সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে অনুমোদন দেওয়া বেসরকারি খাতের পদ্মা ব্যাংকের কাছে ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকা পাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করতে মন্ত্রণালয় বারবার তাগিদ দিলেও ব্যাংক বলছে, তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) তিন হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তহবিল থেকে কিছু টাকা তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জমা রেখেছিল।রিজওয়ানা বলেন, ব্যাংকে জমা করা টাকার পরিমাণ এখন সুদসহ ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকার বেশি, কিন্তু পদ্মা ব্যাংক বারবার দাবি করা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রতি বছর এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) নবায়ন করছে। উপদেষ্টা বলেন, এখন ব্যাংক বলছে যে তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। সরকারও জানতে চাইবে যে, কেন মন্ত্রণালয়গুলো সরকারি টাকা বেসরকারি ব্যাংকে জমা করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত পেতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত আনার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলবে।রিজওয়ানা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডে (বিসিসিটিএফ) তিন হাজার ৯৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তহবিল থেকে কিছু টাকা তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) জমা রেখেছিল।রিজওয়ানা বলেন, ব্যাংকে জমা করা টাকার পরিমাণ এখন সুদসহ ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫৩ টাকার বেশি, কিন্তু পদ্মা ব্যাংক বারবার দাবি করা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই প্রতি বছর এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ) নবায়ন করছে। উপদেষ্টা বলেন, এখন ব্যাংক বলছে যে তারা ২০৩৮ সালের আগে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের নাজুক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। সরকারও জানতে চাইবে যে, কেন মন্ত্রণালয়গুলো সরকারি টাকা বেসরকারি ব্যাংকে জমা করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত পেতে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। আজ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জমা করা জনগণের অর্থ ফেরত আনার জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলবে।রিজওয়ানা বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ তৈরি করবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।