খুচরা বিক্রেতারা তাদের ক্রয়মূল্যের চেয়ে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করছেন। এতে বিপুল পরিমাণ মুনাফা পকেটে ভরছেন তারা।
অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে দেশের এই জাতীয় মাছ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সাম্প্রতিক এক তদন্তে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
ভোক্তা অধিদফতরের তথ্য মতে, দেড় কেজির ইলিশ পাইকারিতে প্রতি কেজি ১,৮০০ টাকায়, এক কেজির ইলিশ ১,৬০০ টাকায় এবং ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১,৪৫০–১,৪৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আধা কেজি ওজনের ইলিশের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিদরে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অধিদফতর দেখতে পেয়েছে, খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বাজার থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজিতে ইলিশ কিনে ২ হাজার ২০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এতে প্রতি কেজি ইলিশে তারা ৭৫০ টাকা মুনাফা করছেন।
ভোক্তা অধিদফতর খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফাকে ইলিশের দাম বাড়ার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অধিদপ্তরের ঢাকা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, 'ইলিশের বর্তমান খুচরামূল্য অযৌক্তিক। পাইকারি বিক্রেতারা রসিদ দিচ্ছেন না, যা দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। কারওয়ান বাজারে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এ কর্মকর্তা বলেন তারা [ইলিশ বিক্রেতারা] ভোক্তাদের ঠকাতে ওজনেও কারসাজি করছেন।
কারওয়ান বাজারে অভিযানের সময় কর্মকর্তারা দেখতে পান, পাইকারি বিক্রেতারা ইলিশের বিক্রির সঠিক রেকর্ড রাখছেন না বা নগদ মেমো প্রদান করছেন না।
এর সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করছেন। সঠিক কাগজপত্র না দেওয়ায় পাঁচ পাইকারকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এদিন। ভবিষ্যতে সমস্ত লেনদেনের নগদ মেমো নেওয়া এবং সংরক্ষণ করতে তাদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, ভারতে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইলিশের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া, আসন্ন দুর্গাপূজা এবং আগামী মাসে শুরু হওয়া ইলিশ মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক ব্যবসায়ী ইলিশ মজুত করতে শুরু করেছেন, যার ফলে বাজারে এ মাছের দাম আরও বেড়েছে।
যাত্রাবাড়ী আড়তে মনপুরা, ভোলা, মহিপাল, ফেনী, চাঁদপুর, পাথরঘাটা ইত্যাদি এলাকা থেকে ইলিশ এনে বিক্রি করেন প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে দেশের এই জাতীয় মাছ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সাম্প্রতিক এক তদন্তে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
ভোক্তা অধিদফতরের তথ্য মতে, দেড় কেজির ইলিশ পাইকারিতে প্রতি কেজি ১,৮০০ টাকায়, এক কেজির ইলিশ ১,৬০০ টাকায় এবং ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ১,৪৫০–১,৪৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আধা কেজি ওজনের ইলিশের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিদরে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অধিদফতর দেখতে পেয়েছে, খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বাজার থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজিতে ইলিশ কিনে ২ হাজার ২০০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি করছেন। এতে প্রতি কেজি ইলিশে তারা ৭৫০ টাকা মুনাফা করছেন।
ভোক্তা অধিদফতর খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মুনাফাকে ইলিশের দাম বাড়ার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অধিদপ্তরের ঢাকা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, 'ইলিশের বর্তমান খুচরামূল্য অযৌক্তিক। পাইকারি বিক্রেতারা রসিদ দিচ্ছেন না, যা দাম বাড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। কারওয়ান বাজারে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এ কর্মকর্তা বলেন তারা [ইলিশ বিক্রেতারা] ভোক্তাদের ঠকাতে ওজনেও কারসাজি করছেন।
কারওয়ান বাজারে অভিযানের সময় কর্মকর্তারা দেখতে পান, পাইকারি বিক্রেতারা ইলিশের বিক্রির সঠিক রেকর্ড রাখছেন না বা নগদ মেমো প্রদান করছেন না।
এর সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করছেন। সঠিক কাগজপত্র না দেওয়ায় পাঁচ পাইকারকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এদিন। ভবিষ্যতে সমস্ত লেনদেনের নগদ মেমো নেওয়া এবং সংরক্ষণ করতে তাদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের কর্মকর্তাদের মতে, ভারতে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইলিশের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া, আসন্ন দুর্গাপূজা এবং আগামী মাসে শুরু হওয়া ইলিশ মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক ব্যবসায়ী ইলিশ মজুত করতে শুরু করেছেন, যার ফলে বাজারে এ মাছের দাম আরও বেড়েছে।
যাত্রাবাড়ী আড়তে মনপুরা, ভোলা, মহিপাল, ফেনী, চাঁদপুর, পাথরঘাটা ইত্যাদি এলাকা থেকে ইলিশ এনে বিক্রি করেন প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী।