জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনকে ঘিরে নিউ ইয়র্কে বসেছে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে কে নেই সেখানে? ১৯১ সদস্য-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তো বটেই, সেই মেলায় জড়ো হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল খ্যাত নিউ ইয়র্কের সেই মঞ্চে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন নতুন এক বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন ছিলো ইউনূসময়। ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি এবার এমন সব ঘটনাই ঘটছে বাংলাদেশকে ঘিরে। বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে যেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ড. ইউনূস, সেখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি।
তবে এত কিছুর মাঝেও গুরুত্বের বিচারে লাইমলাইটে ছিলো মার্কিন প্রেসিডেণ্ট জো বাইডেনের সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক। দুই নেতার বৈঠকের জন্য ১৫ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকলেও তারা খুবই আন্তরিক পরিবেশে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আন্তরিকতাপূর্ণ এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মানের এবং খুবই ইতিবাচক। এতে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থনের একটি শক্তিশালী স্বীকৃতি। যা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে। এখানে তৃতীয়পক্ষের জায়গাটা আর খুব একটা নেই। যা বাংলাদেশকে পূণর্গঠনের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পেন্ডিং ইস্যুগুলো সুরাহার ক্ষেত্রে এ বৈঠক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলেও তারা মনে করেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যেসব সংস্কার কার্যক্রম করা হবে সেগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ও সহজ হবে।
গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপড়েন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিলো। এই টানাপড়েনের দৃশ্যমান সূচনা হয়েছিলো ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে। এরপর ২০২৩ সালের পঁচিশে মে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন সামনে রেখে ভিসা নীতি ঘোষণা করে, যা তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নজিরবিহীন চাপে ফেলে দিয়েছিলো। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ বা ওই এলাকায় সামরিক ঘাঁটি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, এমন বক্তব্যও তারা দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চেষ্টায় বরফ অনেকটাই গলতে শুরু করেছে। ড ইউনূস ও বাইডেনের এমন বৈঠক উপমাহাদেশের ভূ-রাজনীতিতে কৌশলগতভাবে বাংলাদেশকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
এছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের এমন উপস্থিতি বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে কে নেই সেখানে? ১৯১ সদস্য-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তো বটেই, সেই মেলায় জড়ো হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল খ্যাত নিউ ইয়র্কের সেই মঞ্চে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি পরিচয় করিয়ে দিলেন নতুন এক বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন ছিলো ইউনূসময়। ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি এবার এমন সব ঘটনাই ঘটছে বাংলাদেশকে ঘিরে। বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে যেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ড. ইউনূস, সেখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি।
তবে এত কিছুর মাঝেও গুরুত্বের বিচারে লাইমলাইটে ছিলো মার্কিন প্রেসিডেণ্ট জো বাইডেনের সাথে ড. ইউনূসের বৈঠক। দুই নেতার বৈঠকের জন্য ১৫ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকলেও তারা খুবই আন্তরিক পরিবেশে প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, আন্তরিকতাপূর্ণ এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মানের এবং খুবই ইতিবাচক। এতে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মার্কিন সমর্থনের একটি শক্তিশালী স্বীকৃতি। যা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে। এখানে তৃতীয়পক্ষের জায়গাটা আর খুব একটা নেই। যা বাংলাদেশকে পূণর্গঠনের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পেন্ডিং ইস্যুগুলো সুরাহার ক্ষেত্রে এ বৈঠক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলেও তারা মনে করেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে যেসব সংস্কার কার্যক্রম করা হবে সেগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ও সহজ হবে।
গত কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপড়েন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিলো। এই টানাপড়েনের দৃশ্যমান সূচনা হয়েছিলো ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে। এরপর ২০২৩ সালের পঁচিশে মে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন সামনে রেখে ভিসা নীতি ঘোষণা করে, যা তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নজিরবিহীন চাপে ফেলে দিয়েছিলো। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ বা ওই এলাকায় সামরিক ঘাঁটি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, এমন বক্তব্যও তারা দিয়েছেন, যা যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চেষ্টায় বরফ অনেকটাই গলতে শুরু করেছে। ড ইউনূস ও বাইডেনের এমন বৈঠক উপমাহাদেশের ভূ-রাজনীতিতে কৌশলগতভাবে বাংলাদেশকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
এছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের এমন উপস্থিতি বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।