জাফলং বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক পরিচিতির পাশাপাশি বালু-পাথর সম্পদেরও আধার এটি। বালু-পাথর আহরণে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হওয়ায় প্রকৃতির সুরক্ষায় ডাউকি-জাফলংকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করার পর ডাউকি-পিয়ান নদীর মোহনায় জমেছিল কয়েক স্তরে হাজার হাজার ঘনফুট পাথর।
বছর বছর পরিমাপ করে রাখা এসব পাথর এখন লুটের মুখে পড়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এক রাতের লুটপাটে এক কোটি ঘটফুট পাথর চুরি হয়ে গেছে বলে সরকারি হিসেবে উঠে এসেছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী লুট করা পাথরের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এদিকে বল্লাঘাটে ভম্বে রেস্টুরেন্টের নিচে সৈরাচারের দুসর জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তামাবিল স্থলবন্দর সিন্ডিকেটের হুতা জালাল উদ্দিনের পাথর বালু-পাথরের সাইট সমুহের দায়িত্ব নিলেন একাধিকবার বহিস্কৃত সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন।
শুধু তাই নয় সাবেক সাংসদ বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিমের নির্বাচনী স্টেজ ভাংচুরে জড়িত জাফলংয়ের কুখ্যাত চাঁদাবাজ আলিম, ফিরুজ, সমেদ গংদের ব্যবসা, সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে তিনি। তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিরাতে জিরো পয়েন্ট থেকে পাথর চুরি করে আবার তাদের অপকর্ম ভাইরাল হলে নিজেদের বাচাতে কতিত সংবাদ সম্মেলনও করেন।
সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই পরিমাপ অনুযায়ী জাফলংয়ে পাথর মজুত ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ ঘনফুট। ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সেখানে ব্যাপক লুটপাটে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর উধাও হয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে সেনা সদস্যরাও যেতে পারেননি।
তবে সেই রাতের এই পাথর চুরির ঘটনাকে স্থানীয়রা ক্রোধের স্বরে বলছেন, ‘লুটতরাজ’। এ বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সেদিন বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না। হাজার হাজার মানুষ এসে উপোসিদের মতো হামলে পড়েছিল এই পাথর লুট করে নিতে।’ এই পাথর লুটের সাথে সরাসরি জড়িত জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান, বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স সহ একটি প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা। এরা নেপথ্যে থাকলেও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে নামেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিস্কৃত সভাপতি আজির উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিস্কৃত সিনিয় সহ-সভাপতি সুমন শিকদার, বহিস্কৃত সহ-সভাপতি পারভেজ শিকদার ও রুবেল আহমদ।
তারা জাফলংয়ের পাথর লুটপাটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেন সুমনের ব্যবআ প্রতিষ্টান লুটপাট করে নিয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ইমরান হোসেন সুমন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি একটি পোস্ট করেন। সেখানে সকল লুটপাটকারীদের নাম উল্লেখ করেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর জাফলংকে পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই আবেদন করেছিল ২০১২ সালে। এরপর থেকে কয়েকটি ধাপে জাফলং থেকে বালু ও পাথর কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। এর মধ্যে বছর বছর পাথর সম্পদ মজুতের বিষয়টি পরিমাপের মধ্যে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে সংরক্ষিত এলাকায় পাথরের পর্যবেক্ষণ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সরকার পতনের পর দফায় দফায় বিজয় মিছিল করে ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে জাফলং ও তামাবিল এলাকায় ইউপি শাখা বিএনপির আয়োজনে সর্বশেষ মিছিল হয় বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এই মিছিলের পরই রাতে চলে পাথর লুট। এক রাতে শতকোটি টাকার পাথর লুটের বিষয়টি সরকারি সম্পত্তি লুটের সঙ্গে তুলনা করেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খুব সুচতুরভাবে লুট হয়েছে। লুটের আগে সেখানকার কয়েকটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে জাফলংয়ের এক পাশে রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর। গত ৫ আগস্ট রাতে তামাবিলের সরকারি কয়েকটি দপ্তরে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। এরপরই জাফলংয়ে লুটতরাজের ঘটনা ঘটে। সিলেট কাস্টমস বিভাগের যুগ্ম কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৫ আগস্ট বিকেল থেকে একটি ভয়াবহ সময় পার করেছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাত ৮টার দিকে হাজারখানেক লোকজন হামলা চালায় কাস্টমস গুদামে। সেখানে বিভিন্ন সময় আটক করা প্রায় সোয়া ৬ কোটি টাকার মালামাল ট্রাক দিয়ে লুট করে নিয়ে যায় তারা। কর্মকর্তাদের থাকার কক্ষগুলোও লুট হয়। এলসির পাথর আমদানি রুখতেই আগে তামাবিলে হামলা হয়, এরপর জাফলং-এ গিয়ে লুটতরাজ চালায় তারা।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর ভারতের ডাউকি থেকে জাফলংয়ে ইসিএর মজুত করা পাথরের স্পটে দেখা গেছে, ডাউকি-পিয়াইন মোহনা পুরোটা পাথরের স্তূপে ঢাকা পড়েছে। লুটতরাজের প্রায় দেড় মাস পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ড্রোন দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, পাথরের আস্তরণের দুই দিক প্রায় ফাঁকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা পেরিয়ে ডাউকি-পিয়ান নদীর দুই দিক বর্তমানে পাথরশূন্য।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সেই রাতের লুটতরাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স ও তার কর্মীরা। এর মধ্যে শিমু, ইসমাঈল, মামুন নামের ব্যক্তিরা লুটপাটে লোক জড়ো করেন। হান্নান নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে লুটের পাথর বিক্রি করে প্রকাশ্যে টাকা ভাগ করারও অভিযোগ রয়েছে। লুটতরাজের বড় অভিযোগ সিলেট থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহ পরাণের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তার অনুসারী আব্দুর রাজ্জাক ও জাহিদ খানকেও লুটপাটে লোক জড়ো করতে দেখা গেছে। তবে ঘটনাস্থলে ছিলেন না বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহ পরাণ।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও বিএনপি নেতা আমজাদ-শাহ পরাণের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রমাণাদিসহ অভিযোগ থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তথ্যপ্রমাণসহ কেউ কোনো অভিযোগ দিতে পারছে না।
বছর বছর পরিমাপ করে রাখা এসব পাথর এখন লুটের মুখে পড়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এক রাতের লুটপাটে এক কোটি ঘটফুট পাথর চুরি হয়ে গেছে বলে সরকারি হিসেবে উঠে এসেছে। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী লুট করা পাথরের মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
এদিকে বল্লাঘাটে ভম্বে রেস্টুরেন্টের নিচে সৈরাচারের দুসর জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তামাবিল স্থলবন্দর সিন্ডিকেটের হুতা জালাল উদ্দিনের পাথর বালু-পাথরের সাইট সমুহের দায়িত্ব নিলেন একাধিকবার বহিস্কৃত সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন।
শুধু তাই নয় সাবেক সাংসদ বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিমের নির্বাচনী স্টেজ ভাংচুরে জড়িত জাফলংয়ের কুখ্যাত চাঁদাবাজ আলিম, ফিরুজ, সমেদ গংদের ব্যবসা, সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে তিনি। তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রতিরাতে জিরো পয়েন্ট থেকে পাথর চুরি করে আবার তাদের অপকর্ম ভাইরাল হলে নিজেদের বাচাতে কতিত সংবাদ সম্মেলনও করেন।
সর্বশেষ গত ২৬ জুলাই পরিমাপ অনুযায়ী জাফলংয়ে পাথর মজুত ছিল ৩ কোটি ৭৪ লাখ ঘনফুট। ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে সেখানে ব্যাপক লুটপাটে প্রায় ১ কোটি ঘনফুট পাথর উধাও হয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় সেখানে সেনা সদস্যরাও যেতে পারেননি।
তবে সেই রাতের এই পাথর চুরির ঘটনাকে স্থানীয়রা ক্রোধের স্বরে বলছেন, ‘লুটতরাজ’। এ বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘সেদিন বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না। হাজার হাজার মানুষ এসে উপোসিদের মতো হামলে পড়েছিল এই পাথর লুট করে নিতে।’ এই পাথর লুটের সাথে সরাসরি জড়িত জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান, বহিস্কৃত বিএনপি নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন ও পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স সহ একটি প্রভাবশালী চক্রের সদস্যরা। এরা নেপথ্যে থাকলেও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে নামেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিস্কৃত সভাপতি আজির উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিস্কৃত সিনিয় সহ-সভাপতি সুমন শিকদার, বহিস্কৃত সহ-সভাপতি পারভেজ শিকদার ও রুবেল আহমদ।
তারা জাফলংয়ের পাথর লুটপাটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেন সুমনের ব্যবআ প্রতিষ্টান লুটপাট করে নিয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ইমরান হোসেন সুমন তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি একটি পোস্ট করেন। সেখানে সকল লুটপাটকারীদের নাম উল্লেখ করেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৪ নভেম্বর জাফলংকে পরিবেশ-প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এই আবেদন করেছিল ২০১২ সালে। এরপর থেকে কয়েকটি ধাপে জাফলং থেকে বালু ও পাথর কোয়ারির ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। এর মধ্যে বছর বছর পাথর সম্পদ মজুতের বিষয়টি পরিমাপের মধ্যে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে সংরক্ষিত এলাকায় পাথরের পর্যবেক্ষণ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সরকার পতনের পর দফায় দফায় বিজয় মিছিল করে ছাত্র-জনতা। এর মধ্যে জাফলং ও তামাবিল এলাকায় ইউপি শাখা বিএনপির আয়োজনে সর্বশেষ মিছিল হয় বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর এই মিছিলের পরই রাতে চলে পাথর লুট। এক রাতে শতকোটি টাকার পাথর লুটের বিষয়টি সরকারি সম্পত্তি লুটের সঙ্গে তুলনা করেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খুব সুচতুরভাবে লুট হয়েছে। লুটের আগে সেখানকার কয়েকটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন আকারে অবহিত করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে জাফলংয়ের এক পাশে রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর। গত ৫ আগস্ট রাতে তামাবিলের সরকারি কয়েকটি দপ্তরে ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। এরপরই জাফলংয়ে লুটতরাজের ঘটনা ঘটে। সিলেট কাস্টমস বিভাগের যুগ্ম কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৫ আগস্ট বিকেল থেকে একটি ভয়াবহ সময় পার করেছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। রাত ৮টার দিকে হাজারখানেক লোকজন হামলা চালায় কাস্টমস গুদামে। সেখানে বিভিন্ন সময় আটক করা প্রায় সোয়া ৬ কোটি টাকার মালামাল ট্রাক দিয়ে লুট করে নিয়ে যায় তারা। কর্মকর্তাদের থাকার কক্ষগুলোও লুট হয়। এলসির পাথর আমদানি রুখতেই আগে তামাবিলে হামলা হয়, এরপর জাফলং-এ গিয়ে লুটতরাজ চালায় তারা।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর ভারতের ডাউকি থেকে জাফলংয়ে ইসিএর মজুত করা পাথরের স্পটে দেখা গেছে, ডাউকি-পিয়াইন মোহনা পুরোটা পাথরের স্তূপে ঢাকা পড়েছে। লুটতরাজের প্রায় দেড় মাস পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর ড্রোন দিয়ে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, পাথরের আস্তরণের দুই দিক প্রায় ফাঁকা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা পেরিয়ে ডাউকি-পিয়ান নদীর দুই দিক বর্তমানে পাথরশূন্য।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সেই রাতের লুটতরাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স ও তার কর্মীরা। এর মধ্যে শিমু, ইসমাঈল, মামুন নামের ব্যক্তিরা লুটপাটে লোক জড়ো করেন। হান্নান নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে লুটের পাথর বিক্রি করে প্রকাশ্যে টাকা ভাগ করারও অভিযোগ রয়েছে। লুটতরাজের বড় অভিযোগ সিলেট থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহ পরাণের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তার অনুসারী আব্দুর রাজ্জাক ও জাহিদ খানকেও লুটপাটে লোক জড়ো করতে দেখা গেছে। তবে ঘটনাস্থলে ছিলেন না বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহ পরাণ।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও বিএনপি নেতা আমজাদ-শাহ পরাণের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রমাণাদিসহ অভিযোগ থাকলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তথ্যপ্রমাণসহ কেউ কোনো অভিযোগ দিতে পারছে না।