সেপ্টেম্বর ক্যানসার সচেতনতার মাস। এ উপলক্ষে ক্যানসারবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে এসকেএফ অনকোলজির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনা। এতে অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের বর্তমান অবস্থা, রোগনির্ণয়, চিকিৎসাব্যবস্থা, ডায়াগনসিসসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্তন ক্যানসার বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন উপস্থাপক নাসিহা তাহসিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার মৃত্যুবরণ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজনের এ ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ।এরপর অতিথির কাছে স্তন ক্যানসারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, সাধারণত ক্যানসার কী কারণে হয় এটি বলা খুবই কঠিন। স্তন ক্যানসার নিয়েও একই কথা প্রযোজ্য। তবে এর কিছু রিস্ক বা ইপিওলজিক্যাল ফ্যাক্টর আছে, যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো বয়স, অর্থাৎ বয়স যত বাড়বে এ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া বংশগত, নির্দিষ্ট বয়সের আগে ঋতুস্রাব হওয়া, শারীরিক স্থূলতা, নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ, অস্বাভাবিক বড় স্তন, অধিক মাত্রায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ, হরমোনের ঘাটতি ইত্যাদিও স্তন ক্যানসারের কারণ। তাই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে থাকতে হবে সচেতন।
স্তন ক্যাসারের লক্ষণ সম্পর্কে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, ‘স্তনে ব্যথাহীন গোটা, স্তনের বোটা বা নিপলে কোনো পরিবর্তন, যেমন বসে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, স্তন থেকে অস্বাভাবিকভাবে কোনো তরল বা রস নির্গত হলে অথবা বগলতলা বা অ্যাক্সিলায় কোনো গোটা দেখা দিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। অন্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে স্তনের স্কিন বা চামড়া দেবে যাওয়া, কমলালেবুর আকার ধারণ করা অথবা লালচে রং ধারণ করা। বলে রাখা ভালো, স্তন শরীরের একটি ব্যক্তিগত অঙ্গ। অনেক নারী রক্ষণশীলতা বা লজ্জায় এসব লক্ষণ প্রকাশ করতে চান না। তাই অনুরোধ থাকবে, কারও যদি এসব লক্ষণের একটিও দেখা দেয়, দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। কারণ, অবহেলা করলে এটি ছড়িয়ে মস্তিষ্ক, হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চলে যেতে পারে।সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন ও মেমোগ্রাম কী? উপস্থাপকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সারওয়ার আলম জানান, শুধু ক্যানসার নয়, যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে একটি সাধারণত নীতি আছে। সেটা হলো প্রিভেনশন ইজ দ্য বেটার দ্যান কিউর, অর্থাৎ রোগটি হওয়ার আগেই যদি প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে এটা বেশি কার্যকর। সে অনুসারে স্তন ক্যানসারের আর্লি ডিটেকশন বা স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম অনুসরণ করলে এটিতে আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়।
‘এই প্রোগ্রামের তিনটি ফ্যাক্টর আছে—ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন, সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন ও মেমোগ্রাম। সেলফ এক্সামিনেশন হলো নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করা। কোনো গোটা বা অস্বাভাবিক কিছু আছে কি না। ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন নিয়ে আশার দিক হলো স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে সরকারিভাবে প্রকল্প রয়েছে। নির্দিষ্ট সেন্টারে গিয়ে নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা এ সেবা দিয়ে থাকেন। সেলফ ও ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশনে যদি কিছু ধরা পড়ে তবেই আমরা পরবর্তী ধাপে আমরা যেতে পারি’ বলেন ডা. সারওয়ার আলম।
পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির বিষয়ে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, পুরুষদের স্তন নারীদের থেকে আকৃতিগতভাবে ভিন্ন হওয়ায় তাঁদের এ ঝুঁকি খুবই কম। গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি দশমিক ৫১ থেকে ১ শতাংশ। তবে তাঁদের চিকিৎসাপদ্ধতি ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা না গেলে ছড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা নারীদের মতোই। সুতরাং অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।
স্তন ক্যানসারের চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, এটি নির্ভর করবে ক্যানসার কতটুকু ছড়িয়েছে বা রোগী ক্যানসারের কোন পর্যায়ে আছেন, সেটির ওপর। তবে আশার দিক হচ্ছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন বা নির্দেশিকা মেনেই ক্যানসারের চিকিৎসা হয়ে থাকে। মোটাদাগে বললে, স্তন ক্যানসার চিকিৎসার চারটা মডালিটি বা পদ্ধতি রয়েছে। অপারেশন বা সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোন থেরাপি, যা ক্যানসারের পর্যায় অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়।
স্তন ক্যানসারের জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ কিনা? উপস্থাপক জানতে চাইলে ডা. সারওয়ার বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। হলুদ শাকসবজি যেমন গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলোতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। আরেকটা হলো রঙিন ফল যেমন আম, কালোজাম, পাঁকা পেপে, আঙুর, চেরিফল, কমলা ইত্যাদি। এ ছাড়া ভিটামিন এ, সি, ডি ও ই–সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কিছুক্ষণ আগে যে ফলগুলোর নাম বললাম সেগুলো এবং সামুদ্রিক মাছ ও সয়াবিন তেলে এ ধরনের ভিটামিন থাকে। এ ছাড়া গ্রিন টি, রসুন, অলিভ অয়েল ও বাদাম ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক জানান, বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইউজিএমপি ও অ্যানভিজা ব্রাজিল অনুমোদিত প্ল্যান্ট হলো এসকেএফ অনকোলজি। ফলে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ২৭টি দেশে এবং দক্ষিণ আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া এসকেএফ অনকোলজির সারা দেশে রয়েছে ৩৩টি সেবাকেন্দ্র, যার মাধ্যমে ক্যানসারের ওষুধ পাওয়া যায়। শুধু তা–ই নয়, ঘরে বসে অর্ডার করলেই বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে সহজেই পৌঁছে দেওয়া হয়।
ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশ ও বিদেশের মধ্যে কি খুব বেশি পার্থক্য রয়েছে? এ প্রসঙ্গে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, ক্যানসারের যে চারটি মডালিটি আছে, তার সব কটিই দেশে আছে। বিশেষ করে ক্যানসারের ওষুধ এসকেএফসহ দেশের প্রথম সারির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে স্তন ক্যানসারের বর্তমান অবস্থা, রোগনির্ণয়, চিকিৎসাব্যবস্থা, ডায়াগনসিসসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্বটি সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্তন ক্যানসার বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন উপস্থাপক নাসিহা তাহসিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় সাত হাজার মৃত্যুবরণ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি আটজন নারীর মধ্যে একজনের এ ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে এর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ।এরপর অতিথির কাছে স্তন ক্যানসারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, সাধারণত ক্যানসার কী কারণে হয় এটি বলা খুবই কঠিন। স্তন ক্যানসার নিয়েও একই কথা প্রযোজ্য। তবে এর কিছু রিস্ক বা ইপিওলজিক্যাল ফ্যাক্টর আছে, যেগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো বয়স, অর্থাৎ বয়স যত বাড়বে এ ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া বংশগত, নির্দিষ্ট বয়সের আগে ঋতুস্রাব হওয়া, শারীরিক স্থূলতা, নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ, অস্বাভাবিক বড় স্তন, অধিক মাত্রায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণ, হরমোনের ঘাটতি ইত্যাদিও স্তন ক্যানসারের কারণ। তাই বিষয়গুলো খেয়াল রেখে থাকতে হবে সচেতন।
স্তন ক্যাসারের লক্ষণ সম্পর্কে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, ‘স্তনে ব্যথাহীন গোটা, স্তনের বোটা বা নিপলে কোনো পরিবর্তন, যেমন বসে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া, স্তন থেকে অস্বাভাবিকভাবে কোনো তরল বা রস নির্গত হলে অথবা বগলতলা বা অ্যাক্সিলায় কোনো গোটা দেখা দিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। অন্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে স্তনের স্কিন বা চামড়া দেবে যাওয়া, কমলালেবুর আকার ধারণ করা অথবা লালচে রং ধারণ করা। বলে রাখা ভালো, স্তন শরীরের একটি ব্যক্তিগত অঙ্গ। অনেক নারী রক্ষণশীলতা বা লজ্জায় এসব লক্ষণ প্রকাশ করতে চান না। তাই অনুরোধ থাকবে, কারও যদি এসব লক্ষণের একটিও দেখা দেয়, দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। কারণ, অবহেলা করলে এটি ছড়িয়ে মস্তিষ্ক, হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চলে যেতে পারে।সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন ও মেমোগ্রাম কী? উপস্থাপকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সারওয়ার আলম জানান, শুধু ক্যানসার নয়, যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে একটি সাধারণত নীতি আছে। সেটা হলো প্রিভেনশন ইজ দ্য বেটার দ্যান কিউর, অর্থাৎ রোগটি হওয়ার আগেই যদি প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে এটা বেশি কার্যকর। সে অনুসারে স্তন ক্যানসারের আর্লি ডিটেকশন বা স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম অনুসরণ করলে এটিতে আক্রান্ত হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়।
‘এই প্রোগ্রামের তিনটি ফ্যাক্টর আছে—ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন, সেলফ ব্রেস্ট এক্সামিনেশন ও মেমোগ্রাম। সেলফ এক্সামিনেশন হলো নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করা। কোনো গোটা বা অস্বাভাবিক কিছু আছে কি না। ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন নিয়ে আশার দিক হলো স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে সরকারিভাবে প্রকল্প রয়েছে। নির্দিষ্ট সেন্টারে গিয়ে নিবিড়ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা এ সেবা দিয়ে থাকেন। সেলফ ও ক্লিনিক্যাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশনে যদি কিছু ধরা পড়ে তবেই আমরা পরবর্তী ধাপে আমরা যেতে পারি’ বলেন ডা. সারওয়ার আলম।
পুরুষদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির বিষয়ে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, পুরুষদের স্তন নারীদের থেকে আকৃতিগতভাবে ভিন্ন হওয়ায় তাঁদের এ ঝুঁকি খুবই কম। গবেষণায় জানা গেছে, পুরুষের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি দশমিক ৫১ থেকে ১ শতাংশ। তবে তাঁদের চিকিৎসাপদ্ধতি ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা না গেলে ছড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা নারীদের মতোই। সুতরাং অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।
স্তন ক্যানসারের চিকিৎসাপদ্ধতি সম্পর্কে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, এটি নির্ভর করবে ক্যানসার কতটুকু ছড়িয়েছে বা রোগী ক্যানসারের কোন পর্যায়ে আছেন, সেটির ওপর। তবে আশার দিক হচ্ছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন বা নির্দেশিকা মেনেই ক্যানসারের চিকিৎসা হয়ে থাকে। মোটাদাগে বললে, স্তন ক্যানসার চিকিৎসার চারটা মডালিটি বা পদ্ধতি রয়েছে। অপারেশন বা সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও হরমোন থেরাপি, যা ক্যানসারের পর্যায় অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয়।
স্তন ক্যানসারের জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ কিনা? উপস্থাপক জানতে চাইলে ডা. সারওয়ার বলেন, ‘খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। হলুদ শাকসবজি যেমন গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলোতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। আরেকটা হলো রঙিন ফল যেমন আম, কালোজাম, পাঁকা পেপে, আঙুর, চেরিফল, কমলা ইত্যাদি। এ ছাড়া ভিটামিন এ, সি, ডি ও ই–সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কিছুক্ষণ আগে যে ফলগুলোর নাম বললাম সেগুলো এবং সামুদ্রিক মাছ ও সয়াবিন তেলে এ ধরনের ভিটামিন থাকে। এ ছাড়া গ্রিন টি, রসুন, অলিভ অয়েল ও বাদাম ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক জানান, বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইউজিএমপি ও অ্যানভিজা ব্রাজিল অনুমোদিত প্ল্যান্ট হলো এসকেএফ অনকোলজি। ফলে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ২৭টি দেশে এবং দক্ষিণ আমেরিকায় রপ্তানি হচ্ছে। এ ছাড়া এসকেএফ অনকোলজির সারা দেশে রয়েছে ৩৩টি সেবাকেন্দ্র, যার মাধ্যমে ক্যানসারের ওষুধ পাওয়া যায়। শুধু তা–ই নয়, ঘরে বসে অর্ডার করলেই বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে সহজেই পৌঁছে দেওয়া হয়।
ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশ ও বিদেশের মধ্যে কি খুব বেশি পার্থক্য রয়েছে? এ প্রসঙ্গে ডা. সারওয়ার আলম বলেন, ক্যানসারের যে চারটি মডালিটি আছে, তার সব কটিই দেশে আছে। বিশেষ করে ক্যানসারের ওষুধ এসকেএফসহ দেশের প্রথম সারির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করছে।