শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নতুন উপ-উপাচার্য ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ ড. মো. ইসমাইল হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ করালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পলাশ বখতিয়ার। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুমুল সমালোচনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন। শপথবাক্যে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার শপথ নেন নবনিযুক্ত দুই প্রশাসক।
শপথবাক্যে পড়ানো হয় শুকরিয়া যে, আমরা ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি লাভ করেছি। আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে যোগদানের মুহূর্তে ২৪ জুলাইয়ের সকল শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। মহান জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ও আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আমরা শপথ করছি যে, বিপ্লবী সরকার কর্তৃক যে দিকনির্দেশনা আমরা পেয়েছি এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা এবং গবেষণা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সচেষ্ট থাকবো। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য আপসহীনভাবে নিয়োজিত থাকবো। আমাদের বিদ্যা, গবেষণা সৎ কাজের মাধ্যমে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবি দেশের জনগণের এবং বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে যেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, তা নিশ্চিত করবো।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে শিক্ষকদের ছোট করে কিছু করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে সভাটিতে শোকাবহ একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঐ পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একসাথে দাঁড়িয়ে শপথ পাঠ করেন। এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত কোনও শপথবাক্য পাঠ না। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সভার পরিবেশটি শোকাবহ হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ক্ষোভ, দেশের চলমান ঘটনার প্রেক্ষাপটে ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের উচ্চাশা এবং নতুন প্রশাসন আসায় অতিমাত্রায় আবেগে আপ্লুত হওয়া ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাক্যগুলো সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছে। ঘটনাটি যেভাবে সমালোচিত হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এমনটি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন। শপথবাক্যে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আদর্শ ধারণ করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার শপথ নেন নবনিযুক্ত দুই প্রশাসক।
শপথবাক্যে পড়ানো হয় শুকরিয়া যে, আমরা ছাত্র জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি লাভ করেছি। আজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে যোগদানের মুহূর্তে ২৪ জুলাইয়ের সকল শহীদদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। মহান জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ও আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আমরা শপথ করছি যে, বিপ্লবী সরকার কর্তৃক যে দিকনির্দেশনা আমরা পেয়েছি এবং জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষা এবং গবেষণা উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে সচেষ্ট থাকবো। দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য আপসহীনভাবে নিয়োজিত থাকবো। আমাদের বিদ্যা, গবেষণা সৎ কাজের মাধ্যমে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাবিপ্রবি দেশের জনগণের এবং বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে যেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, তা নিশ্চিত করবো।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে শিক্ষকদের ছোট করে কিছু করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে সভাটিতে শোকাবহ একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঐ পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একসাথে দাঁড়িয়ে শপথ পাঠ করেন। এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত কোনও শপথবাক্য পাঠ না। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সভার পরিবেশটি শোকাবহ হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ক্ষোভ, দেশের চলমান ঘটনার প্রেক্ষাপটে ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাদের উচ্চাশা এবং নতুন প্রশাসন আসায় অতিমাত্রায় আবেগে আপ্লুত হওয়া ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাক্যগুলো সবার মুখে উচ্চারিত হয়েছে। ঘটনাটি যেভাবে সমালোচিত হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে এমনটি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন।