলে-মেয়ে আছে যারা আসলে কাজ করার উদ্দেশে পড়াশোনায় করে এসব সাবজেক্টে। কিন্তু সুযোগ কোথায়? কাজের পরিবেশ কোথায়? যতো ভদ্রতাই দেখায় না কেন, যত শালীন পোশাক পরেই বড় বড় সব প্রডিউসারদের কাছে যেয়ে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করি না কেন, সব কথার শেষ কথা, অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আমি করতে পারব, আমার আত্মসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বাবার বয়সী একজনের গার্লফ্রেন্ড হতে পারলে।
তিনি আরও বলেন, আমি ট্যালেন্টেড আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চাই বলে ডেকে নিয়ে এসব প্রস্তাব রাখার সাহস কিভাবে পান তারা? কোনো বারে যেয়ে মদ খেয়ে সবার সঙ্গে নাচানাচি না করলে নায়িকা হওয়া যায় না এসব কথা ও শুনতে হয়েছে মুখ বুজে দাঁতে দাঁত চেপে ভদ্রতা দেখিয়ে। চুপচাপ আশাহতো হয়ে চলে আসতে হয় সেসব বড় বড় প্রজেক্ট হাত ছাড়া করে আত্মসম্মান নিয়ে। এগুলো কখনো বিজনেস করতে আসে না মিডিয়াতে, আর্টিস্ট তৈরি হোক চাই না। চাই মেয়ে নিয়ে ব্যবসা করতে। যারা রিয়েল বিজনেসম্যান তারা কখনোই ভুলেও এসব চাই না। কিছু মানুষের জন্য সবার ধারণাই প্রডিউসার বলতেই খারাপ কেন হবে? আবার কোনো বড় হিরোর সঙ্গে কাজ করতে হবে তার সঙ্গে প্রেম করো ডেট দিয়ে দেবে এসব প্রস্তাব ও রাখা হয়। পান কোথায় এসব সাহস তারা? তবে সব হিরোই খারাপ একটা নতুন মেয়ে এমনটাই ধারণা নিয়ে চলা যাবে না? আসলেই কী হিরো বলতে এমন? ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হিরোও তো আছে। সম্মানটা থাকে কোথায়?
শায়লা সাথী বলেছেন, অবশ্য ওনাদের দোষ কী দেব? কিছু অসভ্য, নির্লজ্জ, লোভী মেয়েরা নিজে থেকেই তাদের এসব প্রস্তাব দেয় নায়িকা পরিচয়ে বাড়ি গাড়ি করতে। এজন্য সাধারণ মানুষও মনে করেন সব নায়িকাই এক এরা এভাবেই নায়িকা হয়। সব নায়কও এক, সব ডিরেক্টরও এক। এসব অসভ্য মুক্ত মিডিয়া কবে হবে? নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করার পরিবেশ কবে পাবো আমরা? কাজ করতে করতে একজন আরেকজনের প্রেমে পড়তেই পারে। ভালোবাসা হতে পারে। কিন্তু এসব নোংরাদের রাজত্ব আর কতদিন? সিনিয়র শিল্পী এবং পরিচালকদের কাছে অনুরোধ করতে চাই আপনারা এসব দালাল চাটুকার মুক্ত একটা মিডিয়া আমাদের উপহার দেন। যেন সম্মানের সহিত বলতে পারি আমি শিল্পী এটাই আমার পরিচয়। যেন কেউ কি করি? অভিনয় শুনলেই নাক না সিটকায়।
তিনি বলেন, আপনারা আমাকে নিয়ে একজন নতুন কারও সঙ্গে ও ভালো প্লান গল্প নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব রাখেন আমি কাজ করব। কিন্তু দয়া করে কাজ করার নামে ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা বা কারও সঙ্গে প্রেমের বিনিময়ে কাজ করতে পারব এমন অসম্মান আমায় করেন না। আমি প্রচণ্ড আত্মসম্মান নিয়ে চলা একটা মেয়ে ভেতর থেকে ভেঙে যায়। আমার অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
আমার চাই শিল্পী হিসেবে সম্মানটুকু। আমার চাই মূল্যায়ন টুকু। আমাকে দিয়ে কাজ আদায় করে নেন । অসম্মানজনক প্রস্তাব যারা করে মেয়ে আর্টিস্টদের তাদের ধরে ধরে মিডিয়া টা নোংরা মুক্ত করেন অনুরোধ। কাজ করতে চাই, কাজ করার পরিবেশ দেন।
শায়লা সাথী লিখেছেন, আমি আজ কিছু আফসোস এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে চাই । এখন সময় বদলানোর তাই বলা উচিত আমি মনে করি। আপনারা অনেকে জানেন আমার অভিনয়ের যাত্রা prank king-এর মাধ্যমে শুরু এবং এখন পর্যন্ত চলমান। তবে আমি শুধু prank king-এর সঙ্গে কাজ করি বাইরে কেন ভালো কোনো কাজ করছি না? আমি চুক্তিবদ্ধ এমন ও অনেকে মনে করেন। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। prank king আমাকে কাজের স্বাধীনতা দিয়েছে আরও ৩ বছর আগে। আমি সবার সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবুও আমি কেন করতে পারছি না? উত্তর একটাই আমি নিজেকে পণ্য বানিয়ে কোনোদিন কাজ করি নাই, করব না।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি এই ২-৩ বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি শুধু বাইরে সুন্দর গল্প নিয়ে, ভালো আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করতে পারি কিনা। পারি নাই । যতটুকু সম্মানের সঙ্গে করতে পেরেছি আপনারা দেখেছেন করেছি আমি। আমার কো-আর্টিস্ট এবং ডিরেক্টর সবাই আমায় সম্মান দিয়েছে, স্নেহ করেছে। আমাকে বড় বড় কাজ করতে যেয়ে যেসব বাধা ফেইস করতে হয়েছে এগুলো নিয়ে এখন বলতে চাই। আমি সবাই কে জানাতে চাই যতদিন মিডিয়াতে কাজ করবো যোগ্যতা দিয়ে, সম্মান দিয়ে, নিজের শিল্পী নামটার সম্মান রেখে করবো। এতে করে বড় নাম করা শিল্পী হতে না পারলে আমার অভিনয় ছেড়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে সমস্যা নেই ।
শায়লা সাথী ভাষ্য, আমি থিয়েটারের শিক্ষার্থী । আমার করা অভিনয় প্রস্তুতি কোর্সের মধ্যে প্রতিটা সেমিস্টারে ৫ টা করে কোর্স করেছি। আমি যতটুকুই শিখে এসেছি অভিনয়ের বাইরে (মেকাপ, লাইট, সেট ডিজাইন, সিন ওয়ার্ক, ইমপ্রভাইজেশন, নৃত্য, বাচিক, আবহ সঙ্গীত, কস্টিউমসহ আর ও অনেকগুলো কোর্স আমার করা) এখন ও পড়াশোনা শেষ করা বাকি। এই থিয়েটারে পড়ার ইচ্ছাটাই অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন থেকে। এখন বড় শিল্পী হতে পারি নাই ৪ বছরে ও আমার ব্যর্থতা আমার কোনো প্রডিউসার বয়ফ্রেন্ড বা লবিং নেই। এমন অনেক ট্যালেন্টেড ছেলে-মেয়ে আছে যারা আসলে কাজ করার উদ্দেশে পড়াশোনায় করে এসব সাবজেক্টে। কিন্তু সুযোগ কোথায়? কাজের পরিবেশ কোথায়? যতো ভদ্রতাই দেখায় না কেন, যত শালীন পোশাক পরেই বড় বড় সব প্রডিউসারদের কাছে যেয়ে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করি না কেন, সব কথার শেষ কথা, অনেক বড় বড় প্রজেক্ট আমি করতে পারব, আমার আত্মসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বাবার বয়সী একজনের গার্লফ্রেন্ড হতে পারলে।
তিনি আরও বলেন, আমি ট্যালেন্টেড আমাকে দিয়ে কাজ করাতে চাই বলে ডেকে নিয়ে এসব প্রস্তাব রাখার সাহস কিভাবে পান তারা? কোনো বারে যেয়ে মদ খেয়ে সবার সঙ্গে নাচানাচি না করলে নায়িকা হওয়া যায় না এসব কথা ও শুনতে হয়েছে মুখ বুজে দাঁতে দাঁত চেপে ভদ্রতা দেখিয়ে। চুপচাপ আশাহতো হয়ে চলে আসতে হয় সেসব বড় বড় প্রজেক্ট হাত ছাড়া করে আত্মসম্মান নিয়ে। এগুলো কখনো বিজনেস করতে আসে না মিডিয়াতে, আর্টিস্ট তৈরি হোক চাই না। চাই মেয়ে নিয়ে ব্যবসা করতে। যারা রিয়েল বিজনেসম্যান তারা কখনোই ভুলেও এসব চাই না। কিছু মানুষের জন্য সবার ধারণাই প্রডিউসার বলতেই খারাপ কেন হবে? আবার কোনো বড় হিরোর সঙ্গে কাজ করতে হবে তার সঙ্গে প্রেম করো ডেট দিয়ে দেবে এসব প্রস্তাব ও রাখা হয়। পান কোথায় এসব সাহস তারা? তবে সব হিরোই খারাপ একটা নতুন মেয়ে এমনটাই ধারণা নিয়ে চলা যাবে না? আসলেই কী হিরো বলতে এমন? ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হিরোও তো আছে। সম্মানটা থাকে কোথায়?
শায়লা সাথী বলেছেন, অবশ্য ওনাদের দোষ কী দেব? কিছু অসভ্য, নির্লজ্জ, লোভী মেয়েরা নিজে থেকেই তাদের এসব প্রস্তাব দেয় নায়িকা পরিচয়ে বাড়ি গাড়ি করতে। এজন্য সাধারণ মানুষও মনে করেন সব নায়িকাই এক এরা এভাবেই নায়িকা হয়। সব নায়কও এক, সব ডিরেক্টরও এক। এসব অসভ্য মুক্ত মিডিয়া কবে হবে? নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করার পরিবেশ কবে পাবো আমরা? কাজ করতে করতে একজন আরেকজনের প্রেমে পড়তেই পারে। ভালোবাসা হতে পারে। কিন্তু এসব নোংরাদের রাজত্ব আর কতদিন? সিনিয়র শিল্পী এবং পরিচালকদের কাছে অনুরোধ করতে চাই আপনারা এসব দালাল চাটুকার মুক্ত একটা মিডিয়া আমাদের উপহার দেন। যেন সম্মানের সহিত বলতে পারি আমি শিল্পী এটাই আমার পরিচয়। যেন কেউ কি করি? অভিনয় শুনলেই নাক না সিটকায়।
তিনি বলেন, আপনারা আমাকে নিয়ে একজন নতুন কারও সঙ্গে ও ভালো প্লান গল্প নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব রাখেন আমি কাজ করব। কিন্তু দয়া করে কাজ করার নামে ডেকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা বা কারও সঙ্গে প্রেমের বিনিময়ে কাজ করতে পারব এমন অসম্মান আমায় করেন না। আমি প্রচণ্ড আত্মসম্মান নিয়ে চলা একটা মেয়ে ভেতর থেকে ভেঙে যায়। আমার অভিনেত্রী হবার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
আমার চাই শিল্পী হিসেবে সম্মানটুকু। আমার চাই মূল্যায়ন টুকু। আমাকে দিয়ে কাজ আদায় করে নেন । অসম্মানজনক প্রস্তাব যারা করে মেয়ে আর্টিস্টদের তাদের ধরে ধরে মিডিয়া টা নোংরা মুক্ত করেন অনুরোধ। কাজ করতে চাই, কাজ করার পরিবেশ দেন।