‘আমরা যদি থাকি সৎ-দেশ সংস্কার সম্ভব’ স্লোগান সামনে রেখে সারা দেশে যৌথ কর্মীসভা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ তিন সংগঠন– যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে তৃণমূল পর্যায়ে এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
দুই দিনের এ কর্মসূচির প্রথম দিনে এই তিন সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা কিংবা কর্মীসভা করা হবে। আর দ্বিতীয় দিনে বিএনপির আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিয় সভা করা হবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের যৌথ নেতৃত্বে একটি টিম যাবে বরিশাল, খুলনা ও ফরিদপুর বিভাগে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল করিম পলের নেতৃত্বে আরেকটি টিম যাবে সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহী বিভাগে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ নেতৃত্বে আরেকটি টিম যাবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পরিচিত নয়। কারণ গত এক দশকের বেশি সময় স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচন বর্জনের কারণে ধানের শীষ সবার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে বিএনপির প্রতীক তুলে ধরার একটি লক্ষ্য থাকবে এই সফরে।
বিএনপি নেতারা আরও বলছেন, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। সেখান থেকে সংগঠনকে সক্রিয় করে দলীয় কোন্দল নিরসন এবং দলের নীতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনতে যৌথভাবে তিন সংগঠনের এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামীকাল (শনিবার) বরিশাল বিভাগ দিয়ে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেখানে দুটি অনুষ্ঠান হবে। একটি হবে এই তিন সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি হবে আগামী দিনের বিএনপির রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে লিফলেট বিতরণ। একইসঙ্গে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। সেখানে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের যদি কোনো জিজ্ঞাসা কিংবা প্রস্তাব থাকে, তা আমরা গ্রহণ করব। পরে সেটি সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা ও প্রস্তাব হিসেবে দলের ফোরামে দেওয়া হবে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পজিটিভ রাজনীতি নিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে চিন্তাভাবনা সেটি তুলে ধরা হবে এ সফরে– যোগ করেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক।
এ সফরে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করা হবে বলে জানান নাছির। তিনি বলেন, এ সফরে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে কোনো ধরনের মোটরসাইকেল শোডাউন না করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ এ ধরনের শোডাউনে মানুষ বিরক্ত হয়। আমরা এই পরিবর্তন করতে চাই।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তারই অংশ হিসেবে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন তৃণমূল পর্যায়ে কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে। যা দলের ও আগামী দিনের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করি।
দুই দিনের এ কর্মসূচির প্রথম দিনে এই তিন সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা কিংবা কর্মীসভা করা হবে। আর দ্বিতীয় দিনে বিএনপির আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিয় সভা করা হবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের যৌথ নেতৃত্বে একটি টিম যাবে বরিশাল, খুলনা ও ফরিদপুর বিভাগে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল করিম পলের নেতৃত্বে আরেকটি টিম যাবে সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহী বিভাগে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ নেতৃত্বে আরেকটি টিম যাবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে।
বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষ পরিচিত নয়। কারণ গত এক দশকের বেশি সময় স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন নির্বাচন বর্জনের কারণে ধানের শীষ সবার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে বিএনপির প্রতীক তুলে ধরার একটি লক্ষ্য থাকবে এই সফরে।
বিএনপি নেতারা আরও বলছেন, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। সেখান থেকে সংগঠনকে সক্রিয় করে দলীয় কোন্দল নিরসন এবং দলের নীতি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনতে যৌথভাবে তিন সংগঠনের এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামীকাল (শনিবার) বরিশাল বিভাগ দিয়ে কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেখানে দুটি অনুষ্ঠান হবে। একটি হবে এই তিন সংগঠনের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি হবে আগামী দিনের বিএনপির রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে লিফলেট বিতরণ। একইসঙ্গে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। সেখানে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের যদি কোনো জিজ্ঞাসা কিংবা প্রস্তাব থাকে, তা আমরা গ্রহণ করব। পরে সেটি সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা ও প্রস্তাব হিসেবে দলের ফোরামে দেওয়া হবে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পজিটিভ রাজনীতি নিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে চিন্তাভাবনা সেটি তুলে ধরা হবে এ সফরে– যোগ করেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক।
এ সফরে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ- আলোচনা করা হবে বলে জানান নাছির। তিনি বলেন, এ সফরে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে কোনো ধরনের মোটরসাইকেল শোডাউন না করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ এ ধরনের শোডাউনে মানুষ বিরক্ত হয়। আমরা এই পরিবর্তন করতে চাই।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তারই অংশ হিসেবে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন তৃণমূল পর্যায়ে কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে। যা দলের ও আগামী দিনের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করি।